👤স্টাফ রিপোর্টারঃ তিলক বালা
🕛৩১ আগস্ট ২০২০
করোনায় চিকিৎসায় টানা চারমাসের বেশি চালু থাকার পর সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করা হলো চট্টগ্রাম ফিল্ড হাসপাতাল। রোববার (৩০ আগস্ট) দুপুরের পর সেটির কার্যক্রম স্থগিত ঘোষণা করেন প্রধান উদ্যোক্তা ডা. বিদ্যুৎ বড়ুয়া।
এই জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ জানান, আপাতত রোগী কম থাকায় বিরতি দেয়া হয়েছে। প্রয়োজন পড়লে আবারও এর কার্যক্রম চালু হবে।
করোনা পরিস্থিতি যখন খুব নাজুক, যখন কোথাও চিকিৎসা মিলছিলনা তখনই এগিয়ে আসেন ডেনমার্কে বসবাসরত এই চিকিৎসক। সংকট শুরুর আগে কেবল তিনি দেশে ফেরেন। সংকট বাড়ার পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঘোষণা দেন ফিল্ড হাসপাতাল চালুর। সহযোগিতা চান মানুষের। এতে অর্থসহ নানা সহায়তা নিয়ে এগিয়ে আসেন বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ। তাদের সাহায্যে গড়ে ওঠে দেশের প্রথম ফিল্ড হাসপাতাল। এজন্য বড় সহায়তাটি করে নাভানা গ্রুপ। তারা ফৌজদারহাটে তাদের ভবনের ৬ হাজার বর্গফুটের জায়গা ছেড়ে দেয়। এরপর ২০ এপ্রিল হাসপাতালটি চালু হয়।
একপর্যায়ে চিকিৎসার জন্য গোটা চট্টগ্রামজুড়ে যখন হাহাকার, তখন এটি হয়ে ওঠে বড় ভরসার নাম। মানুষ ছুটে যান এই হাসপাতালে। যেখানে চিকিৎসক, নার্স ছাড়াও দায়িত্ব নেন অর্ধশত স্বেচ্ছাসেবী। সবাই বিনা বেতনে। মানবিক প্রয়োজনবোধ থেকেই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তারা সেবা দেন মানুষকে। চারমাসেরও বেশি সময়ে হাসপাতালটিতে চিকিৎসা দেয়া হয় ১৬শর মতো রোগীকে।যা বেসরকারি পর্যায়ে করোনা চিকিৎসায় অনন্য নজির। কেননা, করোনাকালে সরকারি বড় দুটি হাসপাতালের বাইরে আর কোন হাসপাতালে এত রোগী চিকিৎসা পায়নি। এখানে মৃত্যুর হারও ছিল কম। মাত্র চারজন। অনেক জটিল করোনা রোগীকেও পরম মমতায় সেবা দিয়ে সুস্থ করে তুলেছেন ফিল্ড হাসপাতালের কর্মীরা।পুরো সময়টুকু হাসপাতালেই রাতদিন থেকেছেন প্রধান উদ্যোক্তা। তবে এটি আপাতত বন্ধ রাখা হলেও স্বাস্থ্যখাতে মানুষের সেবায় নতুন উদ্যোগ নিয়ে আসার পরিকল্পনা আছে বলে জানান বিদ্যুৎ বড়ুয়া।