স্টাফ রিপোর্টারঃ
জেসমিন আক্তার
নেত্রকোনা,ঢাকা,বাংলাদেশ,
থাইরয়েড গ্ল্যান্ড সুস্থ রাখতে ৬টি উপায়!
হঠাৎ করেই ওজনটা কি খুব বেড়ে যাচ্ছে? শরীর ফুলে যাচ্ছে? ডায়েট কন্ট্রোল করছেন নিয়ম মেনে, কিন্তু তাও মোটা হয়ে যাচ্ছেন? নাহলে রাতে ঠিক মতই খাওয়া-দাওয়া করছেন, কিন্তু তাও রোগা হয়ে যাচ্ছেন? আবার হয়তো দেখা যাচ্ছে ছোটখাটো বিষয়ে অতিরিক্ত উদ্বেগ বা সবসময়ই বিষণ্ণতা কাজ করছে মনের ভেতর। কিংবা হয়তো ঋতু পরিবর্তন ছাড়াই শরীরে তাপমাত্রার তারতম্য হয়ে যাচ্ছে। এই শীত লাগছে তো আবার এই গরমে ঘেমে চুপচুপে। তাহলে আর দেড়ি না করে এক্ষুণি একবার আপনার থাইরয়েড টেস্ট করিয়ে ফেলুন। কেন করাবেন থাইরয়েড টেস্ট? আসুন জেনে নেই এ বিষয়ে বিস্তারিত।
থাইরয়েড কী?
থাইরয়েড গ্ল্যান্ড হলো একটি অন্তক্ষরা গ্রন্থি। যেটা থেকেই নিঃসৃত হয় থাইরয়েড হরমোন। এটি খুব গুরুত্বপূর্ণ একটা হরমোন। কারণ এটি থেকে শরীরের অন্যান্য প্রয়োজনীয় হরমোন উৎপাদন হয়। এই গ্ল্যান্ড দেখতে অনেকটা প্রজাপতির মতো। যেটি গলার একটি অংশে অবস্থিত।
চিকিৎসা
হাইপোথাইরয়েডিজমের রুগীদের চিকিৎসকগণ লেভোথাইরক্সিন সোডিয়াম বা থাইরক্সিন সোডিয়াম ঔষধ হিসেবে খেতে বলেন, যা আজীবন খেতে হয়। এছাড়াও এইসব রুগীদের বিভিন্ন খাবার যেমন- ব্রেড, পাস্তা, সিরিয়াল জাতীয় খাবার, ব্রকলি, পালং শাক, বাঁধাকপি, ফুলকপি, সয়াসস, সিম, কফি, দুধ ও চিনিযুক্ত খাবার ইত্যাদি এড়িয়ে যেতে চিকিৎসকগণ উপদেশ দিয়ে থাকেন।
থাইরয়েড গ্ল্যান্ড সুস্থ রাখার ৬টি উপায়
১) উচ্চ মানের টাইরোসিন আমিষযুক্ত খাবার খান। টাইরোসিন দরকার হয় থাইরয়েড হরমোন তৈরিতে। এটি পেতে খেতে হবে লাল মাংস, মাছ, মুরগির ডিম ও মাংস, কলা ও মিষ্টি কুমড়ার বিচি।
২) গয়ট্রোজেনাস খাবার যেমন বাঁধাকপি, ফুলকপি, শিম, চিনাবাদাম, সয়াসস, ইত্যাদি অতিরিক্ত পরিমাণে খাওয়া যাবে না। রান্না করে খাবেন, কাঁচা খাবেন না। থাইরয়েডে সমস্যা থাকলে এসব খাবার খাওয়া উচিত নয়।
৩) গ্লুটেন প্রোটিনযুক্ত খাবার খাবেন, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে ঠিক রাখে। এইজন্য গম, শস্যদানা, যব, বার্লি খেতে হবে।
৪) থাইরয়েড ঠিক রাখার জন্য লিভারের সুস্থতা দরকার। লিভারের সুস্থতার জন্য ফ্যাটি অ্যাসিডযুক্ত খাবার খেতে হবে। বিভিন্ন তেলযুক্ত মাছ, কাঁচা বাদাম, অলিভ অয়েল-এ এটা পাওয়া যাবে।
৫) আয়োডিনযুক্ত লবণ খাবেন।
৬) কীটনাশক ও হেভিমেটাল যেমন মারকারি, ক্যাডমিয়াম, দস্তা ব্যবহারে সতর্ক হবেন।