স্টাফ রিপোর্টারঃ জাহিদ হাসান|🕑১৬.০৯.২০২০ইং
কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের অধীনে নার্সিং কোর্স পরিচালনার জটিলতা নিয়ে গত ০৬-০৯-২০২০ ইং তারিখে স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ে একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সভায় কয়েকটি সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
উক্ত সভায় কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের অধীনে নার্সিং কোর্স সম্পূর্ন কারীদের বাংলাদেশ নার্সিং কাউন্সিল কর্তৃক স্বীকৃতি এবং ২০১৯ সাল পর্যন্ত ভর্তিকৃত শিক্ষার্থীদের কোর্স সম্পূর্ণ করার সুযোগ দিতে স্বাস্থ্যমন্ত্রনালয় এর এক সভায় সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সভায় আরও সিদ্ধান্ত হয় যে সকল কারিগরি নার্সিং প্রশিক্ষণ কেন্দ্র নার্সিং শিক্ষাদান কার্যক্রম চালাতে চায় তাদেরকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে স্বীকৃতি প্রদান করতে হবে। উল্লেখ্য যে, কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের অধীনে এস,এস,সি পাস করে এক বছর মেয়াদী নার্সিং পেশেন্ট কেয়ার শর্ট কোর্স এবং চার বছর মেয়াদী ডিপ্লোমা ইন টেকনোলজি (নার্সিং কোর্স) চালু আছে কিন্তু বাংলাদেশ নার্সিং কাউন্সিল কর্তৃক পরিচালিত কোর্সে এইস এস সি পাসকৃত ছাত্রছাত্রীরা ভর্তির সুযোগ পায়।
এছাড়াও ০৬-০৯-২০২০ইং তারিখ সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক কারিগরি শিক্ষা বোর্ড থেকে পাশকৃত পেসেন্ট কেয়ার টেকনোলজি কোর্সের শিক্ষার্থীদের বাংলাদেশ নার্সিং কাউন্সিল কতৃক রেজিষ্ট্রেশন পরীক্ষা নেয়ার সুপারিশ করা হয়।
স্বাস্থ মন্ত্রনালয়ের এরকম সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন সোসাইটি ফর নার্সেস সেফটি এন্ড রাইটস (এসএনএসআর)। আজ এক প্রতিবাদ লিপিতে সংগঠনটি এরকম সিদ্ধান্ত অনতিবিলম্বে প্রত্যহার করে কারিগরি শিক্ষাবোর্ড থেকে নার্সিং কোর্স বন্ধ করার আহবান জানান। অন্যথায় দেশের নার্সদের নিয়ে তীব্রতর আন্দোলনে নামার কথা বলছে সংগঠনটি।
সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক সাব্বির মাহমুদ তিহান বলেন, কারিগরি পেসেন্ট কেয়ার কোর্সের শিক্ষার্থীরা নার্সিংয়ের সনদ পেলে দেশের স্বাস্থ্য ব্যাবস্থ্যা হুমকির মুখে পড়বে। তিনি বলেন, পাশকৃতদের পেসেন্ট কেয়ার এসিস্ট্যান্ট লাইসেন্স দিয়ে তাদের হাসপাতালে অন্যভাবে কাজে লাগানো যেতে পারে। নিন্ম মানের কোর্স কারিকুলামে প্রশিক্ষণ নেয়া এসব শিক্ষার্থীরা নার্সিং পেশার আসার সুযোগ পেলে দেশের স্বাস্থ্য ব্যাবস্থা অনেক বছর পিছিয়ে যাবে। এতে বর্তমান সরকারের স্বাস্থ্য খাত উন্নয়নের লক্ষ্য মাত্রা ব্যাহত হবে। তাই অতিশীঘ্র এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি জানান তিনি।