স্টাফ রিপোর্টারঃমরিয়ম, চাঁদপুর
০৮.০৯.২০২০
চাইল্ড হেলথ রিসার্চ ফাউন্ডেশনের (সিএইচআরএফ) ঢাকার গবেষণাগারে নভেল করোনাভাইরাসের জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের কাজে নেতৃত্ব দেওয়া বাংলাদেশি অনুজীববিজ্ঞানী ড. সেঁজুতি সাহাকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পোলিও ট্রানজিশন ইনডিপেনডেন্ট মনিটরিং বোর্ডের (টিআইএমবি) সদস্য করে নেওয়া হয়েছে।
শুক্রবার সিএইচআরএফের ওয়েবসাইটে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সেঁজুতির টিআইএমবির সদস্য হওয়ার এ খবর জানানো হয়।
এ খবরে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে তরুণ এই বিজ্ঞানী সেদিন এক ফেইসবুক পোস্টে বলেন, “… এই প্রথম একজন বাংলাদেশিকে এমন একটি পদ দেওয়া হচ্ছে। আমি আমার সেরাটা দিয়েই আমাদের ও নিম্ন-মধ্যম আয়ের দেশগুলোর (এলএমআইসি) পরিস্থিতি তুলে আনব।”
সেঁজুতি এখন বেসরকারি শিশুস্বাস্থ্য গবেষণা সংস্থা চাইল্ড হেলথ রিসার্চ ফাউন্ডেশনে কাজ করছেন। তার বাবা অধ্যাপক সমীর সাহাও একজন অণুজীববিজ্ঞানী এবং ঢাকা শিশু হাসপাতালের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের প্রধান।
স্বল্প আয়ের দেশগুলোতে শিশু মৃত্যুহার কমিয়ে আনতে এই বাবা ও মেয়ের ভূমিকার প্রশংসা করের গত জানুয়ারিতে একটি ব্লগ প্রকাশ করেন বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশনের সহ-প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস।
তিনি ওই লেখার লিংক ফেইসবুকে শেয়ার করলে তাতে মন্তব্য করে সাধুবাদ জানান ফেইসবুক প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গ।
গত মে মাসে বাংলাদেশে সংক্রমণ ঘটানো নতুন করোনাভাইরাসের (সার্স সিওভি-২) জিনোম সিকোয়েন্স উন্মোচন করার ঘোষণা দেয় চাইল্ড হেলথ রিসার্চ ফাউন্ডেশনের বিজ্ঞানীরা। ওই দলের পুরোভাগে ছিলেন সেঁজুতি।
প্রথম বাংলাদেশি বিজ্ঞানী হিসেবে এবার তিনি যোগ দেবেন গ্লোবাল পোলিও এরাডিকশন ইনিশিয়েটিভের পোলিও ট্রানজিশন ইন্ডিপেনডেন্ট মনিটরিং বোর্ডে।
পোলিও সংক্রমণ পরিস্থিতি নিয়ে এই পরিকল্পনা ২০১৮ সালের মে মাসে বিশ্ব স্বাস্থ্য পরিষদের অনুমোদন পায়, যা বাস্তবায়নে কাজ করছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
পোলিওর জন্য বরাদ্দ বন্ধ করে দেওয়া হলে বিশ্বের স্বল্প আয়ের দেশগুলো কীভাবে জনস্বাস্থ্য সুরক্ষার কাঠামো পরিচালনা করবে তা নিয়েই কাজ করা হবে এই পরিকল্পনার আওতায়।