স্টাফ রিপোর্টার : তাহমিনা আক্তার, কুমিল্লা
তারিখ : ০৭.০৯.২০২০ ইং
১.হঠাৎ রক্তপাত শুরু হলেঃ
প্রসবের সময় ছাড়া গর্ভাবস্থয় যেকোনো সময় রক্তক্ষরণ বা গর্ভফুল না পড়া বিপদের লক্ষণ। তাই এ সময় পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে কোনো রকম চিন্তা না করে পরিবারের সবারই উচিত মাকে দ্রুত নিকটস্থ স্বাস্থ্য কেন্দ্র নিয়ে যাওয়া এবং ডাক্তার /মিডওয়াইফদের শরণাপন্ন হওয়া। অন্যথায় তা বাচ্চা এবং মা দুজনের জীবনেই হুমকি ডেকে আনতে পারে।
২.খিচুনি হবে: গর্ভাবস্থয়,প্রসবের সময় বা প্রসবের পর যেকোনো সময় যদি খিচুনি দেখা দেয় তবে দেরি না করে সঙ্গে সঙ্গে বিশেষায়িত হাসপাতালে মাকে ভর্তিকরতে হবে। খিচুনি একলামসিয়ার প্রধান লক্ষণ। তাই দ্রুত পদক্ষেপ ও চিকিৎসায় বাচ্চা এবং মা দুজনেরই জীবনকেই রক্ষা করতে পারে। তা নাহলে এ রোগে দুজনেই মারা যেতেপারে।
৩.চোখে ঝাপসা দেখা বা তীব্র মাথা ব্যথা হলেঃ
গর্ভাবস্থায় প্রসবের সময় বা প্রসবের পর শরীরে পানি আসা, খুব বেশি মাথাব্যথা বা চোখে ঝাপসা দেখা ৫টি প্রধান বিপদ সংকেতর মধ্যে একটি। তাই এ ব্যাপারে মায়েদের বিশেষ সতর্ক থাকতে হবে। যদিও গর্ভাবস্থায় মায়ের পায়ে সামান্য পানি আসা খুব একটা অস্বাভাবিক নয়।একটু বেশি হাঁটলে এ পানি চলেও যায়। কিন্তু যদি পায়ে অতিরিক্ত পানি আসে এবং অস্বস্তির সৃষ্টি করে ও পা ভারি হয়ে আসে তবে ডাক্তার / মিডওয়াইফদের সঙ্গে যোগাযোগ করা উচিত।
৪.ভীষণ জ্বর হলেঃ গর্ভাবস্থায় বা প্রসবের পর তিন দিনের বেশি জ্বর বা দূর্গন্ধ যুক্ত স্রাব প্রধান বিপদ সংকেত একটি। বিশেষ করে গর্ভাবস্থায় যদি কেঁপে কেঁপে ভীষণ জ্বর আসে এবং প্রসাবের সময় জ্বালাপোড়া হয় তবে তা অনেক সময় উপযুক্ত চিকিৎসা করলে অল্প সময়ে এ জটিলতা দূর হয়ে যায়।
৫.বিলম্বিত প্রসব হলেঃ প্রসব ব্যথা যদি ১২ ঘন্টার বেশি হয় অথবা প্রসবের সময় যদি বাচ্চার মাথা বা অন্য কোনো অঙ্গ বের হয়ে আসে, তবে বাসাবাড়িতে প্রসবের চেষ্টা না করে সবারই উচিত মাকে নিকস্থ স্বাস্থ্যকেন্দ্র নিয়ে যাওয়া।