আমি মাহমুদা বেগম, সিনিয়র স্টাফ নার্স, সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৯নং ওয়ার্ডে কর্মরত। গত ১৬/০৬/২০২০ ইং তারিখে কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে কোয়ারেন্টাইন শেষে যথারীতি কর্তব্য কাজ অব্যাহত থাকা অবস্থায় গত ১৯/১০/২০২০ ইং তারিখে ডিউটি থেকে বাসায় ফিরে শারীরিক অবস্থা খারাপ হতে থাকে। এমতাবস্থায় মধ্যরাতে আমার স্বামী আমাকে অত্র হাসপাতালের ২নং ওয়ার্ডে ভর্তি করান। এখানে চিকিৎসা পাবার পর আমার সেন্স ফিরলে ও কথা বলতে পারছিলাম না। আমি স্টাফ কেবিনে থেকে চিকিৎসা নিচ্ছিলাম। এমতাবস্থায় ২৩/১০/২০২০ ইং তারিখে শুক্রবার বিকেলের দিকে আমার অবস্থা মরনাপন্ন পর্যায়ে চলে যায়। ঠিক এ মুহুর্তে ৯নং ওয়ার্ডের ইনচার্জ ও আমার স্বামী ইঘঅ এর সেক্রেটারী মানুষের জন্য নিবেদিত প্রাণ, নার্সের মহামানব, জনাব ইসরাইল আলী সাদেক ভাইকে আমার অবস্থার কথা জানায়। এই মানুষটা সিলেটের বাহিরে ছিলেন তার পরও আমার জন্য তাৎক্ষনিক ICU এর ব্যবস্থা করতে কুন্ঠাবোধ করেননি। ৫ দিন ICU থাকার পর আমি প্রাণে বেঁচে যাই। এমনকি এই মানুষ আমার একমাত্র ছেলের জন্ম দিন পালন করেন আমি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায়। আল্লাহর রহমতে জীবনে বেঁচে গিয়ে আমি ইসরাইল সাদেক ভাই কে ধন্যবাদ জানিয়ে ঋণ শোধ করতে চাই না। আমি আরও কৃতজ্ঞতা জানাই SOMCH এর পরিচালক স্যার, ডি.ডি. স্যার, সেবা তত্বাবাধয়ক রেনুয়ারা ম্যাডাম, এসিসট্যান্ট ম্যাট্টন রিনা ম্যাডাম, নার্সিং সুপারভাইজারগণ, ICU ডাক্তার, নার্সগণ, বাংলাদেশ নার্সেস এসোসিয়েশন এর সাধারণ সম্পাদক ইসরাইল আলী সাদেক, সভাপতি শামীমা নাসরিন, কার্যকরী কমিটির সদস্য ও আমার বর্তমান কর্মস্থল পুরুষ অর্থোপেডিক ওয়ার্ডের ইনচার্জ তাইয়্যূবুনা আক্তার, ICU ইনচার্জ কনকলতা, কিবরিয়া খোকন, সুলেমান, ইমার্জেন্সি ইনচার্জ আমিনুল ইসলাম, রনজিৎ সেন ও আমার অন্যান্য সহকর্মীবৃন্দ।
বাংলাদেশ নার্সেস এসোসিয়েশন এর সাধারণ সম্পাদক ইসরাইল আলী সাদেক ও SOMCH এর সকল কর্মকর্তা / কর্মচারীবৃন্দকে আরও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন আমার পরিবারের লোকজন: স্বামী সেবুল আহমদ, সিনিয়র অফিসার গ্রামীণ ব্যাংক, ছোট বোন তাছলিমা বেগম, ছাত্রী SUST, অভিভাবক বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল করিম, মোঃ শাহনুর হোসাইন, নির্বাহী সদস্য, বিশ্বনাথ উপজেলা আওয়ামীলী, বড় ভাই এস.আই আব্দুল আজিজ শিমুল, কতোয়ালী থানা প্রমুখ।