বিডিনার্সিং২৪ রিপোর্টঃ নার্সিং এ এমন ডিউটি কি কেউ কখনও দেখেছেন? যাদের মর্নিং ডিউটি তাদের সবসময় মর্নিংআর যাদের ইভিনিং তাদের সবসময় ইভিনিং। নাইট ডিউটিও তেমন।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স বেতাগী বরগুনার ৩০জন নার্স এবং ৪জন মিডওয়াইফ। অভিযোগ আছে এখানের উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ফাহমিদা লস্কর নিজের ইচ্ছেমতো নার্সদের রোস্টার করতে চান। এখানের উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ফাহমিদা লস্কর তিনি হাসপাতালের নার্সদের ঠিকমতো সি এল দেন না। ১০ তারিখের আগে কেউ বেতন পাননা এই হাসপাতালের কেউ। নার্সদের বেতন-বিল ফরোয়ার্ডিং করতে সবসময়ই বিলম্ব করেন ফাহমিদা লস্কর।
নার্সদের অভিযোগ, সবারই পরিবার আছে, সংসার এবং সন্তান আছে। তিনি কারও কোনো সমস্যা শুনেন না , নিজের মতো সব চালায়। সে প্রতি মাসে ছুটি ছাড়া বাড়ি থেকে ঘুরে আসে। অন্যদের বেলায় কোন ছুটি নাই।এমার্জেন্সি কারো ছুটি লাগলে বহুত ব্যাখ্যা দিয়ে ছুটি নিতে হয়। নার্সদের সাপ্তাহিক ছুটির দিনে, বিকেল ডিউটি এবং নাইট ডিউটিতেও সকালে এসে ফিঙ্গার দিয়ে যেতে হবে তার কথায়। উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা সব স্টাফদের সাথে খুবই দুর্ব্যবহার করে এমন কি নার্সদের অপদার্থ বলে গালি দেয়।
নার্সদের অভিযোগ, যদি তাকে বলা হয় এরকম ডিউটি রোস্টার হলে কিভাবে হয় সবারইতো পরিবার আছে। এই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন নার্সিং পড়তে কে বলেছে? সরকার কি ডেকে এনে আপনাকে চাকরি দিছে?আরো অনেক কিছুই বলে সে। সে যা বলে চুপচাপ শুনতে হয় কিন্তু কোনো প্রতিবাদ করা যায় না। মুখ খুললেই বলে কাগজ-কলমে সে শাস্তি দিয়ে দিবে। এই ভয়ে কেউ কিছু বলেও না। ৩০ জন নার্সের ফেব্রুয়ারি মাসের রোস্টার দেখলেই সেচ্ছাচারিতার প্রমান মিলে।
সচেতন নার্সদের দাবী, অতিদ্রুত বেতাগী উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ফাহমিদা লস্করের অনিয়ম ও সেচ্ছাচারিতার তদন্ত করা হোক। নিশ্চিত করা হোক ভূক্তভোগী নার্সদের কর্মক্ষেত্রের সুন্দর পরিবেশ।