বুধবার, ০২ অক্টোবর ২০২৪, ০৬:৪১ অপরাহ্ন

সেবা খাতে অনিয়মের অভিযোগ টাঙ্গাইল ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে

Reporter Name
  • Update Time : সোমবার, ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২০
  • ৭৮৩ Time View

বিডিনার্সিং২৪ :- টাঙ্গাইল ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের নার্সিং সেবায় দীর্ঘদিন যাবত নানা অনিয়ম ও দূর্নীতি চলে আসছে। ফলে হাসপাতালের সিঁড়িতে সিঁড়িতে অনিয়ম ও দূর্নীতির আখড়ায় পরিনত হয়েছে বলে বিভিন্ন মহল থেকে অভিযোগ ওঠেছে। এতে করে হাসপাতালে সেবা নিতে আসা রোগীদের পোহাতে হচ্ছে রন্ধ্রে রন্ধ্রে হয়রানি ও ভোগান্তি।

লিখিত অভিযোগের সূত্রে জানা যায়, টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের নার্সিং সেবায় অনেকেই জুনিয়র হয়েও একটি সিন্ডিকেটের মাধ্যমে দীর্ঘদিন যাবত ইনচার্জের দায়িত্ব পালন করে আসছেন। অথচ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মিডওয়াইফারি মহাপরিচালক নার্সিং (অতিরিক্ত সচিব) তন্দ্রা সিকদার স্মারক নং ডিজিএনএম/শাও/৪টি- ১৪/২০১৬/৩৩২৭, ১৩.০৬.২০১৭ইং তারিখে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয় যে, দুই বছর অন্তর অন্তর ওয়ার্ড ইনচার্জের পরিবর্তনের কথা বলা হলেও কোন প্রকার দৃশ্যমান ফলাফল লক্ষ্য করা যায়নি এ হাসপাতালে। অপরদিকে  স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মিডওয়াইফারি ও নার্সিং এর মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) সিদ্দিকা আক্তার স্মারক নং ৪৫.০৩.০০০০.৩০১.১১.০০১.১৯/৩৮৭/১(১০০) ১৬.০৬.২০২০ইং তারিখে এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন শিক্ষা ও প্রশিক্ষন) পিএ, আব্দুল হাই স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানা যায় ওয়ার্ড ইনচার্জ এর পরিবর্তনের কথা বলা হলেও টাঙ্গাইল হাসপাতালের সেবা তত্ত্বাবধায়ক নতুন ওয়ার্ড ইনচার্জের তালিকা তৈরী করে লিখিত আকারে স্থায়ী হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে প্রস্তাবনা করেন। কিন্তু সেবা তত্ত্বাবধায়কের তৈরীকৃত ওয়ার্ড ইনচার্জ এর তালিকার মধ্যে ডিজিএনএম কর্তৃক যে পরিবর্তন ঘটার কথা, ঘটছে তার উল্টোটা। এ নিয়ে সেবা তত্ত্বাবধায়ক ও বিতর্কিত নার্সিং ইনচার্জের তালিকা এবং বদলী নিয়ে সাধারন নার্সদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এ বিষয় নিয়ে সাধারন নার্সরা প্রতিবাদ করতে গেলে স্বঘোষিত নার্সিং সুপারভাইজার ও সিন্ডিকেট সদস্য এম.এ হামিদ ও সৈয়দা শামীমা (সুরমা) সহ আরও দুইজন সেবা তত্ত্বাবধায়ক নাজমা পারভীনের যোগসাজসে দীর্ঘদিন যাবত প্রতিবাদকারীদের হুমকি দিয়ে নানা অপকর্ম করে যাচ্ছে দেদারছে।

হাসপাতালের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক নার্স জানান, সিনিয়রদের অপমান, অবমূল্যায়ন করা হচ্ছে, সিন্ডিকেটের কারণে সিনিয়র জুনিয়রদের দায়িত্ব পালনে কোন ভেদাভেদ নেই। এদের মধ্যে অনিয়মের মাধ্যমে লাল মামুদ ও মমতাজ বেগম নামের দুইজনকে ওয়ার্ড ইনচার্জের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। অপরদিকে নার্সিং সুপারভাইজার অফিসের বাইরেও অনেক নার্স আছে যারা রাত্রি কালিন ডিউটি করেন না। এর কারণ সুপারভাইজার ইনচার্জ এম.এ হামিদ শুধুমাত্র তাদেরকে দিনের বেলায় ডিউটি করার অনুমতি দিয়েছেন, শুধু তাই নয় এম.এ হামিদ নিজেকে স্বঘোষিত নার্সিং নেতাও দাবী করেন। এমনকি তিনি হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা নিতে আসা জন্মগতভাবে পা বাকা শিশুদের প্লাস্টার করার নিয়ম ডাক্তারদের থাকলেও তিনি বাহিরের লোকজন নিয়ে প্রতিরোগীর অভিভাবকদের নিকট থেকে ৫’শ থেকে ৭’শ টাকা হাতিয়ে নেন বলে অভিযোগ ওঠেছে।

এ ব্যাপারে নার্সিং সুপারভাইজার ইনচার্জ এম.এ হামিদ তার বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগ ও অনিয়ম প্রসঙ্গ এড়িয়ে গেলেও প্লাস্টার করা রোগীর অভিভাবকরা ইচ্ছাকৃতভাবে টাকা দিলে আমরা সেটা গ্রহন করি। এ ব্যাপারে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের নার্সিং সেবা তত্ত্বাবধায়ক নাজমা পারভীনের সাথে বিভিন্নভাবে যোগাযোগ করে তাকে পাওয়া যায়নি।

এ বিষয়ে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. সদর উদ্দিন মুঠো ফোনে জানান, এ বিষয়ে আমার জানা নেই

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2021
Design & Developed by Freelancer Zone
themesba-lates1749691102