স্টাফ রিপোর্টারঃ রুবেল হোসাইন
০৬ সেপ্টেম্বর ২০২০
এবার রোদ-বৃষ্টিতে যাওয়ার ঝামেলা অনেকেরই কম। বাইরের ধুলাও এখন লাগছে কম। তারপরও মলিন ভাব হাত-পায়ের ত্বকে। সারা দিন বাড়ির ভেতরে থেকে কাজ করাটাও যুদ্ধক্ষেত্রের মতোই হয়ে যাচ্ছে। বাড়িতে কাজের পর কাজ। তারপরও কিছু সময় বের করে হাত-পায়ের যত্ন নিতে হবে। সুস্থতাও বজায় থাকবে এতে। হাত ও পায়ের চর্চা অর্থাৎ ম্যানিকিউর পেডিকিউর করতে সৌন্দর্যসেবাকেন্দ্রে যাওয়া যাচ্ছে না, তাই ঘরেই এ কাজটা করে ফেলা ভালো।
হাত-পায়ের চামড়া ও নখের ময়লা, মৃত কোষ দূর এবং স্বাভাবিক উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে আনতেই সাধারণত ম্যানিকিউর, পেডিকিউর করা হয়। অল্প সময়ে এবং সহজে এই যত্ন নেওয়া গেলেও নিয়ম না মানলে ত্বকে জ্বালাপোড়া, রুক্ষতার মতো সমস্যা তৈরি হয়। এ ছাড়া যাঁদের ডায়াবেটিসের (বহুমূত্র) রোগ রয়েছে, তাঁদের নখ বেশি কেটে গেলে বা চামড়ায় ক্ষত হলে সমস্যা হতে পারে।
বর্ষার এই সময় বাতাসে জলীয় বাষ্প বেশি থাকায় হাত–পায়ে ময়লা আটকায় বেশি। আবার অনেকের ত্বকে একধরনের আঠালো ভাবও হয়। এই দুটি সমস্যা দূর করার সব থেকে ভালো উপায় ম্যানিকিউর ও পেডিকিউর—এমনটাই মনে করেন রূপবিশেষজ্ঞ আফরোজা পারভীন।
স্বাভাবিক, তৈলাক্ত ও শুষ্ক—তিন ধরনের ত্বকের যত্নেই উপকারী এটি। তবে শুষ্ক ত্বকে মৃত কোষ ও বেশি চামড়া ফেটে যাওয়ার সমস্যা থাকে, তাই এমন ত্বকে সপ্তাহে একবার ম্যানিকিউর ও পেডিকিউর করা উচিত। এ ছাড়া তৈলাক্ত ও স্বাভাবিক ত্বকে ১০ দিন পরপর করা যাবে।
আফরোজা পারভীন ম্যানিকিউর ও পেডিকিউর করার কিছু সহজ উপায় বলে দিলেন। ম্যানিকিউর-পেডিকিউর করার কিট যদি না থাকে, তবে ঘরে থাকা কিছু উপকরণের মাধ্যমেও কাজ সেরে নিতে পারেন। প্রয়োজন হবে নেইল কাটার, দাঁত মাজার ব্রাশ, পোড়ামাটির ঝামা, তুলা ও তোয়ালে।
প্রথমে হাত–পায়ের নখের নেইলপলিশ তুলে নিতে হবে। এরপর কুসুম গরম পানি বালতি বা বড় গামলায় নিয়ে তাতে সামান্য শ্যাম্পু দিয়ে হাত–পা ভিজিয়ে রাখতে হবে ১০ মিনিট। ব্রাশ দিয়ে নখের চারপাশের ময়লা ও চামড়া পরিষ্কার করে নিতে হবে। এরপর ঝামা দিয়ে পায়ের গোড়ালির নরম মৃত কোষ হালকা করে ঘষে তুলে নিন।
পরের ধাপে আসবে নখ পরিষ্কারের কাজ। নেইল কাটার দিয়ে পছন্দমতো আকারে নখ কেটে নেওয়া যায়। নখের ভেতরের ময়লা পরিষ্কার ও নখের সামনের অংশ ঘষার জন্য নেইল কাটারে থাকা দুটি যন্ত্রাংশ ব্যবহার করতে পারেন।
এবার পরিষ্কার পানি দিয়ে হাত–পা ধুয়ে ব্যবহার করতে পারেন উপকারী একটি প্যাক। মুলতানি মাটি, মধু আর গোলাপজল মিশিয়ে হাত–পায়ে ব্যবহারের পর তা শুকিয়ে গেলে পানিতে ধুয়ে তোয়ালে দিয়ে মুছে নিন। সবশেষে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহারের পালা। ঘরে থাকা যেকোনো লোশন, পেট্রোলিয়াম জেলি, নারকেল তেল বা জলপাই তেলের যেকোনো একটি ব্যবহার করা যাবে। তবে সব ধরনের ত্বকে ব্যবহার করা যাবে না। শুষ্ক ত্বকের জন্য তেলজাতীয় ময়েশ্চারাইজার বেশি প্রয়োজন। স্বাভাবিক ত্বকে লোশন ব্যবহার করলেই হবে। কিন্তু তৈলাক্ত ত্বকে একেবারেই কোনো ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করার দরকার নেই। হাত-পা সুন্দর, সতেজ ও উজ্জ্বল রাখতে প্রতি রাতেই সাবানে পরিষ্কারের পর ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করে ঘুমাতে হবে।
সূত্রঃ প্রথম আলো