নিজস্ব প্রতিবেদকঃ কুমিল্লার ব্রাক্ষণপাড়া উপজেলার স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান কর্মকর্তা ডাক্তার আবু হাসনাত মােঃ মহিউদ্দিনের বিরুদ্ধে নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তর কতৃক বদলীকৃত নার্সদের মধ্যে থেকে জনপ্রতি 20 হাজার টাকা উৎকোচ না দেওয়ায় জনস্বার্থে বদলীকৃত এবং উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের আইনসংগত আদেশ অমান্য করে শেষ বেতনের প্রত্যয়নপত্র (এলপিসি) স্থগিত রাখার অভিযোগ উঠেছে।
আজ নার্সিং সোসাইটি অব বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোর্শেদ স্বাক্ষরিত একটি অভিযোগ পত্র স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সচিব বরাবর পাঠানো হয়।
অভিযোগে বলা হয়, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ
মন্ত্রণালয়ের স্মারক নং ৪৫.০০.০০০০.১৭২.১৯.০২৭.১০(অংশ-১) ৩৪৩/১(২০), তারিখ ১৪ ডিসেম্বর ২০২০ অনুসারে নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তর এর দশম গ্রেড ভুক্ত নার্সদের বদলি নীতিমালা প্রণয়ন করা হয় এবং সরকারি চাকুরিতে নার্সিং পেশায় নিয়ােজিত নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তর দ্বিতীয় শ্রেণীর সকল কর্মকর্তাদের বদলির ক্ষমতা প্রদান করা হয়েছে
উক্ত নীতিমালায় । যার ফলে চলমান করােনা মহামারী মােকাবেলায় নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তর স্মারক নং ৪৫,০৩,০০০০.০০১.১৯.০০১.২১-৭০৪, তারিখ ২২ মার্চ ২০২১ অনুসারে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, ব্রাহ্মণপাড়া, কুমিল্লায় কর্মরত সিনিয়র স্টাফ নার্স জনাব মােঃ হারুনুর রশিদ খন্দকার, জনাব, সবিত্রী রানী সূত্রধর ও জনাব মােঃ ফাইদ বিন কে বদলি পূর্বক কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, কুমিল্লায় জনস্বার্থে বদলী করা হয় (কপি সংযুক্ত:০১)। বদলির আদেশ অনুসারে উল্লেখিত সিনিয়র স্টাফ নার্স কর্মকর্তাগণ নির্ধারিত তারিখের মধ্যে কর্মস্থলে যােগদান করেন কোন প্রকার ছাড়পত্র ছাড়াই। উল্লেখ্য যে, বদলিকৃত নার্সিং কর্মকর্তাদের নিকট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রধান সহকারী হুমায়ুন কবির এর মাধ্যমে ২০,০০০/- টাকা উৎকোচ দাবি করেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার আবু হাসনাত মােঃ মহিউদ্দিন। উক্ত টাকা উৎকোচ হিসেবে প্রদান না করায় উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার কার্যালয়ের স্মারক নং উঃঃকমঃ/বি-পাড়া/কুম/২০২১/২০৪, তারিখ ০৬/০৪/২০২১ ইং অনুসারে উপজেলা হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা, ব্রাহ্মণপাড়া, কুমিল্লা বরাবর পত্র মাধ্যমে তাদের শেষ বেতনের প্রত্যয়নপত্র (এল.পি.সি) ইস্যু না করার অনুরােধ করেন।
নার্সিং সােসাইটি অব বাংলাদেশ-এর পক্ষ থেকে ডাঃ আবুল হাসানাতের সাথে যােগাযােগ করা হলে তিনি জানান সিভিল সার্জন-কুমিল্লার সম্মতিক্রমে এই কার্যক্রম করা হয়েছে সুতরাং তার সাথে যােগাযােগ করার কথাও জানান তিনি।
সংগঠনের পক্ষ থেকে স্বাস্থ্য সচিব বরাবর আরও অভিযোগ করা হয় যে, এই কর্মকর্তা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সহ বাংলাদেশের স্বাস্থ্য সেবার জন্য একটি কলঙ্কজনক অধ্যায় রচনা করেছেন।
নার্সিং সোসাইটি অব বাংলাদেশের পক্ষ থেকে ডাঃ আবুল হাসানাত মোঃ মহিউদ্দিন এর বিরুদ্ধে সরকারি কর্মচারী শৃঙ্খলা ও আপীল বিধিমালা ২০১৮ এর বিধি ২ (খ) অসদাচরণ এর উপবিধি অ, আ, ই, ঈ, উ অনুসারে শাস্তি মূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য অনুরােধ জানানো হয়।
উক্ত অভিযোগ পত্রের অনুলিপি দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান, জনপ্রশাসন সচিব, নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সহ সরকারের অন্যান্য দফতরে পাঠানো হয়েছে।