বিডিনার্সিং২৪ রিপোর্টঃ নার্স শিক্ষক পদে নিয়োগ প্রক্রিয়া আদালতে স্থগিত করা হয়েছে। আজ ঢাকা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের প্রশাসনিক ট্রাইবুনালের বিচারক এস কে ফারুক এই আদেশ প্রদান করেন এবং কেনো এই নিয়োগ অবৈধ হবে না এই মর্মে রুল জারি করেন।
সম্প্রতি নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তরে নার্স শিক্ষক পদে ২২২ জন সিনিয়র স্টাফ নার্সকে নার্স শিক্ষক পদে পদায়নের সিগ্ধান্ত নেয়। পরে সংক্ষুব্ধ হয়ে অসিম কুমার দেব নামে এক সিনিয়র স্টাফ নার্স বাদী হয়ে এই নিয়োগ প্রক্রিয়াকে চ্যালেঞ্জ করে আদালতের শরণাপন্ন হন। বাদীর দাবি অনুযায়ী পরিদপ্তরের নিয়োগ বিধীমালা ২০১৬-এর অর্গানোগ্রামে নার্সিং শিক্ষক (নার্স শিক্ষক) / নার্সিং শিক্ষক (নার্সিং শিক্ষক) নামে কোনো পদ নেই কিন্তু কর্তৃপক্ষ মোট 222 জন নার্সিং সুপারভাইজার/সিনিয়র স্টাফ নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছে। সেই পদে নার্স/স্টাফ নার্স যা সেবা পরিদপ্তর (সাধারণ) নীতিমালা, ২০১৬ এর চরম লঙ্ঘন, তাছাড়া, এই ধরনের পদে নিয়োগের জন্য আবেদনকারী এবং তাদের অন্যান্য সহকর্মীরা যারা নার্সিং সুপারভাইজার/সিনিয়র স্টাফ নার্স/স্টাফ নার্স পদে কর্মরত আছেন তারা গুরুতরভাবে ক্ষুব্ধ কারণ তারা সেবা পরিপ্রেক্ষিতের সংগঠন (অধিদপ্তর) নীতিমালা, ২০১৬, এর অর্গানগ্রামে উল্লিখিত পরবর্তী উচ্চ পদে পদোন্নতি পাচ্ছেন না।
উপরে উল্লিখিত বিষয়ের পরিপ্রেক্ষিতে, নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তরকে আদেশ প্রাপ্তির তারিখ থেকে 15 (পনের) দিনের মধ্যে কারণ দর্শাতে বলে নোটিশ জারি করে কেন উপরে উল্লিখিত সাতটি (07) অফিস আদেশ/মেমো বাতিল করতে বলা হয়েছে।
এদিকে, নার্সিং সুপারভাইজার/সিনিয়র স্টাফ নার্স/স্টাফ নার্স পদ থেকে পি (নার্স শিক্ষক)/ নার্সিং শিক্ষক (নার্সিং শিক্ষক) পদে আর কোনো পদায়ন না করার জন্য কর্তৃপক্ষকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। পরবর্তী আদেশ না হওয়া পর্যন্ত/ সেবা পরিদপ্তর (অর্গানোগ্রাম) আইনমালা, ২০১৬ সংশোধন না হওয়া পর্যন্ত এই নিয়োগ প্রক্রিয়া স্থগিত করতে কর্তৃপক্ষকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।