রবিবার, ০৫ মে ২০২৪, ১১:৩৩ অপরাহ্ন

করোনা ভ্যাকসিন ২০২১ এর মাঝামাঝির আগে সহজলভ্য হবে না- ডব্লিউএইচও

Reporter Name
  • Update Time : শনিবার, ৫ সেপ্টেম্বর, ২০২০
  • ৩৯৯ Time View

👤স্টাফ রিপোর্টারঃ লিজা খান,ঢাকা

🕐০৫.০৯.২০২০

 

নভেল করোনাভাইরাসের দাপটে নাজেহাল বিশ্ব অপেক্ষায় রয়েছে কবে আসবে ভ্যাকসিন। কিন্তু বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) বলছে, আগামী বছরের মাঝামাঝির আগে করোনাভাইরাসের টিকা পর্যাপ্ত পরিমাণে মিলবে কিনা, তা এখনো অনিশ্চিত। সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান এ খবর জানিয়েছে।

ডব্লিউএইচওর মুখপাত্র মার্গারেট গতকাল শুক্রবার বলেন, “যেসব সম্ভাব্য ভ্যাকসিনের এখন পর্যন্ত ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল হয়েছে, সেগুলো কোভিড-১৯ মোকাবিলায় কতটা দক্ষ, সে বিষয়ে কোনো সংস্থাই ‘স্পষ্ট ইঙ্গিত’ দেয়নি।” তাই চূড়ান্তভাবে বাজারে আসার আগে সেসব ভ্যাকসিন বা টিকার কার্যকারিতা এবং সেগুলো কতটা নিরাপদ, তা আরো ভালোভাবে খতিয়ে দেখা প্রয়োজন বলে মনে করেন মার্গারেট।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এ বক্তব্যে নতুন করে উদ্বেগে ভুগছে সাধারণ মানুষ। দুনিয়াজুড়ে বেশ কয়েকটি করোনা ভ্যাকসিন আশা দেখালেও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মাপকাঠিতে এখনো সেগুলো নিখুঁত নয়। ডব্লিউএইচওর মুখপাত্র মার্গারেট হ্যারিস এদিন বলেন, যে ভ্যাকসিনগুলো তৈরির চেষ্টা চলছে, তার কোনোটিই অন্তত ৫০ শতাংশ ক্ষেত্রে কার্যকর বলে প্রমাণিত হয়নি। ফলে আগামী বছরের মাঝামাঝির আগে ব্যাপক হারে টিকা সরবরাহ করা সম্ভব হবে না।

গত আগস্টে মানুষের শরীরে দুই মাসের কম সময় পরীক্ষার পর রাশিয়া একটি করোনা ভ্যাকসিন এনেছে, যার নাম ‘স্পুটনিক ভি’ বা ‘স্পুটনিক ফাইভ’। কিন্তু বেশিরভাগ দেশের বিশেষজ্ঞরাই রাশিয়ার ভ্যাকসিনটির কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। রাশিয়া কোভিড ভ্যাকসিন প্রয়োগের অনুমতি দেওয়ার পর থেকেই বিশ্বজুড়ে নানা মহলে ওই ভ্যাকসিন বিশ্বাসযোগ্যতা এবং নিরাপত্তার বিষয় নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

এ ছাড়া গত বৃহস্পতিবার মার্কিন জনস্বাস্থ্য দপ্তরের এক সূত্র এবং ওষুধ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান ফাইজার জানায়, আগামী অক্টোবরের শেষেই করোনার প্রতিষেধক সরবরাহ করা হবে।

ডব্লিউএইচওর মুখপাত্র মার্গারেট হ্যারিস গতকাল বলেন, ‘কোনো টিকার ক্ষেত্রে তৃতীয় পর্যায়ের পরীক্ষায় সময় বেশি লাগবে। আমাদের দেখতে হবে, কোনো প্রতিষ্ঠান বা সংস্থা যে ভ্যাকসিন তৈরি করছে, তা করোনা মোকাবিলায় কার্যকর কিনা। মানুষের শরীরে তা প্রয়োগ করা নিরাপদ কিনা।’

সম্প্রতি মার্গারেট হ্যারিস আরো বলেন, কোনো ভ্যাকসিন নিয়ে পরীক্ষার সময় ট্রায়ালগুলোর সব তথ্য জানানো উচিত এবং তুলনা করে দেখা উচিত। তিনি বলেন, ‘পরীক্ষামূলকভাবে অনেককেই ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে। কিন্তু সে ভ্যাকসিনে কাজ হলো কিনা, তা আমরা জানি না। এ পর্যায়ে কার্যকারিতা ও নিরাপত্তার মাত্রা নিয়ে কোনো স্পষ্ট তথ্য আমাদের কাছে নেই।’

এদিকে গতকাল শুক্রবার মেডিকেল সাময়িকী ল্যানসেটের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, রাশিয়ার ‘স্পুটনিক ফাইভ’ ভ্যাকসিনটি নিয়ে ৪২ দিন করে দুটি ট্রায়াল চালানো হয়েছে। প্রতিবারই অংশ নিয়েছেন ৩৮ জন সুস্থ ও প্রাপ্তবয়স্ক স্বেচ্ছাসেবী। পরীক্ষায় তাঁদের মধ্যে কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি; বরং তাঁদের শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি হওয়ার ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া গেছে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2021
Design & Developed by Freelancer Zone
themesba-lates1749691102