👤স্টাফ রিপোর্টার:রাবিয়া আক্তার মীম
ফুলপুর,ময়মনসিংহ
গর্ভকালীন সময়ে অর্থাৎ ঋতুস্রাব বন্ধ হওয়া থেকে শুরু করে ৯ মাস ৭ দিন ব্যাপীর মাঝখানে মা ও তার পেটের সন্তানের যত্ন নেওয়াকেই গর্ভকালীন যত্ন বলা হয়। নিয়মিত পরীক্ষা এবং উপদেশ প্রদানের মাধ্যমে এটি পরিচালিত হয়।
বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার সুপারিশ অনুযায়ী সমগ্র গর্ভকালীন সময়ে কমপক্ষে ৪ বার একজন গর্ভবতী মায়ের শারীরিক পরীক্ষা করানো প্রয়োজন।নিম্নোক্ত ৪ টি ধাপে ফলোয়াপ করতে হয়:-
✔১ম ভিজিট:১৬ সপ্তাহ(৪মাস)
✔️২য় ভিজিট:২৪-২৮ সপ্তাহ(৬-৭)মাস
✔️৩য় ভিজিট:৩২সপ্তাহ(৮মাস)
✔️৪র্থ ভিজিট:৩৬সপ্তাহ (৯মাস)
যে কারণে গর্ভকালীন সময়ে ভিজিট করতে হয়:
গর্ভকালীন যত্নের প্রধান উদ্দেশ্য হলো গর্ভবতী মাকে মানসিক ও শারীরিকভাবে সুস্থতার মাঝে তৈরি করে তোলা,যেন তার প্রসব স্বাভাবিক হয়,তিনি যেন একটি স্বাভাবিক সুস্থ শিশু জন্ম দেন।
গর্ভকালীন ফলোয়াপে একজন মাকে যা যা সেবা দেওয়া হয়:
●আগে থেকেই মায়ের কোনো অসুখ থাকলে তা নির্ণয় করা এবং চিকিৎসা করা।
●মা যেন গর্ভকালীন সময়ে নিজের যত্ন নিতে পারেন,আসন্ন প্রসবের জন্য নিজে তৈরি হতে পারেন এবং নবজাতক শিশুর যত্ন নিতে পারেন এ বিষয়ে স্বাস্থ্যশিক্ষা দেওয়া।
●গর্ভবস্থার ঝুঁকিপূর্ণ উপসর্গগুলি নির্ণয় করা।
●নিরাপদ প্রসব বাড়িতে না স্বাস্থ্যকেন্দ্রে কোথায় সম্ভব হবে তা নির্বাচন করা এবং প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত কর্মীর ব্যবস্থা করা।
●সকল গর্ভবতী মায়ের রেজিস্ট্রেশন করা।
গর্ভবতী মায়েরা বর্তমানে অনেক সচেতন। সরকার এবং উন্নয়ন সহযোগী সংস্থাসমূহ মা ও শিশুদের সুরক্ষা সেবা নিশ্চিত করতে সর্বদা তৎপর। দুর্গম এলাকাতেও আজকাল প্রশিক্ষিত মিডওয়াইফ পাওয়া যাচ্ছে।গর্ভবতী মায়েদের ব্যাপারে আমাদের সমাজের মানুষকে আরো সচেতন করে তুলতে হবে। এটা আমাদের সামাজিক দায়বদ্ধতা।