👤স্টাফ রিপোর্টার : বিভাবরী,ঢাকা।
🕘১১/০৯/২০২০
ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে করোনা চিকিৎসায় চরম অব্যবস্থাপনার চিত্র দেখা দিয়েছে। সদর হাসপাতালেটির করোনা ইউনিটে এক বৃদ্ধ মারা যাওয়ার পরও তার মরদেহ ১৮ ঘণ্টা সেখানেই রাখা হয়।এর ফলে করোনার উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়া ব্যক্তির মরদেহের পাশে রোগীদের দীর্ঘ সময় থাকতে হয়েছে। এতে ক্ষুদ্ধ হয়েছে রোগীরা, হাসপাতালের চরম অব্যবস্থাপনার কথা তারা জানিয়েছেন।
রোগীদের ভাষা মতে, বৃহস্পতিবার (১০ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৫টার দিকে হাসপাতালের করোনা ইউনিটে জ্বর, সর্দি ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে মারা যান সদর উপজেলার সাতমাইল বারীনগর গ্রামের বৃদ্ধ শিতিষ চন্দ্র (৭৫)। মারা যাওয়ার পর তার স্বজনরা চলে যান তাকে হাসপাতালে রেখে।
কিন্তু মারা যাওয়া ব্যক্তির স্ত্রী আরতী চৌধুরীর দাবি, সন্তানেরা ঢাকায় থাকায় সময়মতো মরদেহ নিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়নি।
এবং গত বুধবার (৯ সেপ্টেম্বর) আবজাল গাফফার (২০) নামে এক যুবক জ্বর ও সর্দি নিয়ে নমুনা পরীক্ষার জন্য এলে তাকে সদর হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ভর্তি করা হয়। এরপর বৃহস্পতিবার তার নমুনা নেয়া হয়।
ওই যুবকটি জানান, একটি মরদেহের পাশে তাকে সারারাত কাটাতে হয়েছে। যা তাকে শারীরিক ও মানসিকভাবে অসুস্থ করে তুলেছে।
ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মেডিকেল অফিসার ডা. মুশফিকুর রহিম জানান, যে কোনো সুস্থ রোগী মারা গেলেই রোগীদের পাশে রাখার নিয়ম নেই। আর এখানে করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়া ব্যক্তিকে তো রাখার সুযোগই নেই।
তবে তিনি জানান, সন্ধ্যার দিকে ওই বৃদ্ধ মারা যাওয়ার পরপরই তার সৎকারের জন্য স্বজনদের জানানো হয়। কিন্তু স্বজনরা সময়মতো আসেননি। ফলে মরদেহ রাতে সেখান থেকে সরানো হয়নি।
হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার অপূর্ব কুমার সাহা জানান, এ ঘটনায় রোগীদের সেখান থেকে সরানোর ব্যবস্থা নেয়া হয়েছিল। তবে রোগীদের প্রচণ্ড চাপ ও বেড না থাকায় সমস্যা হয়েছে।
এদিকে ঝিনাইদহে ক্রমেই বাড়ছে করোনা আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা ।