স্টাফ রিপোর্টার:সুরাইয়া খাতুন, নাটোর
সিজোফ্রেনিয়া একটি মানসিক ব্যাধি। এই রোগের বৈশিষ্ট্য হচ্ছে এতে চিন্তাধারা এবং অনুভূতি প্রকাশের মধ্যে সঙ্গতি থাকে না৷
ছেলেটি অনেক মেধাবী ছিল কিন্তু পড়াশোনার চাপ বেশি নিতে গিয়ে মানসিক ভারসাম্য হারিয়েছে। কিংবা এমনও শোনা যায় মানুষটি আগে প্রানবন্ত ছিল কিন্তু প্রেমে ব্যর্থ হওয়ার পর থেকে কেমন যেন হয়ে গেছে,একলা একলা থাকে,কারো সাথে মিশে না,,বিরবির করে কথা বলে। এমন কথা আমরা প্রায়ই শুনি।
সিজোফ্রেনিয়া এই নামটির সাথে আমরা অনেকেই পরিচিত। এর লক্ষণগুলো হলো উদ্ভট চিন্তা করা,বিভ্রান্তিকর বা অলীক কিছু দেখা,অসঙ্গতিপূর্ণ কথাবার্তা বলা এবং অন্যরা যা শুনতে পায়না এমন কিছু শোনা।
কিন্তু শুধু কি এসব কারণেই সিজোফ্রেনিয়া হয়ে থাকে? উত্তরে ডাক্তাররা বলেছেন এসব কারণে সিজোফ্রেনিয়া হয় না।
সিজোফ্রেনিয়ার কিছু রিস্ক ফ্যাক্টর আছে। যদি কারো মাঝে রিস্ক ফ্যাক্টরগুলোর কোনো একটি আগে থেকেই থাকে এবং পরবর্তীতে যখন কোনো একটি মানসিক কষ্ট বা চাপের মধ্যে দিয়ে যায় তখন এই অসুখটি হওয়ার গতি অনেক বেশি ত্বরান্বিত হয়।
সিজোফ্রেনিয়া হওয়ার ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কারণ হচ্ছে জেনেটিক কারণ। গবেষণা বলে যত মানুষের সিজোফ্রেনিয়া হয় তার প্রায় ৮০% বংশগত। যদি বাবা বা মা যেকোনো একজনের এই অসুখটি থাকে তাহলে পরবর্তীতে বাচ্চার হওয়ার সম্ভাবনা ১৭% আর যদি বাবা এবং মা উভয়ের এটি থাকে তাহলে সন্তানের হওয়ার সম্ভাবনা ৪৬%।
সিজোফ্রেনিয়া পুরোপুরিভাবে প্রকাশ পাওয়ার কয়েক মাস বা বছর পূর্বে কিছু লক্ষণ প্রকাশ পায়।
লক্ষণ-সমূহ এপিসোডিক বা হঠাৎ ঘটে থাকতে পারে।যেমনঃ
১.অসংলগ্ন আচরণ
২.এলোমেলো এবং সংযোগবিহীন চিন্তা ও তার বহিঃপ্রকাশ।
৩. জীবন এবং তার সংশ্লিষ্ট কাজের প্রতি উৎসাহ হারিয়ে ফেলা।
৪.অডিটরি হ্যালুসিনেশন দেখা।
মানুষের যেমন শারীরিক অসুখ হয় তেমনি মানসিক অসুখও হয়। এই ব্যাধি মূলত চেতনাকে আক্রান্ত করে বলে ধারণা করা হয়, কিন্তু এটা একই সাথে প্রায়শই আচরণ এবং আবেগ গত দীর্ঘস্থায়ী সমস্যা বৃদ্ধি করে।