👤স্টাফ রিপোর্টারঃ তিলক বালা
🕛০১-০৯-২০২০
করোনাভাইরাসের এই সংকটময় সময়ে গৃহবন্দী থাকায় কোমর বা হাঁটুর ব্যথা বেড়ে গেছে অনেকের। গবেষণা অনুযায়ী, বিশ্বের প্রতি ১০ জনের মধ্যে ১ জন কোমরের ব্যথায় কষ্ট পান।
ভারতীয় ফিজিক্যাল মেডিসিনের বিশেষজ্ঞ মৌলিমাধব ঘটক বলেন, কোমরকে চিকিৎসা বিজ্ঞানের পরিভাষায় লাম্বার স্পাইন বলে। ভুল ভঙ্গিমায় শোওয়া-বসা, হাঁটা চলা, সামনে ঝুঁকে ভারী জিনিস তোলা বা কখনও কখনও রিকশা, অটো বা বাসে ঝাঁকুনি লেগেও কোমরে ব্যথা শুরু হতে পারে। বেশি বয়সে হাড় ক্ষয়ে যাওয়ার পাশাপাশি মেরুদণ্ডের দুটি কশেরুকার মাঝখানে যে ডিস্ক আছে, তাও ক্ষয়ে ব্যথা হয়।কিডনিতে স্টোন হলে, প্যাংক্রিয়াসের অসুখ হলে এবং স্পাইনা-বাইফিডা নামে জন্মগত ত্রুটি থাকলে, বা অন্য কোনও বড় অসুখের উপসর্গ হিসেবেও কোমরের ব্যথা হতে পারে।
ডাক্তারের পরামর্শ না নিয়ে ওষুধ খেলে যা হবে:-
মৌলিমাধব ঘটক বলেন, কোমরে ব্যথা হলে বিশ্রাম নেওয়ার পাশাপাশি পেশির স্প্যাজমের ওষুধ দেওয়া হয়। এজন্য ব্যথা কমে। অবশ্য খুব প্রয়োজন না হলে ব্যথার ওষুধ দেয়া হয় না। শুধু ব্যথার ওষুধ খেয়ে ব্যথা কমালে হাড়ের ক্ষয় বাড়বে। তাই কোমরের ব্যথায় অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
কোমরে ব্যথা যে শুধু বয়স্ক মানুষদের হয় তা নয়, অল্প বয়সেও কোমরের ব্যথার ভোগান্তি হয়। কম বয়সে কোমরের ব্যথার বিভিন্ন কারণের মধ্যে আছে স্লিপ ডিস্ক এবং দাঁড়িয়ে, বসে বা একই ভঙ্গিতে দীর্ঘক্ষণ থাকা এবং সামনে ঝুঁকে ভারি ওজন তোলার মতো ভুল ভঙ্গিমা। এর থেকে স্লিপ ডিস্ক ও মাসল স্প্যাজম হয়ে ব্যথার সূত্রপাত হয়। সঠিক চিকিৎসা না করালে ব্যথার সমস্যা বেড়ে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে।
সূত্র- আনন্দবাজার পত্রিকা।