এ কে সরকার, স্টাফ রিপোর্টার: করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারনে ১৭ মার্চ ২০২০ থেকে এখন পর্যন্ত নার্সিং ইনস্টিটিউট ও কলেজ সমূহ সহ দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে।
শিক্ষা মন্ত্রনালয় দফায় দফায় ছুটির পরিধি বাড়িয়েছেন শিক্ষার্থীদের সাস্থ্য ও সুস্থতার কথা চিন্তা করে। ষাণ্মাসিক, বার্ষিক,এমনকি চুড়ান্ত বোর্ড পরিক্ষা ও বাতিল করা হয়েছে স্কুল কলেজ গুলিতে। সীমিত পরিসরে বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে সাস্থ্য বিধি মেনে চুড়ান্ত পরিক্ষা তে বসলেও, হল বন্ধ থাকায় ভিবিন্ন ভোগান্তি তে পড়তে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের।
অপর দিকে বাংলাদেশ নার্সিং ও মিডওয়াইফারি কাউন্সিল এর অধীনে থাকা সকল সরকারি ও বেসরকারি নার্সিং ইনস্টিটিউট ও কলেজ সমূহ অন- লাইনে ক্লাস কার্যক্রম শুরু করেছেন জুন এর শেষ দিক থেকেই।
অনলাইন এর ক্লাস এর প্রকৃয়াচালানোয় জুম, গুগল ক্লাস,সহ মুক্ত পাঠ ও ব্যবহার করা হয়েছে। তবে অনলাইনের মাধ্যমে ক্লাস এর সুবিধা শহরগুলি তে বেশ ভাল থাকলেও অনলাইন ক্লাসে পিছিয়ে পড়ছে প্রান্তিক শিক্ষার্থীরা।
এ ছাড়াও নার্সিং শিক্ষার্থীদের প্রতিষ্ঠানিক শিক্ষা কার্যক্রম সহ হাসপাতালের ব্যবহারিক অনুশীলন (ক্লিনিক্যাল প্রাক্টিস) বন্ধ হয়ে আছে গতবছরের মার্চ মাস থেকেই।
এমত অবস্থায় অনলাইনের ক্লাস গুলোর মাধ্যমে তারা পাঠ্যগও শিক্ষা জ্ঞান লাভ করলেও, হাতের কাজের দক্ষতা অর্জনে পিছিয়ে পড়ছে।বর্তমান সময়ের মোকাবেলাতে নার্সের ভূমিকা কতটা সেটা গোটা বিশ্ব দেখছে, এই সহমুক্ষযোদ্ধা হতে গেলে জ্ঞানী ও দক্ষতা দুই’টা প্রয়োজন।
ইতিমধ্যে বাংলাদেশ নার্সিং ও মিডওয়াইফারি কাউন্সিলের অধীনে ডিপ্লোমা ইন নার্সিং সাইন্স এন্ড মিডওয়াইফারি কোসের (২০১৮-২০১৯) শিক্ষাবর্ষের সাপ্লিমেন্টারী পরিক্ষা অক্টোবর ২০২০ এ সাস্থ্য বিধি মেনে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এবং ৩য় বর্ষের চুড়ান্ত পরিক্ষা ও শেষ করেছে সকল সরকারি ও বেসরকারি নার্সিং ইনস্টিটিউট ও কলেজ সমূহ।
তবে (২০১৯-২০২০) ১ম বর্ষ ও ২য় বর্ষ সহ বিএসসি ১ম, ২য়,৩য় বর্ষের শিক্ষার্থীদের জন্যে এখনো পর্যন্ত কোন চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি।
ইতিমধ্যে আগামী ১৬ জানুয়ারি থেকে সারাদেশের স্কুল-কলেজসহ সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পুনরায় খুলে দিতে আইনি নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
আজ সোমবার ভাওয়াল মির্জাপুর পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ আবদুল কাইয়ুমের পক্ষে আইনজীবী ফারুক আলমগীর চৌধুরী এ নোটিশ পাঠিয়েছেন।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে শিক্ষা সচিব ও শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে এ নোটিশ দেওয়া হয়।
নোটিশের বরাত দিয়ে আইনজীবী বলেন, চলমান কোভিড-১৯ মহামারির ফলে গত বছর মার্চ থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলি বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা ব্যাহত হচ্ছে। এ পর্যন্ত ১১ বার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। এতে, শিক্ষার্থীদের ওপর বিরূপ প্রভাব পড়ছে।
আইনজীবী ফারুক আলমগীর চৌধুরী আরও বলেন, ১৬ জানুয়ারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো আবার চালু না করা হলে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় আদেশের জন্য হাইকোর্টে একটি রিট আবেদন করা হবে।
এমতো অবস্থায় আশা করা যায় নার্সিং ইনস্টিটিউট ও কলেজ গুলো খোলার বিষয়ে নজর দিবে কতৃপক্ষ।
তবে আশা করা যায় কাউন্সিল কর্তৃপক্ষ খুব দ্রুতই আমাদের ভবিষ্যৎ নার্স দের জন্যে সময়োপযোগী পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।
এ কে সরকার/বিডিনা/২০২১