👤স্টাফ রিপোর্টার: শান্তা আক্তার আখড়া বাজার(সদর)কিশোরগঞ্জ
সারাদেশে অব্যাহত ধর্ষণ ও নারী নির্যাতনের প্রতিবাদে কিশোরগঞ্জে জেলা স্বেচ্ছাসেবী ফোরামের আয়োজনে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। মানববন্ধন শেষে ধর্ষকদের ফাঁসির দাবিতে মৌন মিছিল বের করেন অংশগ্রহণকারীরা।
বৃহস্পতিবার (৮ অক্টোবর) বিকাল ৩টায় শহরের আখড়া বাজার এলাকায় বিভিন্ন সংগঠনের সদস্যরা একত্রিত হয়ে এই মানববন্ধন ও প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করেন।
মানববন্ধনে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- রক্তদাতা সংগঠন বাঁধনের কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক সজিব হোসাইন, জেলা রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির শুভ্র বণিক, ব্লাড মেইটস অব কিশোরগঞ্জের আলভি আরাফাত ও আহফাজ হোসাইন আবির, বিডি ক্লিন কিশোরগঞ্জ-এর জেলা সমন্বয়ক এনামুল হক, তারুণ্যের রক্তদাতা সংগঠনের নাঈম ইসলাম সাগর, হাত্রাপাড়া সমাজ কল্যাণ সংস্থার মিজানুল হক, এসো পাশে দাঁড়াই সংগঠনের জোবায়ের আহমেদ, সূর্যোদয় সংগঠনের সাঈদ পাপ্পু ও মো. সিরাজুম মুনির, কুলিয়াচরের বশিরুজ্জামান অপু, তারুণ্যের আহ্বানের সুমন আচার্য্য।
এছাড়াও বক্তব্য রাখেন- কিশোরগঞ্জ ব্লাড ফাউন্ডেশনের নুসরাত মরিয়ম, কমপ্লেইন বক্স কিশোরগঞ্জের শাওন সাহা, বৃত্তের মোশারফ হোসেন রনি, মানবতার ছোঁয়ার আলফাজ উদ্দিন মিশু, রংধনু ব্লাড ডোনার ক্লাবের মো. সাগর, সৃজনের নিলয়, আশার আলো সংগঠনের মো. সিদ্দিক, মানবাধিকার সংগঠনের নীলা আক্তার, নানশ্রী ব্লাড ডোনার ক্লাবের কাওছার আহমেদ, এসো পাশে দাঁড়াই সংগঠনের জাহিদুল হক শরীফ, রক্ত কণিকার মো. শামীম, লাইফ সেভিং ব্লাড ডোনার ক্লাবের মো. সজিব।
উক্ত মানববন্ধনে আর ও উপস্থিত ছিলেন
কিশোরগন্জ নার্সেস এন্ড মিডওয়াইফ সোসাইটির সদস্য কিশোরগঞ্জ নার্সিং ইনস্টিটিউটের মিডওয়াইফারি শিক্ষার্থী শান্তা অাক্তার এবং এস. টি. এস নার্সিং কলেজের শিক্ষার্থী (বিএসসি-ইন নার্সিং) মিজানুর রহমান।
ধর্ষণবিরোধী এই মানববন্ধনের সমন্বয়ক ছিলেন রেডক্রিসেন্ট সোসাইটি কিশোরগঞ্জ জেলার যুব প্রধান হোসাইন মো. প্রদীপ।
বক্তারা বলেন- নারী নির্যাতন ও ধর্ষণকারীকে আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। নারী ও শিশু নির্যাতন, ধর্ষণসহ নারীর প্রতি সব ধরনের নির্যাতন ও সহিংসতা বন্ধে গণসচেতনতা কার্যক্রমকে গতিশীল করতে হবে। নারীর অর্থনৈতিক সক্ষমতা বাড়াতে অগ্রাধিকার ভিত্তিক কাজের সুযোগ দিতে হবে। নারী নির্যাতন, হত্যা, সন্ত্রাস, ধর্ষণ, অপহরণ, চাঁদাবাজিসহ সব ধরনের অপরাধে সম্পৃক্ত কর্মীদের চিহ্নিত করে রাজনৈতিক দল থেকে বহিষ্কার করতে হবে।
#দাবি_গুলো_নিম্নরুপঃ
১. ধর্ষণ আইন পুনর্ঘটনের মাধ্যমে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদন্ড নিশ্চিত করা।
২.ধর্ষনজনিত ঘটনা বা অপরাধের জন্য দ্রুত বিচার ট্রাইবুনাল গঠন ও দ্রুততম সময়ে বিচারের ব্যাবস্থা করতে হবে।
৩.ধর্ষিতার চিকিৎসা ও পূনর্বাসনের দায়িত্ব সরকারকে নিতে হবে।
৪.ধর্ষণ প্রতিরোধে আলাদা টাক্স ফোর্সের ব্যাবস্থা করতে হবে।
৫.শহরের অলিতে গলিতে সি সি ক্যামেরার ব্যাবস্থা করতে হবে।
৬.পূর্ববর্তী ধর্ষন বিষয়ক সকল মামলার রায় ৬ মাসের মধ্যে সম্পন্ন করতে হবে।
৭.দল, মত নির্বিশেষে ধর্ষককে বিচারের আওতায় আনতে হবে।
৮.এদেশের সকল নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।
আমার সোনার বাংলায় ধর্ষকের ঠাঁই নাই
স্লোগানের মাধ্যমে উক্ত আয়োজনের সমাপ্তি ঘোষনা করা হয়।
#সহযোগীতায়ঃ কিশোরগঞ্জের ১৩ উপজেলার সকল স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ও স্বেচ্ছাসেবকবৃন্দ ।
“সারাদেশে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলোর জন্য উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে এটি”