👤স্টাফ রিপোর্টার : তিলক বালা,ঢাকা
🕗৩১ আগস্ট ২০২০
প্রকল্প বানিয়ে তার আওতায় কয়েক গুণ বেশি দামে সরঞ্জাম কিংবা পণ্য কেনার নামে অর্থ আত্মসাৎ চলছেই। সাম্প্রতিক সময়ে বারবার উঠে এসেছে এমন দুর্নীতির খবর। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যথাযথ ব্যবস্থা না নেওয়ার কারণেই এই প্রবণতা থামছে না। সর্বশেষ এমন অনিয়মের তথ্য জানা গেছে করোনা চিকিৎসায় দেশের প্রথম হাসপাতাল কুয়েত মৈত্রীর ব্যাপারে।
জানা যায়, বাংলাদেশ কুয়েত মৈত্রী সরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সম্প্রতি ১২ কোটি ১০ লাখ ৬৫ হাজার ৯০০ টাকার একটি কার্যাদেশের মাধ্যমে করোনাভাইরাস চিকিৎসার সরঞ্জাম ক্রয় করেছে। একক ওয়ার্ক অর্ডারের মাধ্যমে কাজ দেওয়া হয়েছিল পছন্দের ঠিকাদারকে। কেনাকাটা হয়ে গেছে মার্চ থেকে জুলাইয়ের মধ্যেই, অথচ গত বুধবার ক্রয় কমিটির দুই সদস্যকে ডেকে নিয়ে পুরনো তারিখ দিয়ে স্বাক্ষর নেওয়া হয়।
এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে কোনো পরিচালক ছিলেন না। এ সময় দায়িত্ব পালন করেন তত্ত্বাবধায়ক ডা. মোহাম্মদ সেহাব উদ্দীন। ক্রয় কমিটির সদস্যদের না জানিয়ে একাই কার্যাদেশ দিয়েছেন তিনি। এ বিষয়ে জানতে বারবার তাকে ফোন করা হলেও রিসিভ করেননি। সাড়া পাওয়া যায়নি খুদেবার্তা পাঠিয়েও।
কার্যাদেশের আওতায় একটি পিসিআর মেশিন কেনা হয়েছে ১ কোটি ৬৫ লাখ টাকায়, যার বাজার মূল্য ২৫ লাখ টাকা। ডেফ্রিব্লেটর নামের একটি যন্ত্র কেনা হয়েছে ৯ লাখ ৮১ হাজার টাকায়, বাজারে এর দাম সর্বোচ্চ আড়াই লাখ টাকা। ৮ লাখ টাকা দামের মাল্টিপারপাস প্যাশেন্ট মনিটর নামক যন্ত্র কেনা হয়েছে ৫২ লাখ ৮০ হাজার টাকায়। এভাবে নয়ছয় করা হয়েছে আরো অনেক সরঞ্জামের দামে।
ক্রয় কমিটির সদস্য ডা. সোহেলী পারভিন বলেন, তত্ত্বাবধায়ক স্যারের একাধিক ফোনে তার কাছে যাওয়ার পর কয়েকটি কাগজে স্বাক্ষর করতে বলেন। কাগজগুলো পড়ে দেখারও সুযোগ দেননি। ব্যাক ডেটে সিগনেচার নিয়েছেন। তিনি শুধু এটুকু বললেন, ‘কিছু কেনাকাটা প্রস্তাবনা আকারে আছে, পরে ডিটেইলস জানতে পারবেন, আপাতত সিগনেচারটা দিয়ে দিন।