মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১০:১৩ অপরাহ্ন

উচ্চ রক্তচাপ: লক্ষণ ও প্রতিরোধে করণীয়

Reporter Name
  • Update Time : মঙ্গলবার, ৬ অক্টোবর, ২০২০
  • ৪২৫ Time View

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

উচ্চ রক্তচাপ কি?

রক্তচাপ যদি স্বাভাবিকের চাইতে বেশি থাকে তাহলে তাকে উচ্চ রক্তচাপ বা হাইপারটেনশন বলে। তবে কেও উচ্চ রক্তচাপে ভুগছে তা বলার আগে অন্তত তিন দিন তিনটি ভিন্ন সময়ে অন্তত ৫ মিনিট বসে থাকার পর রক্তচাপ মাপা উচিত। যদি তিন বারই বেশি পাওয়া যায়, তবে তিনি উচ্চ রক্তচাপে ভুগছেন বলে নিশ্চিত বলা যায়। বাংলাদেশে উচ্চ রক্তচাপ বা হাইপারটেনশনকে অনেকসময় শুধু “প্রেশার” বলেও উল্লেখ করা হয়।

লক্ষণ:

বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই উচ্চ রক্তচাপের তেমন কোন লক্ষণ থাকে না। আমাদের আশেপাশে এমন অনেক মানুষ আছেন, যারা উচ্চ রক্তচাপে ভুগছেন কিন্তু তারা নিজেরা সেটা জানেন না। বেশিরভাগ সময় দেখা যায় অন্য কোনো রোগের জন্য চিকিৎসা নিতে গিয়ে অথবা দীর্ঘদিনের উচ্চ রক্তচাপ থেকে কোন একটা জটিল বা খারাপ কিছু হবার পরেই ধরা পড়ে এই উচ্চ রক্তচাপের ব্যাপারটা। এজন্য একে ‘নীরব ঘাতক’ বলা হয়ে থাকে। অনেকের ক্ষেত্রে অবশ্য মাথা ব্যাথা বা ভার লাগা, শরীর খারাপ লাগা ইত্যাদি দেখা যায়। এক অর্থে তাদের ভাগ্য ভাল, কারণ তাদের ক্ষেত্রে প্রথম দিকেই রোগটা ধরা পড়ে।

রক্তচাপ অনেক বেশি বেড়ে গেলে আরও কিছু লক্ষণ দেখা যেতে পারে, যেমন, মাথা ব্যাথার পাশাপাশি চোখে ব্যাথা বা ঝাপসা দেখা, নিশ্বাস নিতে কষ্ট হওয়া অথবা নাক দিয়ে রক্ত পড়া। একে ম্যালিগন্যান্ট হাইপারটেনশন বলে। সেক্ষেত্রে দেরী না করে হাসপাতালে ছোটা উচিত।

ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা চিকিৎসক ব্রিগেডিয়ার আব্দুল মালিকের মতে উচ্চ রক্তচাপ আগে থেকে শনাক্ত করা এবং তা প্রতিরোধে বিভিন্ন ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন

প্রতিরোধে করণীয়:
ডা: আব্দুল মালিকের মতে যে কোনো স্বাস্থ্যকেন্দ্র বা স্বাস্থ্যকর্মীর কাছে গেলেই রক্তচাপ মেপে নেয়া উচিৎ। তিনি বলেন, “হয়তো গেছেন দাঁতের ডাক্তারের কাছে। তবু প্রেশার একবার মাপিয়ে নিন।” তার মতে, ২০ বছর বয়স থেকেই বছরে একবার রক্তচাপ মাপা উচিৎ। ৩৫-৪০ বছর বয়স থেকে আরো নিয়মিত মাপতে হবে। এক্ষেত্রে বাবা-মা কারো যদি উচ্চ রক্তচাপ থাকে, তবে সন্তানদের আরো সতর্ক হতে হবে।

ডা. মালিক আরো বলছেন, উচ্চ রক্তচাপ ধরা পড়লে প্রথমদিকে ওষুধ ছাড়াই এর চিকিৎসা কিভাবে করা যায় সেটা দেখতে হবে। তিনি চারটি ব্যাপারে জোর দেন:

১. লবণ খাওয়া কমাতে হবে।

২. ওজন বেশি হলে ওজন কমাতে হবে।

৩. নিয়মিত হাঁটাচলা করতে হবে।

৪. ধূমপান অবশ্যই বর্জন করতে হবে।

আপনার উচ্চ রক্তচাপ না থাকলেও এই চারটি নিয়ম মেনে চললে ভবিষ্যতে উচ্চ রক্তচাপ হবার সম্ভাবনা অনেক কমে যায়।

ডা. মালিক বলেন, “একবার ওষুধ খাওয়া শুরু করলে চালিয়ে যাওয়া উচিৎ। প্রেশার নিয়ন্ত্রণে চলে আসলেও ওষুধ খাওয়া চালিয়ে যাওয়া উচিৎ। কারণ ওষুধ বন্ধ করলে আবার রক্তচাপ বেড়ে যাবার সম্ভাবনা থাকে। আর মাঝে মাঝেই ডাক্তারের কাছে ফলো আপ এর জন্য যাওয়া উচিত ওষুধ ঠিকমত কাজ করছে কিনা, অন্য কোন জটিলতা তৈরি হচ্ছে কিনা। এছাড়া যেকোন সমস্যায় ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করা উচিত।”
তিলক বালা/বিডিনার্সিং২৪

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2021
Design & Developed by Freelancer Zone
themesba-lates1749691102