রিপোর্টার :শানু আক্তার,নারায়নগঞ্জ
🕣 তারিখ :২৩-০৯-২০২০
বিপদ যেন পিছু ছাড়ছে না,বিশ্বজোড়ে করোনা আতঙ্ক শেষ না হতেই দেখা মিলছে নতুন ভাইরাস, যুক্তরাষ্ট্রে নতুন ভাইরাস টুইনডেমিক নিয়ে আতঙ্ক শুরু হলো।মার্কিন চিকিৎসকেরা আগাম ইনফ্লুয়েঞ্জার ভ্যাকসিন নেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন দেশটির জনগণকে।
তবে কোভিড-১৯ এর সংক্রমণ ঠেকাতে ফ্লুয়ের ভ্যাকসিন কোনও কাজ দেবে না বলেও জানিয়েছেন তারা।
মার্কিন চিকিৎসকরা বলছেন, সবচেয়ে আতঙ্কের হলো কোভিড-১৯ এবং ফ্লু-এর উপসর্গ প্রায় একই রকম।যদি ও একই রকম তবে কোভিড-১৯ এবং ফ্লু’র কোনটি দ্বারা সংক্রমিত । রোগীর শরীরে উপসর্গ দেখে কী হয়েছে তা বলা বেশ কঠিন।’
সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বর পর্যন্ত এই সময়টাকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ফ্লু সিজনও বলা হয়। অর্থাৎ ঋতু পরিবর্তনের সঙ্গে দেখা দেয় জ্বর-ঠাণ্ডা-কাশির মতো প্রকোপ। এদিকে এমনিতেই কোভিড-১৯ এর কারণে নাজেহাল অবস্থা দেশটির।
কোভিড-১৯ এর কারণে এপর্যন্ত দুই লাখ চার হাজারের বেশি মানুষ মারা গেছেন। এর সঙ্গে আবার ইনফ্লুয়েঞ্জা বা ফ্লু’র প্রকোপের আশঙ্কা করছেন চিকিৎসকরা। এই পরিস্থিতিকে তারা বলছেন, ‘টুইনডেমিক সিচুয়েশন’। সংক্রামক ব্যাধি বিশেষজ্ঞেরা জানাচ্ছেন, মানুষ বলতে পারছেন না, কিসের অসুস্থতা। দুই রোগেরই সাধারণ উপসর্গ হলো জ্বর, সর্দি-কাশি, প্রবল ঠাণ্ডা লাগা এবং শ্বাস নিতে কষ্ট। স্বাদের মতো অনুভূতি চলে যায়। আবার ফ্লু-তেও অনেক সময় ঠাণ্ডা লেগে নাক বন্ধ হয়ে যায়, জিভের স্বাদ চলে যায়। তাই করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট না পাওয়া পর্যন্ত রোগ নির্ণয় করা বেশ মুশকিল। আবার ফ্লু এবং কোভিড-১৯ রোগ দুটি একসঙ্গে হওয়ার আশঙ্কাও উড়িয়ে দিচ্ছেন না বিশেষজ্ঞরা।
বিশেষজ্ঞরা আরো জানান,করোনার থেকে ইনফ্লুয়েঞ্জা সামলানো তুলনামূলক সহজ। ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসে কোভিডের তুলনায় সংক্রমিত হলে দ্রুত উপসর্গ দেখা দেয় এক থেকে চারদিনের মধ্যেই। রোগ দ্রুত ধরা পড়লে, দ্রুত-চিকিৎসা সম্ভব।