বিডিনার্সিং২৪ঃ করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী দীর্ঘ সময় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার পর গত ০৫ অক্টোবর ডিপ্লোমা ইন নার্সিং সায়েন্স এণ্ড মিডওয়াইফারি ১ম বর্ষ(২০১৮-১৯) ফাইনাল পরীক্ষায় অকৃতকার্যদের সাপ্লিমেন্টারী পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ নার্সিং কাউন্সিল। সে লক্ষ্যে গত ৬ অক্টোবর বাংলাদেশ নার্সিং কাউন্সিল এর রেজিস্ট্রার সুরাইয়া বেগম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে শিক্ষার্থীদের সাপ্লিমেন্টারী পরীক্ষার ফি নির্ধারণ করে তা ১৪ অক্টোবর এর মধ্যে অনলাইনে আবেদন শেষ করার নির্দেশনা দেওয়া হয়।
দেশে করোনার আঘাত আসলে কার্যত অনেকে বেকার হয়ে পরেন বর্তমানেও পরিস্থিতি স্বাভাবিক নয়।নার্সিং এ বেশিরভাগ শিক্ষার্থী বেসরকারী নার্সিং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এ অধ্যয়নরত আছে।গত ১৮ মার্চ থেকে ক্যাম্পাস বন্ধ থাকায় এবং করোনা পরিস্থিতির জন্যে শিক্ষার্থীরা তাদের মাসিক বেতন দিতে ব্যর্থ হয়।
সাপ্লিমেন্টারী পরীক্ষার সুযোগে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো শিক্ষার্থীদের কাছে পুরো বকেয়া বেতন পরিশোধের জন্যে শিক্ষার্থীদের চাপ প্রয়োগ করে যাচ্ছে এবং অনেক প্রতিষ্ঠান কাউন্সিল কর্তৃক নির্ধারিত সাপ্লিমেন্টারী ফি এর অনেক বেশি টাকা নিচ্ছে বলে জানা গেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেক শিক্ষার্থী জানান ইনস্টিটিউট থেকে পুরো বকেয়া বেতন ও আনুষাঙ্গিক পাওয়ানাদি পরিশোধের জন্যে শিক্ষার্থীদের জোর করা হচ্ছে এবং পাওনাদি পরিশোধ না করলে পরীক্ষায় বসতে দেওয়া হবে না বলে ভীতি দেখানো হচ্ছে অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এ। এ বিষয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে লিখিত কোনো নির্দেশনা পাওয়া যায়নি।
করোনাতে বন্ধ থাকায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গুলো এত দিন বকেয়া টাকা উঠাতে পারেনি।
শিক্ষার্থীরা জানান পুরো টাকা পরিশোধের সক্ষমতা অনেকের নেই যদি কিছু টাকা নিয়ে পরীক্ষায় বসার অনুমতি দেওয়া হতো তাহলে তাদের জন্যে ভাল হতো নয়ত অনেকে পরীক্ষায় বসতে পারবে না বলে আশংকা করছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গুলোকে করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় মানবিক আচরণের অনুরোধ করেছে শিক্ষার্থীরা। এ বিষয় এ বাংলাদেশ নার্সিং কাউন্সিল থেকে এর যথাযথ হস্তক্ষেপ ও সহানুভূতি কামনা করেছেন শিক্ষার্থীরা।