স্টাফ রিপোর্টার:রাবিয়া আক্তার মীম
ফুলপুর,ময়মনসিংহ।⏰২৩-০৯-২০২০
বর্তমান সময় যে মারণ রোগ বিশ্বে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে,তাদের সমূলে উৎখাত করতে করলার কোনও বিকলপ নেই।প্রতিদিন ১০০ গ্রাম করলা খাওয়া সবার জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।কেননা প্রতি ১০০ গ্রাম করলায় মজুত থাকে—আয়রন,ম্যাগনেসিয়াম, পটাসিয়াম,ক্যালসিয়াম,বিটা-ক্যারোটিন,নানাবিধ ভিটামিন এবং মিনারেল, যা শরীরের রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা আরো বৃদ্ধি করে।
করলার স্বাদ তেঁতো হলেও ত্বক ও চুলের জন্য বেশ উপকারী। এটি শরীরে থেকে বিষাক্ত পদার্থ বের করে দেয় এবং রক্ত পরিষ্কার করে। করলায় এন্টি-অক্সিডেন্ট,ভিটামিন-এ,এবং ভিটামিন-সি এর জন্য ত্বকের বলিরেখা গায়ের হতে শুরু করে এবং ত্বক টান টান হয়ে উঠে এবং বার্ধক্য বিলম্বিত করে।ফলে ত্বকের তারুণ্যভাব বজায় থাকে।
করলা হজমের জন্য বেশ উপকারী।কোষ্ঠ-কাঠিন্য দূর করে পরিপাকতন্ত্রের জটিলতা দূর করে।
করলায় প্রচুর এন্টি-অক্সিডেন্ট ও রক্তের চিনি কমানোর উপাদান থাকে।এছাড়াও করলায় অ্যাডিনোসিন মনোফসফেট অ্যাকটিভেটেড প্রোটিন কাইনেজ নামক এনজাইমের মাত্রা বৃদ্ধির মাধ্যমে রক্ত থেকে শরীরের কোষ গুলোতে সুগার গ্রহণের ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়। করলা শরীরের কোষের গ্লুকোজের বিপাক ক্রিয়া বাড়ায় যার ফলে রক্তের সুপারের মাত্রা ঠিক থাকে। ডায়াবেটিস রোগীরা প্রতিদিন করলা খেলে তাদের রক্তে সুগার নিয়ন্ত্রণে থাকে।
করলায় রয়েছে ক্যান্সার প্রতিরোধকারী লাইকোপিল,যা শরীরে ক্যান্সার কোষের জন্ম নেওয়া থেকে বিরত রাখে।ফলে এই মারণ রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কমায়।
আমরা কতদিন সুস্থভাবে বেঁচে থাকবো তা অনেকাংশেই নির্ভর করে আমাদের শরীরের রক্ত কতটা বিশুদ্ধ রয়েছে তার উপর।করলা খেলে রক্ত বিশুদ্ধ হয় যার ফলে অ্যানেমিয়া এবং উচ্চ রক্তচাপ কম হয়।
করলায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার যা হজম শক্তিকে বৃদ্ধি করে এবং শরীরে অতিরিক্ত ক্যালরি জমতে দেয় না।এছাড়াও করলায় রয়েছে বিটা-ক্যারোটিন যা দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখে।করলার স্বাদ তেঁতো হলেও পুষ্টিগুণে অতুলনীয়।