সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ০২:০১ পূর্বাহ্ন

কোন দেশের ভ্যাকসিন আগে পাবে বাংলাদেশ।

Reporter Name
  • Update Time : শনিবার, ৫ সেপ্টেম্বর, ২০২০
  • ৩৫৩ Time View

ষ্টাফ রিপোর্টার ;বিষ্ণু পদ বাড়ৈ

৫ সেপ্টেম্বর,শনিবার,   ২০২০ ।

 

 

মহামারি করোনা মোকাবিলায় ভ্যাকসিন তৈরি করার কাজ করছে চীন, রাশিয়া, যুক্তরাষ্ট্রসহ আরো অনেক দেশ। তবে যে দেশের ভ্যাকসিন আগে বাজারে আসবে, বাংলাদেশ সরকার সেই দেশকেই প্রাধান্য দেবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালিক।

সরকারের এমন সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন, বাংলাদেশ কার ভ্যাকসিন আগে পেতে পারে, সেটা কী বিনা পয়সায় নাকি কিনে নিতে হবে তা নিয়েও সময়ের সাথে আলোচনা বাড়ছে। তবে দেশে ট্রায়ালের অনুমতি দেয়ায় ভ্যাকসিন পাওয়ার ক্ষেত্রে সহজ হবে বলেও মত তাদের।

 

করোনায় রুশ ভ্যাকসিন নিরাপদ;ল্যানসেট।

 

 

 

এ মুহূর্তে বিশ্বব্যাপী প্রায় ২শ’ টি গবেষণা কেন্দ্র করোনার ভ্যাকসিন নিয়ে কাজ করছে। যার মধ্যে আটটি ভ্যাকসিনের গবেষণা রয়েছে তৃতীয় ধাপে, যার মধ্যে চার থেকে পাঁচটিকে ভ্যাকসিন হিসেবে পাওয়া যাবে। এছাড়া প্রায় ৩০টির মতো রয়েছে প্রথম এবং দ্বিতীয় ধাপে। সব মিলিয়ে কোভিড মহামারি মোকাবিলায় ৯ ধরনের ভ্যাকসিন নিয়ে কাজ হচ্ছে, যার মধ্যে ছয় ধরনের ভ্যাকসিন বিশ্বের ইতিহাসে এবারই প্রথম, এই ছয় টেকনিকের ভ্যাকসিন পৃথিবীতে এখনও নেই।

বাংলাদেশ ভ্যাকসিনের আবেদন করেছে গত জুলাই মাসে। চীন, ভারত, রাশিয়া, যুক্তরাষ্ট্রে ভ্যাকসিনের কাজ অ্যাডভান্সড স্টেজে রয়েছে। বাংলাদেশেও কয়েকটি কোম্পানি ভ্যাকসিন তৈরির কাজ করছে। আবার বিশ্বে ৬০টি দেশ রয়েছে, যারা টাকা দিয়ে ভ্যাকসিন কিনবে। আর ৯২টি দেশ রয়েছে যারা বিনা পয়সায় পাবে, যার মধ্যে বাংলাদেশ একটি। তাই বাংলাদেশ কবে পাবে বা কার ভ্যাকসিন আগে পেতে পারে তা নিয়ে রয়েছে প্রশ্ন।

 

করোনাভাইরাস প্রতিরোধে কয় ডোজ ভ্যাকসিন লাগবে-

স্বাস্থ্য অধিদফতর সূত্রে জানা যায়, এ পর্যন্ত বিশ্বে ১৪১টি ভ্যাকসিন ডেভেলপ হয়েছে। হিউম্যান ট্রায়াল বা শেষ ও তৃতীয় ধাপে রয়েছে ২৫টি ভ্যাকসিন। এরমধ্যে থার্ড ফেইজের ট্রায়ালে রয়েছে চীনের তিনটি, অক্সফোর্ডের একটি, মডার্নার একটি ও ফাইজারের একটি। আর সবকিছু নির্ভর করছে থার্ড ফেইজে ট্রায়ালের রেজাল্টের ওপর।

যখনই ভ্যাকসিন আসুক না কেন, সারা পৃথিবীর মানুষ যেন একসঙ্গে পায় সে বিষয়ে গত ৪ জুন গ্লোবাল ভ্যাকসিন সামিট হয়েছে। সেখানে সিদ্ধান্ত হয়েছে, ‘কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন এক্সেস ফ্যাসিলিটি বাকো-ভ্যাক্স’ ফ্যাসিলিটির মাধ্যমে পৃথিবীর সবাই যেন সমহারে ভ্যাকসিন পায়।

বাংলাদেশ এক্সপ্রেসন অব ইন্টারেস্ট (ইওআই) সাবমিট করেছে গত ৯ জুলাই। কো-ভ্যাক্স ফ্যাসিলিটি এবং গ্যাভি ইতোমধ্যে জানিয়েছে যে বাংলাদেশ ভ্যাকসিন পাবে। কিন্তু ভ্যাকসিন পাওয়ার ক্ষেত্রে উন্নত দেশ কিনে নেবে, আর আমাদের মতো মধ্যম আয়ের দেশ কো-ফাইন্যান্সিং হিসেবে যাবে। পৃথিবীর ১৭১টি দেশ এই কো-ফাইন্যান্সিংয়ের ভেতরে রয়েছে।

গত ১৮ জুলাই চীনা কোম্পানি সিনোভ্যাক রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি লিমিটেডকে বাংলাদেশে তাদের টিকা ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের জন্য অনুমোদন দেয় বাংলাদেশ মেডিক্যাল রিসার্চ কাউন্সিল (বিএমআরসি)। তার পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশে চীনা ভ্যাকসিন সিনোভ্যাকের ট্রায়াল শিগগিরই শুরু হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

তবে একইসঙ্গে তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, যে দেশের ভ্যাকসিন আগে আসবে, তাদের কাছ থেকেই সেটা কেনার পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। রাশিয়া ভ্যাকসিন আবিষ্কারের দাবি জানিয়েছে, তাদের কাছ থেকেও ভ্যাকসিন আমদানি করতে চায় বাংলাদেশ এবং সেজন্য রাশিয়াকে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। আবার ভারতের সিরাম কোম্পানির উৎপাদিত অক্সফোর্ড ভ্যাকসিন আনার বিষয়েও আলোচনা চলছে।

 

দেশীয় ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান গ্লোব ফার্মাসিউটিক্যালস গ্রুপ অব কোম্পানিজ লিমিটেডের সহযোগী প্রতিষ্ঠান গ্লোব বায়োটেক লিমিটেডের করোনার ভ্যাকসিন আগামী ডিসেম্বর নাগাদ বাজারে আসবে বলে জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির রিসার্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ডিপার্টমেন্টের প্রধান ডা. আসিফ মাহমুদ।

গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী ডিসেম্বর মাস নাগাদ ভ্যাকসিন বাজারজাত করতে পারবো বলে আশা করছি।

 

 

 

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2021
Design & Developed by Freelancer Zone
themesba-lates1749691102