স্টাফ রিপোর্টার : তাহমিনা আক্তার, কুমিল্লা
তারিখ: ০৬.০৯.২০২০ ইং
প্রচণ্ড গরমে পাট শাক দিতে পারে স্বস্তি, তেতো সবজি হিসেবে তেতো পাটশাক খাবারে রুচি বাড়ায় ও মেদ বৃদ্ধির আশঙ্কা কমায়। খেতে বসে প্রথম ডিশ হিসেবে যদি তেতো খাওয়া হয়, তাহলে সেটা মুখে লালা ক্ষরণ করে শ্বেতসারকে ভাঙতে সাহায্য করে, এতে হজমের সুবিধা হয়। লিভারও ভালো থাকে।
পাট পাতা দুই প্রজাতির হয় একটা সামান্য তেতো আর একটা মিষ্টি বা নরমাল স্বাদের । তেতো পাট কেবল শাক খাওয়ার জন্যই চাষ করা হয় এতে সেলুলোজের মাত্রা কম থাকায় সুস্বাদু ও হজমে সুবিধা হয়। মিষ্টি বা মুনিয়া প্রজাটির পাট পাটের আঁশ এর জন্য চাষ করা হয় এতে সেলুলোজের মাত্রা বেশি তাই হজমে অসুবিধা হয় স্বাদও তুলনামূলক ভাবে কম।
পাটশাকে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, অ্যালকালয়েড, সোডিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, প্রোটিন, লিপিড, কার্বহাইড্রেট এবং ফলিক অ্যাসিড আছে। দেশীয় অন্যান্য শাকের তুলনায় পাটশাকে ক্যারোটিনের পরিমাণও থাকে অনেক বেশি। ১০০ গ্রাম পাটশাকে ক্যালরি থাকে ৭৩। এতে আমিষ থাকে ৩ দশমিক ৬ গ্রাম, ক্যালসিয়াম ২৯৮ মিলিগ্রাম, লোহা ১১ মিলিগ্রাম ও ক্যারোটিন ৬৪০০ (আইইউ)।
পাটের গুণ ও উপকারিতা নিয়ে নতুন করে কিছু বলার নেই, তাই জেনে নিন পাটশাকের কয়েকটি গুণের কথা:-
১. পাটশাক খাওয়ার রুচি বাড়ায়। মুখের স্বাদ ফিরিয়ে আনে।
২. এতে থাকা ভিটামিন সি ও ক্যারোটিন থাকায় মুখের ঘা দূর করতে সাহায্য করে।
৩. রাতকানা রোগের বিরুদ্ধে লড়ারও ক্ষমতা আছে।
৪. কোষ্ঠকাঠিন্যতে যাঁরা ভুগছেন, তাঁরা নিয়মিত পাটশাক খেতে পারেন।
৫. যাঁদের বাতের ব্যথা আছে, তাঁদের জন্য উপকারী।
৬. গ্যাস্ট্রিকের সমস্যায় যাঁরা দীর্ঘদিন ভুগছেন, পাটশাকে সমাধান খুঁজতে পারেন।
৭. রক্ত পরিষ্কারক হিসেবেও পাটশাক উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখে।
৮. পাটপাতায় টিউমার ও ক্যানসাররোধক পুষ্টি উপাদান বিদ্যমান।
৯. হাড় ভালো রাখার জন্যও খেতে পারেন।
১০. দাঁত ও মুখের স্বাস্থ্য ভালো রাখতেও সাহায্য করে।