👩🦰সিনিয়র রিপোর্টারঃমরিয়ম আক্তার,চাঁদপুর।
করোনা মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ বাস্তবায়নে জারী করা বিভিন্ন মন্ত্রণালয় এবং বিভাগের নির্দেশনা ৫ খণ্ডে লিপিবদ্ধ হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম বলেছেন প্রামাণ্য এই দলিল আগামী যে কোন মহামারী মোকাবিলায় পথ দেখাবে। তিনি বলেন এসব নির্দেশনা থেকেই বোঝা যায় মানুষের জীবন ও জীবিকা রক্ষায় কতটা নিরলস ভাবে কাজ করে চলেছেন সরকার প্রধান।
বাংলাদেশে করোনার অনুপ্রবেশ মার্চের শুরুতে। অজানা এই ভাইরাসের সংক্রমণে উদ্বেগ গ্রাস করে পুরো দেশকে। অর্থনীতি স্থবির হয়ে দুর্ভিক্ষ দেখা দেবে, প্রাণঘাতি করোনায় মারা যাবে লক্ষ লক্ষ মানুষ- এমন আশঙ্কাও করেন কেউ কেউ। তবে বাস্তবে এসবের কিছুই ঘটেনি। কারণ শক্ত হাতে পরিস্থিতি সামলেছেন সরকার প্রধান।
প্রেস সচিব আরো জানান, এই সংকটকালীন সময়েও প্রধানমন্ত্রী নিরলসভাবে কাজ করে গেছেন। সংকট মোকাবিলা কিভাবে করতে হয় সেটার দৃষ্টান্ত প্রধানমন্ত্রী বলেও জানান তিনি।
তিনি আরো জানান, দুর্যোগের এই সময়ে মানুষের জীবন রক্ষা, অর্থনীতি গতিশীল রাখা এবং সবার জন্য খাদ্য নিশ্চিত করা এই তিন বিষয়কে প্রাধান্য দিয়ে আবর্তিত হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর কর্মকাণ্ড। শুধু কেন্দ্রের নীতি নির্ধারকদের সঙ্গেই নয়, দফায় দফায় বৈঠক করে নির্দেশনা দিয়েছেন মাঠ প্রশাসন এবং জনপ্রতিনিধিদের।
ইহসানুল করিম বলেন, প্রধানমন্ত্রী যে নির্দেশনা দেন সেটি বাস্তবায়িত হচ্ছে কি না তাও দেখেন তিনি। সব সময় মনিটরিং করেন বলেই এই সংকটেও দেশ চলছে দেশের অর্থনীতি চলছে।
করোনা মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ বাস্তবায়নে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় এবং বিভাগ যে নির্দেশনা জারী করেছে, তা লিপিব্ধ হয়েছে ৫ খন্ডে, ১হাজার ৯শ ৭৬ পৃষ্ঠায়। আর এর তত্ত্বাবধায়ন করেছেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিক মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া।
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম জানান, মহামারী মোকাবিলায় এটি হবে প্রমাণ্য দলিল। ভবিষ্যতে কোন মহামারী এলে এই প্রমাণ্য দলিল পথপদর্শক হিসেবে কাজ করবে।
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব বলেন, করোনা মোকাবিলায় যথাযথ নীতি ও কৌশল গ্রহণ করায়, উন্নত অনেক দেশের চেয়ে বাংলাদেশ ভালো অবস্থানে আছে বাংলাদেশ।