মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:৫৯ পূর্বাহ্ন

বেসরকারি খাতে করোনা পরীক্ষার ফি কমানোর সুপারিশ

Reporter Name
  • Update Time : বৃহস্পতিবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২১
  • ৩২০ Time View

✍নিজস্ব প্রতিবেদকঃবেসরকারি খাতে করোনাভাইরাস পরীক্ষার মূল্য কমানোর পরামর্শ দিয়েছে কোভিড-১৯–সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি। তারা রিয়েল টাইম-পিসিআর পরীক্ষার মূল্য ১ হাজার ৫০০ থেকে ২ হাজার টাকার মধ্যে নির্ধারণের পরামর্শ দিয়েছে।
গতকাল বুধবার সভা শেষে কমিটি এই পরামর্শ দেয়। কমিটি বলেছে, করোনা পরীক্ষার কিটের দাম কমে গেছে। আগে ছিল ২ হাজার ৭০০ থেকে ৩ হাজার টাকা। এখন দাম কমে দাঁড়িয়েছে ৮০০ থেকে ১ হাজার টাকা।

এরই পরিপ্রেক্ষিতে কমিটি পরীক্ষার সংখ্যা বাড়ানোর উদ্দেশ্যে বেসরকারি পর্যায়ে করোনা পরীক্ষার দাম পুনর্নির্ধারণের সুপারিশ করেছে। গতকাল সভায় কমিটি বলেছে, প্রতিবেশী দেশ ভারতে করোনাভাইরাসের নতুন ধরন শনাক্ত হয়েছে। এ জন্য বাংলাদেশের সতর্ক হওয়া জরুরি। ভারত থেকে কেউ বাংলাদেশে এলে অবশ্যই ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করতে হবে।

এ ছাড়া সম্প্রতি ভারত থেকে করোনাভাইরাস সংক্রমিত হয়ে আসা ১০ জন ব্যক্তি হাসপাতাল থেকে পালানোর পর যাঁদের সংস্পর্শে গেছেন, তাঁদেরও চিহ্নিত করে কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করার কথা বলেছে কমিটি।

কোভিড-১৯–সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ সহিদুল্লার সভাপতিত্বে ও সদস্যদের উপস্থিতিতে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় ভারতে সংক্রমণের কারণে বাংলাদেশের বর্তমান নিম্নমুখী অবস্থান পরিবর্তন হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হয়। এ জন্য পর্যাপ্ত অক্সিজেন সরবরাহের বিষয়টি নিশ্চিত করার পরামর্শ দেয় কমিটি।

সভায় মহাখালী ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন হাসপাতালে ম্যাটারনিটি কর্নার বা ইউনিটের ব্যবস্থা করারও বিশেষ পরামর্শ দেওয়া হয়। পাশাপাশি সরকার ঘোষিত বিভিন্ন হাসপাতালে করোনা সংক্রমিত গর্ভবতী নারীদের সেবা নিশ্চিতে গৃহীত উদ্যোগ দ্রুত বাস্তবায়নের অনুরোধ করা হয়।

তা ছাড়া শুধু রাজধানীকেন্দ্রিক না করে জেলা পর্যায়ের হাসপাতালগুলোতে আইসিইউ ও কেন্দ্রীয় অক্সিজেন সরবরাহের উদ্যোগ বাড়ানোর দাবি জানানো হয়।

কমিটি পর্যবেক্ষণে বলা হয়, স্বাস্থ্যকর্মীরা ‘বার্ন-আউট’ (অত্যধিক কাজের ফলে বিপর্যস্ত) হয়ে যাচ্ছে। এ অবস্থা থেকে রেহাই পেতে কোভিড-১৯ রোগীদের চিকিৎসার জন্য আরেক দল চিকিৎসক (নিউ সেট) প্রস্তুত করার সুপারিশ করা হয়। এ ছাড়া লকডাউনের সময় চিকিৎসকদের যাতায়াত সহজ রাখা ও তাঁরা মানসম্মত পর্যাপ্ত পিপিই পাচ্ছেন কি না, তা পর্যবেক্ষণের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে।

একই সঙ্গে বিভিন্ন শ্রেণির কর্মচারী, নার্স, টেকনিশিয়ান ও অ্যানেসথেটিস্ট নিয়োগের ওপর জোর দেওয়া হয়। কমিটি মনে করে, জনবলের ঘাটতি রেখে সেবার মান উন্নয়ন সম্ভব নয়।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2021
Design & Developed by Freelancer Zone
themesba-lates1749691102