মোহাঃ নূরন্নবী তন্ময়
বিশ্বজুড়ে অদৃশ্য মহামারী ‘করোনাভাইরাস’ প্রতিরোধে টিকা দেওয়া শুরু হয়েছে। এতিমধ্যে ভাইরাসটি প্রতিরোধে কয়েকটি টিকার প্রয়োগ চলছে। এরমধ্যে ফাইজারের টিকা বেশ কার্যকারিতা দেখাতে সক্ষম হয়েছে। এসব টিকা নিয়ে মানুষ আশাবাদী হলেও ভাইরাসটির বিভিন্ন ধরনের রুপ বদলাচ্ছেন। টিকার কার্যকারিতার পাশাপাশি তা কতদিন পর্যন্ত সুরক্ষা দেবে তা এখনো নিশ্চিত নন গবেষকরা। হয়তো এ ভাইরাস থেকে সুরক্ষিত থাকতে প্রতিবছর টিকা নিতে হতে পারে মানুষকে। গত বৃহস্পতিবার (১৫ এপ্রিল) এমনটাই জানাচ্ছেন ফাইজারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) আলবার্ট বোরলা।
আলবার্ট বোরলা বলেন, মানুষকে প্রতিবছরই করোনা ভাইরাস প্রতিরোধী টিকা নিতে হতে পারে, এটা একেবারে অমূলক নয়। তাছাড়া কোভিড-১৯ এর টিকা নেওয়ার ১২ মাসের মধ্যে মানুষের ‘সম্ভবত’ একটা বুস্টার ডোজ প্রয়োজন হবে। পরিস্থিতি অনুযায়ী সম্ভবত করোনা প্রতিরোধী টিকার ৩য় ডোজ নেওয়ার প্রয়োজন হতে পারে। সেটা হতে পারে ছয় মাস বা ১২ মাসের মধ্যে। হয়তো প্রতিবছর টিকা নিতে হতে পারে। তবে আগে এসব বিষয় সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া দরকার। এজন্য ভাইরাসের ধরন মূলত মূল ভূমিকা পালন করবে।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি ফাইজার জানায়, তাদের করোনা প্রতিরোধী টিকা ৯১ শতাংশ কার্যকর। আর ২য় ডোজ নেওয়ার পরের ৬ মাস পর্যন্ত মারাত্মক রোগ প্রতিরোধে এ টিকা ৯৫ শতাংশ পর্যন্ত কার্যকর।
বিডিনার্সিং২৪.কম/এমএনটি