প্রস্টেট গ্রন্থির বৃদ্ধি ও ইনফেকশন রোধে করণীয়
📝স্টাফ রিপোর্টার:আদনান ফারাবী সুমন।
ভোলা,বরিশাল।
🗒 ০৩ অক্টোবর, ২০২০।
শরীরের বিভিন্ন অংশের মতো প্রস্টেট গ্রন্থিও একটি বিশেষ অংশ। প্রস্টেট গ্রন্থি মূলত জননগ্রন্থি যা শুধুমাত্র পুরুষের শরীরেই থাকে। মূত্রথলির ঠিক নিচে মূত্রনালিকে ঘিরে এই গ্রন্থির অবস্থান। এটি মূলত একটি সহায়ক গ্রন্থি। এটি মূলত পুরুষের বীর্য তৈরিতে বিশেষ ভূমিকা রাখে।
বিশিষ্ট ইউরোলজিস্ট ডা.পৃথ্বীরাজ ঘোষাল বলেন, পুরুষদের পঞ্চাশ বছর পার
হওয়ার সাথে সাথে শরীরের হরমোনাল ভারসাম্যের সমস্যার জন্য প্রস্টেট গ্রন্থিটি আকারে বড় হয়ে যায়। কারও ক্ষেত্রে এতটাই বড় হয় যে,মূত্রথলি থেকে মূত্র নির্গত হওয়ার ওপর চাপ পড়ে এবং নানারকম সমস্যা ও উপসর্গ দেখা দেয়।
অনেক সময় প্রস্রাব করার পরেও মূত্রথলি সম্পূর্ণ খালি না হয়ে প্রস্রাব জমতে থাকে এবং এ থেকে মূত্রথলিতে পাথর তৈরি হতে পারে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই কিডনিতে ফেলিয়োর হয়ে কিডনি ফুলে যেতে পারে। এমনকি প্রস্রাবের সাথে রক্তপাতও হতে পারে। এছাড়াও পুঁজনিঃসরণ,জ্বর,প্রস্রাবে জ্বালা সহ অন্যান্য উপসর্গও দেখা দেয়।
একজন পুরুষের শরীরে মাথার চুল থেকে পায়ের নখ পর্যন্ত যত ধরনের ক্যান্সার হয়,তার বেশির ভাগই হয় প্রস্টেট ক্যান্সার। ডায়াবেটিস,একাধিক মানুষের সাথে যৌনসঙ্গম,বিভিন্ন ধরনের নেশা,অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপন সহ নানা কারণেই প্রস্টেট ইনফেকশন হয়,যার ফলে প্রস্রাব অপেক্ষামান ধীরগতি সম্পন্ন ও সরু হয়ে যায়। অনেক সময় মাঝখানেই প্রস্রাব বন্ধ হয়ে যায় কিংবা প্রস্রাবের খুব বেগ পেলেও দেরিতে প্রস্রাব শুরু হয়।
প্রায় তিন -চার দশক আগে প্রস্টেট ইনফেকশনের জন্য ভালো ওষুধপত্র ছিল না তাই বেশিরভাগ মানুষই চিকিৎসার মাধ্যমে আরোগ্য লাভ করতো। কিন্তু বর্তমানে উন্নত মানের অনেক ওষুধপত্র বের হয়েছে। এখন শতকরা ৭৫-৮০ ভাগ মানুষ ওষুধ খেয়ে ভালো থাকে।কিন্তু মনে রাখতে হবে যে, প্রস্টেট গ্রন্থির জন্য সব ওষুধ আদশ্য নয়। এছাড়াও অনেকক্ষেত্রেই ওষুধ চিরস্থায়ী সমাধান হয় না এবং ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ফলে রক্তচাপ কমে বড় ধরনের সমস্যা হতে পারে।
প্রস্টেট গ্রন্থির বৃদ্ধি ও ইনফেকশন রোধে করণীয়:-
টমেটোতে থাকে লাইকোপিন যা প্রস্টেট গ্রন্থির বৃদ্ধি রোধে সাহায্য করে। রাতে ঘুমানোর আগে পানি পান বন্ধ করা,অ্যাকোহল ও ক্যাফেইন জাতীয় দ্রব্য গ্রহণ থেকে বিরত থাকতে হবে। এছাড়াও ঢেঁড়শ সিদ্ধ করে সেটার পানি নিয়মিত খেলে প্রস্রাবের গতি স্বাভাবিক থাকবে। মনে রাখতে হবে যে,আমাদের সাবধানে থাকাই সুস্থ থাকার অন্যতম শর্ত।