👤স্টাফ রিপোর্টার: জেবিন লামিয়া,
নড়াইল,🕝 ১০ সেপ্টেম্বর ২০২০
🌦️খাতায় কলমে বর্ষা বিদায় নিলেও মাঝেমধ্যেই জোর কয়েক পশলা বৃষ্টি ভিজিয়ে দিয়ে যাচ্ছে৷ একে ভাদ্র মাসের গুমোট গরম, তার উপর বৃষ্টির জল, দুয়ে মিলে ত্বকে ব্রণ, ফুসকুড়ি, ফাঙ্গাল ইনফেকশনের মতো নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে৷ কিন্তু সামান্য যত্ন নিলেই ত্বকের এ সব সমস্যা প্রতিহত করা যায়। প্রাথমিক স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাটা খুব দরকার। পরিচ্ছন্ন থাকুন, কাচা জামাকাপড় পরুন। নিয়মিত মুখ পরিষ্কার রাখতে, স্নান করতেই হবে। শরীরের কোথাও ছত্রাক আক্রমণ হলে প্রাথমিক পর্যায়ে অ্যান্টি ফাঙ্গাল পাউডার লাগাতে পারেন। তাতে না কমলে বা বাড়াবাড়ি হলে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া দরকার।
🌴পায়ের যত্ন
বর্ষার ঝড়ঝাপটা সবচেয়ে বেশি যায় আপনার পায়ের উপর দিয়ে। পা ভেজাও থাকে অনেকক্ষণ ধরে। তাই এই সময় চাপা ও বন্ধ জুতো পরবেন না। তাতে জুতো যেমন অনেক বেশি সময় ধরে ভেজা থাকবে, তেমনি পা শুকোতে সময়ও নেেব বেশি। ওয়াটারপ্রুফ জুতো, স্যান্ডাল, পা খোলা জুতো এই সময় আদর্শ। বর্ষার জলে পা ভিজে গেলে বাড়ি ফিরে পরিষ্কার জলে পা ধুয়ে হালকা ময়েশ্চারাইজ়ার লাগিয়ে নিন। ভেষজ উপাদানযুক্ত ফুটক্রিম ব্যবহার করে দেখতে পারেন৷ ক্যালেন্ডুলা বা হলুদের গুণসম্পন্ন ময়েশ্চারাইজ়ার বা ক্রিম ব্যবহার করলে ছত্রাকের আক্রমণ তো দূরে থাকবেই, বরং মেঘে ঢাকা আকােশও ঝলমল করবে আপনার ত্বক!
🌿ত্বকে বৃষ্টির জল লেগে গেলে কী করবেন?
অনেকেই বৃষ্টিতে ভিজতে ভালোবাসেন৷ অল্পস্বল্প বৃষ্টির ফোঁটা মুখে লাগলে অবশ্য চিন্তার কিছু নেই কারণ অনেক বিশেষজ্ঞ মনে করেন বৃষ্টির জলে ব্রণ, ফুসকুড়ির মতো সমস্যা অনেকটাই কমে। তা ছাড়া ভ্যাপসা গরমে গায়ে বৃষ্টির জল লাগলে ত্বক ঝটপট শীতলও হয়ে যায়। তবে বৃষ্টির জলে অনেক দূষিত ধুলোবালি মিশে থাকে যা ত্বকের পক্ষে মোটেই ভালো নয়৷আসলে বৃষ্টির জল কতটা পরিষ্কার হবে, সেটা নির্ভর করে আপনি কোন এলাকায় থােকন, তার উপর। আপনি যদি সুইস আল্পস পাহাড়ে থাকেন, তা হলে সেখানকার বৃষ্টির জল যতটা পরিষ্কার হবে, কোনও কলকারখানা বহুল জায়গায় সেটা হওয়া সম্ভব নয়। তাই বৃষ্টিতে ভেজার আগে অগ্রপশ্চাৎ বিবেচনা করে নেওয়াই ভালো!
🌺বর্ষার ত্বকচর্চা
মেঘলা, আর্দ্র দিনে ধুলোময়লা ত্বকে আটকে থাকে। তাই প্রতিদিন তিনবেলা করে অবশ্যই ত্বক পরিষ্কার করুন৷ গ্রিন টি-র নির্যাসযুক্ত ফেসওয়াশ ব্যবহার করলে ত্বক তরতাজা থাকবে। দিনের বেলা ত্বকের যত্ন নেওয়ার সময় না থাকলে রাতে পুষিয়ে দিন৷ স্বাভাবিক ত্বকে ক্লেনজ়িং আর ময়েশ্চারাইজ়িং করতেই হবে। ডিপ ময়েশ্চারাইজ়িং টিস্যু মাসাজ করলে ম্যাজিকের মতো ফল পােবন। শুষ্ক ত্বক হলে ক্লেনজ়িং আর ময়েশ্চারাইজ়িংয়ের পাশাপাশি এক্সফোলিয়েট করাও খুব দরকার। তেলতেলে ত্বক হলে হট ওয়াটার মাসাজ নিয়ে দেখতে পারেন, ত্বক কোমল হবে চোখে পড়ার মতো।
এ ছাড়া প্রচুর জল খান আর অতিরিক্ত তেল কমাতে ফেস স্ক্রাব ব্যবহার করুন। দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় থাক প্রচুর টাটকা শাকসবজি আর ফল। তবে বর্ষায় শাকসবজি খাওয়ার আগে ভালো করে ধুয়ে নেবেন, না হলে পেটের সমস্যা হতে পারে।