সিনিয়র রিপোর্টারঃমরিয়ম আাক্তার,চাঁদপুর
বংশগত কারণ ছাড়াও মানসিক ও কাজের চাপ, অসুস্থতা, পুষ্টির অভাব, থায়রয়েড, হরমোনের ভারসাম্যহীনতা, রাসায়নিক উপাদানের প্রভাব ইত্যাদি কারণে চুল পড়ার সমস্যা দেখা দেয়।
চুল পড়া কমানোর পাঁচটি উপায় সম্পর্কে জানানো হল।
– চুলের ধরন ও ঋতু ভেদে চুল ধোয়া উচিত। গরম ও আর্দ্র আবহাওয়াতে চুল ঘন ঘন পরিষ্কার করা উচিত কারণ এতে এই সময়ে চুলে ঘাম, ময়লা ও তেল জমে থাকে। তৈলাক্ত চুল সপ্তাহে তিন চারবার ধোয়া উচিত। চুল শুষ্ক হলে তা দুইবারের বেশি ধোয়া ঠিক নয়।
– চুলের জন্য সঠিক প্রসাধনী নির্বাচন করা প্রয়োজন। ক্ষতিকারক উপাদান মাথার সাধারণ ক্ষারীয় উপাদান ‘অ্যাল্কালাইন’য়ের ভারসাম্য নষ্ট করে ফেলে। এরফলে মাথার ত্বকে মৃত কোষ ও খুশকি দেখা দেয়। যদি বাইরে বেশি যাতায়াত হয়ে থাকে তাহলে অল্প পরিমাণ শ্যাম্পু দিয়ে ঘন ঘন চুল পরিষ্কার করতে হবে। খুব বেশি তৈলাক্ত হলে চুল ধোয়া কার্যকর।
– চুল তৈলাক্ত হলে চুল পরিষ্কারক বা সিরাম ব্যবহার করুন। আর ক্রিম ভিত্তিক কন্ডিশনার এড়িয়ে চলুন। আমলকী, শিকাকাই, রিঠা, ব্রাহ্মী, ভৃঙ্গরাজ, আরনিকা, ত্রিফলা, জবা, বেল, নিম, চন্দন ইত্যাদি ব্যবহার করুন। এগুলো মাথায় আরাম দেয় এবং চুল সুন্দর রাখে। তেলহীন চুলের টনিক যাতে- ত্রিফলা ও ব্রাহ্মী থাকে। এগুলো চুল পড়ার সমস্যা কমাতে সাহায্য করে।
– স্বাস্থ্যকর ও পুষ্টিকর খাবার চুলের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। প্রতিদিন ছোট এক বাটি অঙ্কুরিত সবজি খাওয়ার চেষ্টা করুন। এতে আছে অ্যামিনো অ্যাসিড, যা চুলের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। মাথার ত্বক তৈলাক্ত হলে বা খুশকি থাকলে প্রতিদিন পর্যাপ্ত পানি পান করুন।
– এছাড়া উপায় হল ক্লিনিক্যাল চিকিৎসা। এতে চুলের ‘ফলিকল’ প্রভাবিত হয়। এছাড়াও মাথার ত্বকের রক্ত সঞ্চালন বাড়ে। ক্লিনিক্যাল চিকিৎসা চলাকালীন চুলের টনিক ব্যবহার করা হয় এবং তা ভালোভাবে শোষণের জন্য স্টিমার ব্যবহার করা হয়। পুষ্টিকর খাদ্যাভ্যাস রক্তে পুষ্টি সরবারহের মাধ্যমে চুলের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।