🧕🏻 স্টাফ রিপোর্টারঃ আম্বিয়ারা শারমিন, বগুড়া।
✍🏻 ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২০
ভাসমান হাসপাতাল মূলত দেশের নদীতীরবর্তী মানুষকে চিকিৎসাসেবা দেয়। হাসপাতালটিতে স্বল্পমূল্যে চক্ষু রোগের চিকিৎসা করা হয়। লেন্স সংযোজনের মাধ্যমে চোখের ছানি অস্ত্রোপচার করে হয়। ভাসমান হাসপাতালে ফ্যাকো সার্জারিরও ব্যবস্থা আছে। পঙ্গু রোগীদের সহায়ক সামগ্রী দেওয়া হয়।
এখনো গ্রামাঞ্চলে বহু মানুষ রোগ থেকে রেহাই পেতে কবিরাজ-ওঝা প্রমুখের কাছে গিয়ে প্রতারিত হয়।হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ প্রচলিত নেতিবাচক ধ্যানধারণার বিষয়ে জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে স্থানীয় মসজিদের ইমাম, স্বাস্থ্যকর্মী, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও ধাত্রীদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থাও করে থাকে।
এলাকার মানুষকে স্বল্প খরচে চিকিৎসাসেবা দিয়ে থাকে ভাসমান হাসপাতালগুলো। এর সেবাপ্রার্থীরা এলাকার দরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিত মানুষ, যাদের পক্ষে দূরবর্তী অঞ্চলে গিয়ে চিকিৎসা সেবা নেওয়া সম্ভব নয়। এ ক্ষেত্রে ভঙ্গুর যোগাযোগ ব্যবস্থা ছাড়াও আর্থিক অসচ্ছলতা বড় বাধা। সরকারি-বেসরকারি কোনো হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়ার সামর্থ্য তাদের নেই। বন্যাকবলিত অঞ্চলের মানুষদের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করার জন্য ভাসমান হাসপাতাল এর গুরুত্ব অপরিসীম। বাংলাদেশে যেসব ভাসমান হাসপাতাল রয়েছে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলোঃ জীবন তরী, বিদ্যানন্দের ভাসমান হাসপাতাল ইত্যাদি।
‘মানুষ হাসপাতালে যায় চিকিৎসা নিতে, কিন্তু ভাসমান হাসপাতাল রোগীর স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে রোগীর বাড়ির ঘাটে গিয়ে সেবা দিয়ে থাকে’ , তা আগে হয়তো মানুষ কখনোই দেখেনি। চিকিৎসাসেবায় বাংলাদেশের সাফল্য অনেক। শিশু ও মাতৃমৃত্যুর হারও অনেক হ্রাস পেয়েছে। গড় আয়ু বেড়েছে। কিন্তু এখনো আমরা সবার জন্য স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে পারিনি। সেটি করতে হলে স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে যেতে হবে প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে। বিশেষ করে, যেখানে সড়ক ও রেল যোগাযোগ অপ্রতুল, সেখানে ভাসমান হাসপাতাল হতে পারে বিকল্প স্বাস্থ্যসেবার মাধ্যম।