নিজস্ব প্রতিবেদক
৮ সেপ্টেম্বর ২০২০
বহেড়া একটি অনন্য ঔষধি গুণের ফল। বহেড়ার আরেক নাম বিভিতকি। তবে আমাদের দেশে বহেড়া নামেই বেশি পরিচিত।
ভেষজবিদদের গবেষনায় মহৌষধি হিসেবে পরিচিত ত্রিফলার মধ্যে বহেড়া অন্যতম। বহেড়া ফলটি উপমহাদেশের প্রাচীনতম আয়ুর্বেদিক ওষুধ হিসেবে ব্যবহার হয়ে আসছে।
বহেড়া বিশেষভাবে পরিশোধিত হয়ে এর ফল, বীজ ও বাকল মানুষের বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধে ও চিকিৎসায় ব্যবহার হয়ে আসছে আদিকাল থেকে।
ভেষজবিদদের বহেড়া নিয়ে দীর্ঘ গবেষণায় বিভিন্ন উপকারিতার কথা উল্লেখ করেছেন। বহুগুণে ভরা বহেড়া মানব দেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহযোগিতা করে।
ইন্দ্রিয়-দৌর্বল্যে : এ রোগ থেকে মুক্তি পেতে হলে রোজ দুটি করে বহেড়া বিচির শাঁস খান।
শ্বেতী রোগে : বহেড়া বিচির শাঁসের তেল বের করে শ্বেতীর ওপর লাগালে গায়ের রং অল্পদিনের মধ্যেই স্বাভাবিক হবে। অকালে টাক পড়লে বহেড়া বিচির শাঁস অল্প পানিতে মিহি করে বেটে চন্দনের মতো টাকে লাগালে, টাক সেরে যায়।
শ্লেস্মায় : আধা চা-চামচ বগেড়া চূর্ণ, ঘি গরম করে তার সাথে মিশিয়ে আবার গরম করে মধু মিশিয়ে চেটে খেলে উপরকার পাওয়া যায়।
আমাশয় : সাদা বা রক্ত যে কোনো আমাশয়ে প্রতিদিন সকালে পানির সঙ্গে বহেড়া চূর্ণ খেলে উপকার পাওয়া যায়।
অকালে চুল পাকলে : বহেড়ার বিচি বাদ দিয়ে ১০ গ্রাম ছাল নিয়ে পানি দিয়ে বাটুন। এক কাপ পানিতে গুলে পানিতে ছেঁকে নিন, এবার সে পানি দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন।
ফুলা কমানোর জন্য : বহেড়ার বিচি বাদ দিয়ে ছাল বেটে একটু গরম করে ফুলোয় প্রলেপ দিলে ফুলা কমে যাবে।
তিলক বালা/বিডিনার্সিং২৪