নিজস্ব প্রতিবেদক – ফাহাদ আল মাহফুজ তামিম
আপনি জানেন কি ডিপার্টমেন্টাল সখ্যতা এবং ডিপার্টমেন্টাল একতার সবথেকে বড় নজির কোনটি ?
সেটি অবশ্যই আমাদের নার্সিং ডিপারমেন্ট । এটাই একমাত্র ডিপারমেন্ট যেখানে সবাই কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে বিভিন্ন আন্দোলনে অংশ নিয়ে সেই উদ্দেশ্য টা কে হাসিল করে নিয়ে আসে ।
প্রফেশনাল উন্নতির স্বার্থে ডিপ্লোমা ইন নার্সিং সায়েন্স , ডিপ্লোমা ইন মিডওয়াইফারি এবং বিএসসি ইন নার্সিং সায়েন্স ডিগ্রিধারী ও এ সকল কোর্স অধ্যায়নরত শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে প্রতিটি আন্দোলনে বিজয়ী হয় নার্সিং ডিপারমেন্ট ।
নার্সিং ডিগ্রিধারীদের দ্বিতীয় শ্রেণীর পদমর্যাদা দেয়ার জন্য দাবি ওঠে সে দাবিতে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করে নার্সিং ডিগ্রিধারী এবং নার্সিং কোর্সে অধ্যায়নরত শিক্ষার্থীরা । দাবিও আদায় হয় ।
নার্সিং অধিদপ্তর উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা কেউই নার্সিং ডিগ্রিধারী নন ।
কিন্তু স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা সবাই এমবিবিএস ডিগ্রিধারী । এজন্য এমবিবিএস ডাক্তারদের প্রফেশনাল ডেভলপমেন্ট খুব তাড়াতাড়ি হয়েছে।
৩৭ তম বিসিএস এ বিএসসি ইন নার্সিং ডিগ্রিধারী দুইজন বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (খাদ্য) সাধারণ ক্যাডার হয়েছেন।
এর থেকে বোঝা যায় নার্সিং ডিগ্রিধারীরা বিসিএস ক্যাডার হওয়ার যোগ্য। নার্সিং এর প্রফেশনাল বিসিএস এখন সময়ের দাবি । প্রফেশনাল বিসিএস চালু করে যদি এসব ক্যাডারদেরকে নার্সিং অধিদপ্তর নিয়োগ দেয়া হয় তাহলে নার্সিং প্রফেশনাল ডেভেলপমেন্ট সম্ভব ।
নার্সিং প্রফেশনাল ডেভেলপমেন্ট এর স্বার্থে সবাইকে একসাথে কাজ করতে হবে এবং দাবি আদায় করে নিতে হবে যেন আমাদের প্রফেশনাল বিসিএস চালু করা হয় ।
বিএসসি এবং ডিপ্লোমা ডিগ্রীধারীদের সকলকে একত্রিত হয়ে দাবি আদায় করে নিতে হবে ।
প্রফেশনাল বিসিএস চালুর মাধ্যমে নার্সিং এর উন্নতির পাশাপাশি নার্সিং কোর্সগুলো থেকে বের হওয়া মেধাবী মুখ গুলো । বিদেশের দিকে না যে দেশের নার্সিং প্রফেশন উন্নতির জন্য কাজ করতে আগ্রহী হবে।