📝স্টাফ রিপোর্টার-
জেসমিন আক্তার
নেত্রকোনা,ঢাকা, বাংলাদেশ
মিডওয়াইফ হলেন এমন একজন দক্ষ ও শিক্ষিত সেবিকা, যিনি মা ও শিশুকে নিবিড়ভাবে সেবা দেবেন এবং যদি কখনো কোনো ধরনের জটিলতা হয়, সেটা বুঝতে পারবেন এবং প্রাথমিক সেবা দিয়ে সঠিক সময়ে সঠিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পাঠিয়ে দেবেন। মা ও শিশুর সেবা ছাড়াও নারীর প্রজনন স্বাস্থ্যসেবা, নারী ও শিশুর পুষ্টি, পরিবার পরিকল্পনা পদ্ধতি গ্রহণে সহায়তা করবেন। সব মিলিয়ে মিডওয়াইফ নিজেকে গর্ভবতী মায়ের পাশে সবচেয়ে নিকটতম বন্ধু হিসেবে থাকবেন। তিনি গর্ভবতী মায়েদের বাসায় ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রে উভয় স্থানেই তাঁর কর্মক্ষেত্র হিসেবে বিচরণ করতে পারবেন। মিডওয়াইফরা মহিলাদের গর্ভকালীন থেকে প্রসব ও প্রসবোত্তর সময়ের জন্য বিজ্ঞান ভিত্তিক সেবা দিয়ে নিরাপদ মাতৃত্ব ও নবজাতকের স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করে।
অন্যদিকে,
Fwv হলো(পরিবার কল্যাণ পরিদশিকা) ssc/ সমান ১৮ মাস মেয়াদি পরিবার পরিকল্পনা কাজ করে।
অন্যদিকে
মিডওয়াইফ হিসেবে আবেদন করতে হলে তাঁকে এইচএসসি পাস হতে হবে। এসএসসি ও এইচএসসি উভয় পরীক্ষায় কমপক্ষে ২.৫ +২.৫ জিপিএসহ কমপক্ষে জিপিএ-৬ হতে হবে। মোট তিন বছরের সম্পূর্ণ আবাসিক কোর্স। সেমিস্টার সিস্টেমে ছয় মাস পর পর পরীক্ষা হয়।
এই মিডওয়াইফরা একটি আলাদা ক্যাডার হিসেবে বাংলাদেশের স্বাস্থ্যসেবার মুকুটে একটি পালক হিসেবে সংযুক্ত হয়েছেন। পাঁচ-সাত বছরের মধ্যেই এর সুফল বাংলাদেশের মা ও শিশুরা পেতে থাকবে বলে আশা করি।
এখন আসি যুক্তি কথায়,
Ssc/সমান ১৮মাস মেয়াদি কোর্স করে যদি মিডওয়াফ হওয়া যায়, তাইলে Hsc পাস ৩ বছর মেয়াদি কোর্স+ইন্টানি করে মিডওয়াইরা গাইনী কনসালটেন্ট দাবী করাটা দোষের হবেনা???
১৮ মাসের কোর্স করে ৩ বছর মেয়াদী মিডওয়াইফারিদের সমমান দাবী করে কিসের ভিত্তিতে সেটাই ভাবার বিষয়???
আজ Fwv কোর্সের মেয়াদকাল বৃদ্ধি করলে আমাদের আপত্তি ছিল না
যোগ্যতা অর্জন না করে ডিপ্লমা পদবী নিলে কি মা ও শিশুর মাতৃমৃত্যু হার কমে যাবে???
প্রশ্ন রইল