স্টাফ রিপোর্টার-নাদিয়া রহমান🕕০৬সেপ্টেম্বর২০২০-
করলা তেতো স্বাদযুক্ত এবং এর শরীর কাঁটার মত ওয়ার্টে ভরা। পরিণত ফল লম্বাটে, রঙ কাঁচা অবস্থায় সবুজ, পাকলে কমলা বা লাল, দৈর্ঘ্য ১২-২৫ সেন্টিমিটার (৫-১০ ইঞ্চি), প্রস্থ ৫-৭ সেমি হয়ে থাকে। করলা কেটে লবন জলে ডুবিয়ে রাখলে তিক্ততা কমে। দক্ষিণ এশীয় এই সবজি এখন সারা পৃথিবীতে বিশেষ করে ক্রান্তীয় অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে।
প্রতি ১০০ গ্রাম করলায় বিভিন্ন প্রকার পুষ্টি উপাদানের পরিমাণ-
কার্বোহাইড্রেট : ৩.৭০ গ্রাম,
প্রোটিন : ১ গ্রাম,
ফ্যাট : ০.১৭ গ্রাম,
খাদ্য আঁশ : ২.৮০ গ্রাম,
নায়াসিন : ০.৪০০ মিলিগ্রাম,
প্যান্টোথেনিক এসিড : ০.২১২ মিলিগ্রাম,
ভিটামিন এ : ৪৭১ আই ইউ,
ভিটামিন সি: ৮৪ মিলিগ্রাম,
সোডিয়াম ; ৫ মিলিগ্রাম,
পটাশিয়াম : ২৯৬ মিলিগ্রাম,
ক্যালসিয়াম : ১৯ মিলিগ্রাম,
কপার : ০.০৩৪ মিলিগ্রাম,
আয়রন: ০.৪৩ মিলিগ্রাম,
ম্যাগনেসিয়াম : ১৭ মিলিগ্রাম,
ম্যাঙ্গানিজ: ০.০৮৯ মিলিগ্রাম,
জিংক : ০.৮০ মিলিগ্রাম।
উপকারিতা
এলার্জি প্রতিরোধে এর রস দারুণ উপকারি। ডায়াবেটিস রোগীদের জন্যও এটি উত্তম।প্রতিদিন নিয়মিতভাবে করলার রস খেলে রক্তের সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। বাতের ব্যাথায় নিয়মিত করলা রস খেলে ব্যাথা আরোগ্য হয়। আর্য়ুবেদের মতে করলা কৃমিনাশক, কফনাশক ও পিত্তনাশক। করলার জীবাণু নাশক ক্ষমতাও রয়েছে। ক্ষতস্থানের উপরে পাতার রসের প্রলেপ দিলে এবং উচ্ছে গাছ সেদ্ধ জলদিয়ে ক্ষত ধুলে কয়েকদিনের মধ্যেই ক্ষত শুকিয়ে যায়। অ্যালার্জি হলে এর রস দু চা চামচ দুবেলা খেলে সেরে যাবে। চর্মরোগেও করলা বেশ উপকারী। এছাড়া জন্ডিস ও লিভারের অসুখে খাবারে অরুচি দেখা দিলে করলা খেলে রুচি আসে। করলা রক্তকে বিশুদ্ধ করে। দুই সামান্য পরিমান করলার রসের সাথে অল্প লেবুর রস মিশিয়ে প্রতিদিন খালি পেটে একবার পান করুন। ৪ থেকে ৬ মাসের মধ্যে রক্তের দূষিত উপাদান দূর হয়ে যাবে।করলায় আছে প্রচুর পরিমানে বিটা ক্যারোটিন বা ভিটামিন এ। দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখতে বিটা ক্যারোটিন খুবই উপকারী। তাই যাদের চোখের সমস্যা আছে তাঁরা নিয়মিত করলা খেলে চোখ ভালো থাকবে।নিয়মিত করলা খাওয়ার অভ্যাস করলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। নিয়মিত করলা খেলে সর্দি,কাশি, মৌসুমী জ্বর ও অন্যান্য ছোটখাটো সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়