নিজস্ব প্রতিবেদক
বুধবার, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২০
করোনা মহামারী শুরু থেকে কর্মরত ডাক্তার, নার্সরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দিনরাত রোগীর সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। অথচ এই ফ্রন্ট লাইনাররা গত পাঁচ মাস থেকে বেতন পাচ্ছেন না। এমনকি তাদের ঈদের বোনাস ও দেয়া হয়নি। এই পাঁচ মাসে তাদের প্রায় ১৫ কোটি টাকা পাওনা বলে অভিযোগ করেছেন। ডাক্তার নার্সদের তোপের মুখে হাসপাতালটির পরিচালক প্রফেসর ডা. মোঃ মোরশেদ আন্দোলনের মুখে এক সময় অবরুদ্ধ হয়ে পরেন।
কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের দাবি, বেতনের জন্য কেউ কথা বল্লেই তাকে বরখাস্ত করার হুমকি দেয়া হয়। তবে, আন্দোলনের একপর্যায়ে পরিচালক সাংবাদিকদের জানান, অতিদ্রুতই এই যৌক্তিক পাওনার বিষয়টি মিটিয়ে দেয়া হবে।
কিন্তু আন্দোলনের একপর্যায়ে হাসপাতালটিতে আসেন রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির ভাইস চেয়ারম্যান, তিনি সকলের উদ্দেশ্যে সাফ জানিয়ে দেন, হাসপাতালের আয় না হলে বেতন ভাতা সম্ভব নয়। তিনি আরো বলেন, এটা কোন প্রাইভেট হাসপাতাল নয়। এটি হলো রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির একটি হাসপাতাল। এখানে ইনকামের মাধ্যমেই কিন্তু বেতন ভাতা প্রদান করা হয়। যদিও কভিড-১৯ সরকার ঘোষিত বেসরকারি হাসপাতালের মধ্যে এটি অন্যতম এবং অন্যান্য বেসরকারি হাসপাতাল একই সময়ে নাম মাত্র রোগী নিয়ে চলেও কর্মকর্তা কর্মচারীগনের বেতন মাসে মাসে পরিশোধ করেছিল। সেখানে এই হাসপাতালে রোগী নিয়ে ভালভাবেই চলছিল।
নিশ্চিত কোন সমাধান না হওয়ায় পরবর্তী কর্মসূচি নিয়ে ভাবছেন চিকিৎসক ও নার্স ও কর্মচারীরা।এদিকে, মঙ্গলবার হাসপাতালটির সাথে কভিড-১৯ চুক্তি বাতিল করেছেন সরকার এবং আগামী সাত দিনের মধ্যে হাসপাতালের সকল রোগীদের সরকারি হাসপাতালে সরিয়ে নেয়ার ও নির্দেশ দেয়া হয়।
খাইরুল ইসলাম/বিডিনার্সিং২৪