নিজস্ব প্রতিবেদক
রবিবার,৬সেপ্টেম্বর২০২০
জাপানের দক্ষিণ ও পশ্চিম অঞ্চলে ২৮৮ কিলোমিটার বেগে ধেয়ে আসছে সুপার টাইফুন হাইশেন। এর ফলে গত কয়েকদিন ধরে গণপরিবহন বন্ধ রাখা হয়েছে। একই সঙ্গে পানির অতিরিক্ত চাপ এড়াতে বাঁধ ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির কর্তৃপক্ষ।
জাপান টুডে বলছে, জাপানের আবহাওয়া অফিস আশঙ্কা করছে, এ ঘূর্ণিঝড় সর্বোচ্চ শক্তি নিয়ে আঘাত হানবে। এর ফলে বাতাসের মধ্যে চাপ বাড়বে ৯১৫ হেক্টোপাকাস। এর ফলে উপকূলীয় অঞ্চল প্লাবিত হবে। পানি বিপদসীমা অতিক্রম করবে। আগামীকাল রোববার (৬ সেপ্টেম্বর) দেশটির দক্ষিণঅঞ্চলীয় ওকাইনাওয়া অধিবাসীদের ঘরবাড়ি মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখিন হতে পারে। এ ঝড়টি আমামি-ওসাইমা দ্বীপ এবং কুওয়াসুর মূল ভূখন্তে রোববার ও সোমাবারের দিকে মারাত্মক আঘাত হানতে পারে।
ওকিনাওয়ায় রোববার ৩০০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভবানা রয়েছে। আমামিতে ১৫০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হতে পারে। সেই সঙ্গে বিপদসীমার অতিক্রম করে সমুদ্রের ঢেউ উপকূলে আঘাত হানবে।
স্থানীয় প্রশাসন দুর্যোগ মোকাবেলায় বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এসব অঞ্চলের মানুষদের দ্রুত নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়ার জন্য প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। স্থানীয়দের সর্বোচ্চ সতর্কতার জন্য জরুরী প্রয়োজনীয় বিষয়গুলোকে সংরক্ষণ করতে বলেছে কর্তৃপক্ষ। কুওয়াসু রেলওয়ে করপোরেশন বলছে, লোকাল ট্রেন সার্ভিস সোমবার বাতিল করা হয়েছে।
হিরোশিমা এবং হাকাতা স্টেশনের মধ্যকার সকল বুলেট ট্রেন চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। কেন্দ্রীয় রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ বলছে, কিছু কিছু অঞ্চলে টেন চলাচলা বন্ধ রাখা হয়েছে। দেশটির প্রধানমন্ত্রী গতকাল শুক্রবার বলেছেন, ‘দুর্যোগ মোকাবেলায় স্থানীয় সরকারকে কেন্দ্রীয় সরকার সহযোগিতা করছে।’
জাহিদ হাসান/বিডিনার্সিং২৪