ডেস্ক রিপোর্ট ঃ-গাজীপুর সদর উপজেলার মনিপুর পপুলার হসপিটাল অ্যান্ড ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক সেন্টারের চেয়ারম্যান এবং ওটি ইনচার্জের বিরুদ্ধে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে মামলা করেছেন হাসপাতালের এক নার্স।
গত ১১ ডিসেম্বর জয়দেবপুর থানায় মামলার পর থেকে হাসপাতালের চেয়ারম্যান মো. সাইফুল ইসলাম (৩২) এবং ওটি ইনচার্জ মো. সুমন আহমেদ (৩০) পলাতক রয়েছেন।
মামলার বাদি জানান, মামলার বাদি মো. সাইফুল ইসলামের মালিকানাধীন হাসপাতালের তৃতীয় তলার কোয়ার্টারে বসবাস করে ওই হাসপাতালেই নার্সের চাকুরী করে আসছেন। প্রায় সময়ই আসামিরা আমার সাথে আপত্তিকর কথাবার্তা বলে ও তাদের সাথে অনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের জন্য কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিলো। আমি তাদের ওই প্রস্তাবে রাজি না হলে ও প্রতিবাদ করলে তারা আমার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে আমার ক্ষতি সাধনের পায়তারা করতে থাকে।
এমতাবস্থায় গত ২৬ নভেম্বর রাত সাড়ে ৯টার দিকে কোয়ার্টার থেকে মরিপুর বাজারে আসলামী মার্কেটে কেনাকাটার জন্য বের হই। এসময় জরুরী প্রয়োজনে হাসপাতালের চেয়ারম্যান আমাকে হাসপাতালের সামনে আসতে ফোন করেন। হাসপাতালের সামনে যাওয়ার পর আসামীরা এক রোগীর জরুরী ড্রেসিং করতে যেতে হবে বলে সেখানে অপেক্ষারত প্রাইভেট কারে উঠতে বলেন। পরে সরল বিশ্বাসে প্রাইভেটকারে উঠলে তারা প্রাইভেটকারযোগে মনিপুর বাজার হতে সামান্য দূরে একটি অজ্ঞাত স্থানে গিয়ে আমাকে তাদের সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের জন্য কুপ্রস্তাব দেয়। আমি তাদের প্রস্তাবে রাজি না হলে তারা সঙ্গে থাকা প্রাইভেটকারের ভেতরে জোরপূর্বক আমার ইচ্ছার বিরুদ্ধে আমাকে ধর্ষণের চেষ্টা করে এবং আমার স্পর্শকাতর স্থানে একাধিকবার হাত দেয়।
ভুক্তভোগী জানায়, এসময় আমি ডাক-চিৎকার দেয়ার চেষ্টা করলে তারা আমাকে হুমকি দিয়ে বলেন ঘটনার বিষয়ে কাউকে কিছু জানালে আমাকে মেরে ফেলবে। সেইসাথে আমার নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করবে বলে বিভিন্ন রকম ভয়ভীতি ও হুমকি দিয়ে আমাকে আমার কর্মস্থলে নামিয়ে দেয়। আসামিদের প্রাণনাশের হুমকিতে আতংকিত হয়ে আমার পরিবারের সাথে আলোচনা করে থানায় মামলা দায়ের করি।
এবিষয়ে গাজীপুর জয়দেবপুর থানার ওসি মো. জাবেদুল ইসলাম জানান, মামলাটি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এদিকে মামলার পর থেকে আসামিরা পলাতক রয়েছে।