স্টাফ রিপোর্টারঃ রুবেল হোসাইন, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২০
মাথাব্যথার বিভিন্ন কারণ থাকতে পারে। এর মধ্যে মাইগ্রেন অন্যতম। এ ছাড়া দৃষ্টিস্বল্পতা, মস্তিষ্কের টিউমার কিংবা স্রেফ সর্দি-জ্বরের কারণেও মাথাব্যথা হতে পারে। তবে মাইগ্রেনের কারণে মাথাব্যথার সঙ্গে জীবণাচরণের কিছু সম্পর্ক রয়েছে। কাজেই কিছু বিষয়ে সচেতন হলে এর থেকে রেহাই পাওয়া সম্ভব।
মাইগ্রেনের ব্যথা থেকে রেহাই পেতে প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমাতে হবে এবং সেটা হতে হবে পরিমিত। অতিরিক্ত বা কম আলোয় কাজ করা যাবে না। কড়া রোদ ও তীব্র ঠান্ডা এড়িয়ে চলতে হবে। বেশি সময় ধরে কম্পিউটারে কাজ করা বা টেলিভিশন দেখা চলবে না।
মাইগ্রেনের ব্যথা শুরু হয়ে গেলে প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে (বিশেষ করে বমি হলে)। এ ছাড়া বিশ্রাম নিতে হবে। ঠান্ডা কাপড় মাথায় জড়িয়ে রাখলে কিছুটা আরাম পাওয়া যাবে। কিছু খাবার মাইগ্রেনের সমস্যা প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।
এর মধ্যে ম্যাগনেশিয়ামসমৃদ্ধ ঢেঁকিছাঁটা চালের ভাত, আলু ও বার্লি অন্যতম। বিভিন্ন ফল, বিশেষ করে খেজুর ও ডুমুর ব্যথা উপশম করে। সবুজ শাকসবজি, ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন-ডি মাইগ্রেন প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। তিল, আটা ও বিটে প্রচুর পরিমাণ ক্যালসিয়াম থাকে। দিনে দুবার আদার টুকরা কিংবা রস পানিতে মিশিয়ে খেতে পারেন।
মাইগ্রেনের সমস্যায় চকলেট, দুগ্ধজাত খাবার, টমেটো, সাইট্রাস ফল (লেবু, কমলালেবু ইত্যাদি), গমজাতীয় খাবার ও চীনাবাদাম এড়িয়ে চলাই ভালো। তবে ব্যক্তিভেদে ভিন্ন ভিন্ন খাবারে মাইগ্রেনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। কাজেই কোন কোন খাবার ও পারিপার্শ্বিক ঘটনায় মাইগ্রেন ব্যথা বাড়ছে বা কমছে, সেগুলো চিহ্নিত করে লিখে রাখতে হবে। ব্যথা বেশি হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
লেখক: ক্লিনিক্যাল নিউরোলজি বিভাগ, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস ও হাসপাতাল, শেরেবাংলা নগর, ঢাকা