মঙ্গলবার, ২১ মার্চ ২০২৩, ০৪:১৩ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ
On-line Pokies Melbourne for real money 2023 যুব সমাজকে নার্সিং পেশায় আসার আহ্বান জানালেন প্রধানমন্ত্রী। নিয়ানার এলামনাই এসোসিয়েশনের সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত সৈয়দা জেবুন্নেছা হক আ’লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য হওয়ায় সংবর্ধনা দিলেন বিএনএ ওসমানী শাখা। সৈয়দা জোহরা তাজউদ্দীন নার্সিং কলেজ কর্তৃক স্কুল হেলথ কার্যক্রম আয়োজন সৈজোতানাক এ ঐতিহাসিক ৭ মার্চ দিবস যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপন Top Marijuana Legalization Guide! নার্সিং ইনস্টিটিউট নেত্রকোনায় “পুষ্টি ও খাদ্য মেলা-২০২৩” অনুষ্ঠিত। নার্সিং ইনস্টিটিউট নেত্রকোনায় “পুষ্টি ও খাদ্য মেলা-২০২৩” অনুষ্ঠিত। নার্সিং শিক্ষার্থীকে কু-প্রস্তাবের অভিযোগ; রাজি না হওয়ায় ফরম ফিলাপ বন্ধ।।

নার্সিং শিক্ষার্থীকে কু-প্রস্তাবের অভিযোগ; রাজি না হওয়ায় ফরম ফিলাপ বন্ধ।।

নিউজ ডেস্ক:
  • Update Time : রবিবার, ৫ মার্চ, ২০২৩
  • ২১৯ Time View

রাজশাহীর মির্জা নার্সিং কলেজের এক ছাত্রীর ফরম ফিলাপ আটকে দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। টাকা দিতে না পারায় ও এছাড়া শিক্ষার্থীকে কুপ্রস্তাব দিয়ে যৌন হয়রানির অভিযোগও উঠেছে কলেজটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মির্জা হাসিবুল ইসলাম ফারুকের বিরুদ্ধে। সম্প্রতি রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ (আরএমপি) কমিশনারের কাছে দেয়া লিখিত অভিযোগে এমনটা দাবি করেন ওই শিক্ষার্থী। যদিও পরে সুর পাল্টে ফেলেছেন তিনি।

লিখিত অভিযোগকারী শিক্ষার্থীর নাম মোছা. মতিজান খাতুন। তার বাড়ি রাজশাহীর তানোর উপজেলার তালন্দ এলাকায়। ২০২০ সালের জুলাই মাসে মির্জা নার্সিং কলেজে ভর্তি হন তিনি।

অভিযোগে মতিজান খাতুন দাবি করেছেন, ‘৫০ হাজার টাকা চুক্তিতে মির্জা নার্সিং কলেজে ভর্তি হন তিনি। চুক্তি মোতবেক সেই টাকা পরিশোধও করা হয়েছে। তবু তাকে ফরম ফিলাপ করতে দেয়া হচ্ছে না। ফোনে তাকে কুপ্রস্তাব ও বন্ধুত্ব করতে বলেছেন কলেজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। এছাড়া অফিস চলাকালীন সময়ে ওই ছাত্রীকে ডেকে নিয়ে হাত ধরেন ও শরীর স্পর্শ করার চেষ্টা করেন মির্জা ফারুক।’

তবে এ বিষয়ে জানতে যোগাযোগ করা হলে সুর পাল্টিয়ে ভিন্ন কথা বলেন অভিযোগকারী ছাত্রী। মতিজান খাতুন বলেন, ‘কুপ্রস্তাবের ঘটনার কোনো প্রমাণ আমার কাছে নেই। কবে এমনটা হয়েছে সেটাও মনে নেই। তবে চুক্তি ভঙ্গ করে বাড়তি টাকা চেয়েছে কলেজ কর্তৃপক্ষ। দিতে পারিনি তাই আমার ফরম ফিলাপ আটকে রেখেছে তারা।’

এ বিষয়ে অভিযুক্ত মির্জা নার্সিং কলেজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মির্জা হাসিবুল ইসলাম ফারুক বলেন, ‘ওই ছাত্রীর ৯০ হাজার টাকা ডিউ (বাকি) রয়েছে। বাড়তি কোনো টাকা চাওয়া হয়নি। এত বড় অঙ্কের টাকা পরিশোধ না করায় মিটিংয়ে সর্বসম্মতিক্রমে তার ফরম ফিলাপ না করানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে।’

কুপ্রস্তাব প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এসব অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। ছয় মাসের মধ্যে তার সঙ্গে আমার দেখাই হয়নি। তার টাকার সমস্যা, কলেজে এসে সেটাও বলেনি। উল্টো আমাদের মানহানিমূলক কাজ করছে। এ ঘটনায় আমরা আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’

অভিযোগটির তদন্ত কর্মকর্তা আরএমপির রাজপাড়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আব্দুল জলিল বলেন, ভুক্তভোগী ছাত্রী ও তার মায়ের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা পরীক্ষা দেয়ার সুযোগ চেয়েছেন। অভিযোগের তদন্ত করা হবে।

অভিযোগ আছে, মির্জা নার্সিং কলেজে শিক্ষার্থীদের ছাড়ে ভর্তির কথা বলে প্রলোভন দেখানো হয়। ফলে শিক্ষার্থীরা অগ্রিম টাকা দিয়ে বুকিং দিয়ে দেন। তবে ভর্তির পর ঠিকমতো ক্লাস ও ক্লিনিক্যাল প্র্যাকটিস করানো হয় না। এসব অভিযোগ তুলে গত বছর আন্দোলনও করেন কলেজটির শিক্ষার্থীরা। ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে রাজপথেও লাগাতার বিক্ষোভ করতে থাকেন তারা। পরে কলেজ কর্তৃপক্ষের আশ্বাসে আন্দোলন স্থগিত হলেও পরবর্তীতে ক্লিনিক্যাল প্র্যাকটিসের কোনো সুরাহা হয়নি।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2021
Design & Developed by Freelancer Zone
themesba-lates1749691102