স্টাফ রিপোর্টার:সুরাইয়া খাতুন, নাটোর।
ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহ থেকে বাংলাদেশে টিকাদান কর্মসূচি শুরু হবে বলে ঘোষণা দিয়েছে সরকার।
বাংলাদেশের স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এমআইএস বিভাগের লাইন ডিরেক্টর ডা.হাবিবুর রহমান জানিয়েছেন, প্রথমে আমরা যে তিন কোটি টিকা পাবো,তাতে দেড় কোটি মানুষকে দুটি করে টিকার ডোজ দেয়া যাবে। প্রতিমাসে ২৫ লাখ মানুষকে টিকা দেয়া হবে।
ধাপে ধাপে টিকাদান কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হবে। করোনাভাইরাস প্রতিরোধে যারা সামনের সারিতে কাজ করেন তারা আগে টিকা পাবেন৷
প্রথম ধাপে স্বাস্থ্যকর্মী ছাড়াও সম্মুখ সারির পেশায় থাকা ব্যক্তি যেমন-স্বাস্থ্য বিভাগ,পুলিশ বিভাগ,প্রশাসন এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল যেসব রোগী তারা টিকা পাবেন।
দ্বিতীয় ধাপে থাকবে স্বাস্থ্য ঝুঁকি রয়েছে এমন ৬৫ বছর বয়স্ক ও তার উপরে যাদের বয়স তারা,শিক্ষাকর্মী ও জনপরিবহণের কর্মীরা।
যাদের বয়স ৬৫ বছরের বেশি কিন্তু বড় কোনো অসুখ নেই তারা তৃতীয় ধাপে কোভ্যাকসিন পাবেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক জানিয়েছেন,১৮ বছরের নিচে এবং গর্ভবতী নারীরা করোনা টিকা পাবেনা। কারণ তাদের ওপর কোনো টিকা ট্রায়াল করা হয়নি।
যাদের শরীরে রক্তপাতজনিত সমস্যা রয়েছে,যারা অত্যন্ত অসুস্থ,যাদের এলার্জির ইতিহাস রয়েছে তাদের টিকা এড়িয়ে যেতে বলা হয়েছে।
পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হওয়া,গলা বা মুখ ফুলে যাওয়া,র্যাশ,ঝিমুনি ও দুর্বলতা। তাই ভ্যাকসিন নেয়ার আগে টিকা অফিসারকে শারীরিক অবস্থার বিস্তারিত বলার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা৷