শুক্রবার, ১১ অক্টোবর ২০২৪, ০৫:৪৯ অপরাহ্ন

শিশুর খাওয়া নিয়ে চিন্তা! জেনে নিন বিস্তারিত

Reporter Name
  • Update Time : রবিবার, ৬ সেপ্টেম্বর, ২০২০
  • ৪৯৩ Time View

👤স্টাফ রিপোর্টার-আকিব জাভেদ🕐০৬সেপ্টেম্বর২০২০

ছোট্ট সোনামণির খাবারদাবার নিয়ে মা-বাবার ভাবনার শেষ নেই। কোন বয়সে কী খাবে ওরা, কতটা পরিমাণ খাওয়ানো দরকার, এসব প্রশ্নের উত্তর জেনে নেওয়া যাক।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশু বিভাগের অধ্যাপক সাঈদা আনোয়ার বলেন, জন্মের পর প্রথম ছয় মাস শিশুকে শুধু বুকের দুধ খাওয়াতে হবে, এই সময়টাতে শিশুকে আলাদাভাবে পানি পান করতে দেওয়ারও প্রয়োজন নেই। ছয় মাস পূর্ণ হওয়ার পর থেকে শিশুকে দিতে হবে বাড়তি খাবার।
এই বয়সী শিশুদের খাদ্যাভ্যাস প্রসঙ্গে তাঁর আরও পরামর্শ দেখে নিন।

ছয় মাস থেকে এক বছর বয়সী শিশুদের মায়ের দুধের পাশাপাশি তিন বেলা বাড়তি খাবার দেওয়া প্রয়োজন।

তবে এই বয়সেও শিশুর মূল খাবার মায়ের দুধ। অর্থাৎ, বাড়তি খাবারের পরিমাণটা হবে কম।

তিন বেলা খাবারের মধ্যে দুবেলা খিচুড়ি বা নরম ভাতের মতো একটু ভারী খাবার দেওয়া যেতে পারে। বাকি এক বেলা হালকা কোনো খাবার (ফলের রস বা নরম ফল, যেমন, কলা) দিতে পারেন।
আধা সেদ্ধ ডিম, সবজির স্যুপ বা ছোট মুরগির স্যুপও শিশুর জন্য ভালো।

বিভিন্ন পুষ্টি উপাদানমিশ্রিত খাবার বাইরে থেকে কিনে আনার চেয়ে ঘরেই বিভিন্ন পুষ্টিকর উপাদান দিয়ে সুস্বাদু খাবার তৈরি করে দেওয়া ভালো।

এক বছরের বেশি বয়সী শিশুদের ক্ষেত্রে মায়ের দুধের পরিমাণটা ধীরে ধীরে কমিয়ে দিতে হবে। এই বয়সে বাড়তি খাবার প্রয়োজন সারা দিনে পাঁচবার।
কোনো অবস্থাতেই শিশুকে জোর করে খুব বেশি পরিমাণ খাবার খাওয়ানো ঠিক নয়। বাড়ন্ত শিশু কোনো একটি খাবার খেতে পছন্দ না করলে সেটির পরিবর্তে একই পুষ্টিমানের অন্য কোনো খাবার দেওয়া যেতে পারে। যে শিশুটি খিচুড়ি খেতে চায় না, তাকে নরম ভাতের সঙ্গে ডাল, সবজি, মাছ বা মাংস ভালোভাবে মিশিয়ে খেতে দিতে পারেন।

শিশুকে দুই বছর বয়স পর্যন্ত মায়ের দুধ খাওয়াতে হবে। দুই বছর পূর্ণ হওয়ার আগ পর্যন্ত শিশুকে গরুর দুধ বা কৌটার দুধ খাওয়ানো যাবে না।
উদ্ভিজ্জ আমিষ শিশুর জন্য বেশি উপযোগী। তাই মাছ বা মাংস শুরু করার আগে শিশুর খাবারে ডাল যোগ করুন।

খিচুড়ি তৈরি করতে সমপরিমাণ চাল ও ডাল নেওয়া উচিত।

ছয় মাস বয়সী শিশুদের সামান্য ডিমের কুসুম দেওয়া যায়, এরপর কুসুমের পরিমাণটা ধীরে ধীরে বাড়াতে হবে। সেদ্ধ বা পোচ করা ডিমের কুসুম, দুটিই শিশুদের উপযোগী।
এর বেশ কিছুদিন পর থেকে ডিমের সাদা অংশ খাওয়ানো শুরু করতে পারেন। ছয় মাস বয়স থেকে শিশুকে পানি পান করানো উচিত।

নুডলস স্যুপ বা জাউভাতও দিতে পারেন শিশুকে।

যেকোনো একটি খাবার শুরু করার পর একটানা তিন থেকে পাঁচ দিন সেই খাবারটি দেওয়া উচিত, ওই খাবারটিতে শিশুর অ্যালার্জি আছে কি না বা সেটি খেলে শিশুর অন্য কোনো সমস্যা হয় কি না, তা এই সময়ের মধ্যেই ধরা পড়বে।

টকজাতীয় ফল শিশুদের দেওয়া ঠিক নয়। মোটামুটি নয় মাস বয়সের আগে শিশুদের টকফল দেওয়া উচিত নয়। মিষ্টি ফলগুলো শিশুদের জন্য বেশি উপযোগী।
শিশুদের খাবারে বেশি লবণ দেওয়া ঠিক নয়। আর চিনির পরিবর্তে মধু বা গুড় ব্যবহার করা ভালো।

গড়ে এক বছর বয়সের মধ্যেই শিশুরা পরিবারের বাকিদের মতো খাবার খেতে পারে, তবে এটি নির্ভর করে শিশুর দাঁত ওঠার সময়ের ওপর। যে শিশুর আগে দাঁত উঠবে, সে একটু আগে আগেই স্বাভাবিক খাবারে অভ্যস্ত হতে পারবে।

আর যেসব শিশুর দাঁত উঠতে একটু দেরি হয়, তাদের সম্পূর্ণ স্বাভাবিক খাবারে অভ্যস্ত হতে একটু সময় লাগলেও ভয়ের কিছু নেই।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2021
Design & Developed by Freelancer Zone
themesba-lates1749691102