সিনিয়র রিপোর্টার-নাদিয়া রহমান, ঢাকা
এসেনশিয়াল অয়েল হল এক ধরনের সুগন্ধিজুক্ত তেল যা সরাসরি প্রকৃতি থেকে আহরণ করা হয়। গাছের নানা অংশ থেকে যে নির্যাস পাওয়া যায় তা থেকেই তৈরি হয়, এসেনশিয়াল অয়েল। এটি প্রাকৃতিকভাবেই সুগন্ধিযুক্ত হয়ে থাকে। আলাদা করে সুগন্ধি দেবার দরকার পড়েনা।
এই অয়েলের আছে নানা প্রকারভেদ। তার মাঝে লেমন, পেপারমিন্ট, ল্যাভেন্ডার, টি ট্রি, ইউক্যালিপটাস ইত্যাদি বেশি ব্যবহার হয়ে থাকে।
এসেনশিয়াল অয়েল মূলত শারীরিক এবং মানসিক প্রশান্তি পেতে সহায়তা করে থাকে। এটির আছে কিছু ঔষধিগুণও।
এ ধরণের অয়েলের ব্যাবহার হয় মূলত ত্বক এবং শরীরের যত্ন নিতে।
অ্যারোমা থেরাপিতে বহুলভাবে ব্যবহৃত হয়ে থাকে এর। এছাড়াও এসেনশিয়াল অয়েলের বেশ কিছু ব্যবহার আছে যা হয়ত অনেকেই জানেন না। আমাদের আজকের আয়োজন এই নিয়েই-
১) গোসলের পানিতে এসেনশিয়াল অয়েলঃ অ্যারোমা থেরাপির একটি গুরুত্বপুর্ন অংশ হল এসেনশিয়াল অয়েল। এই এসেনশিয়াল ওয়েল আপনি গোসলের সময়েও সহজেই ব্যবহার করতে পারেন। গোসলের পানিতে মিশিয়ে নিন যে কোন ভাল মানের এসেনশিয়াল অয়েলের ৮- ১০ ফোটা। তারপর গোসল করে নিন সেই পানি দিয়ে। দেখবেন শরীর ও মনে স্নিগ্ধভাব আসবে। শুধু তাই নয় সুন্দর ত্বকও নিশ্চিত করে এসেনশিয়াল অয়েল।
২) রুম ফ্রেশনার স্প্রে হিসেবেঃ রুম ফ্রেশনার স্প্রে হিসেবেও খুব সহজেই ব্যবহার করতে পারেন এসেনশিয়াল অয়েলের। এর জন্য দরকার পানি এবং স্প্রে বোতল। বোতলে পানি নিয়ে তাতে মিশিয়ে নিন অল্প কয়েক ফোটা এসেনশিয়াল অয়েল। এরপরে যখন দরকার হবে তখন পানি স্প্রে করে নিন। ঘর হয়ে যাবে সুগন্ধময়। সাথে কেনা এয়ার ফ্রেশনারের ভয়ঙ্কর কেমিক্যালের হাত থেকেও পাবেন মুক্তি। মাঝে মাঝে পানি বদলে নিন এবং অল্প করে এসেন্সিয়াল অয়েল মিলিয়ে নিন। এছাড়াও ঘরে যদি আর্টিফিশিয়াল ফুলের গুচ্ছ থাকে তবে তাতেও ছড়িয়ে দিন ৮ থেকে ১০ ফোটা করে এসেন্সিয়াল অয়েল। ঘর হয়ে উঠবে সুগন্ধময়।
৩)পায়ের যত্নেঃ দিন শেষে শরীর ও মন দুটোই হয়ে ক্লান্ত। সব চাইতে বেশি স্ট্রেস সহ্য করতে হয় পদযুগলকেই। সেই পায়ের যত্ন নিতে ব্যবহার করতে পারেন এসেনশিয়াল অয়েল। গরম পানিতে সামান্য লবণ এবং কয়েক ফোঁটা এসেনশিয়াল অয়েল দিয়ে পা ডুবিয়ে রাখুন। ১৫ থেকে ২০ মিনিট পরে অনুভব করবেন পায়ের যন্ত্রনা দূর হয়ে গিয়ে আপনার শরীরে এক ধরনের সজীবতা চলে এসেছে।
৪) বডি স্ক্রাবারেঃ ঘরে তৈরি বডি স্ক্রাবারে ব্যবহার করতে পারেন এসেনশিয়াল ওয়েল। হোম মেড বডি স্ক্রাবারে দিয়ে দিন অল্প পরিমাণে এসেনশিয়াল ওয়েল। এই স্ক্রাবারের ব্যবহারে যেমন সজীবতা আসবে শরীরে তেমনই পাবেন সুন্দর ও উজ্জ্বল ত্বক।
৫)ত্বকের ও চুলের যত্নেঃ ত্বক এবং চুলে এসেনশিয়াল অয়েল কিন্তু বহুকাল থেকেই ব্যবহার হয়ে আসছে। ত্বকের যত্ন হোক কিংবা চুলের যত্ন কোন ক্ষেত্রেই জুড়ি নেই এসেনশিয়াল অয়েলের। শুধুমাত্র যে এটার ঘ্রাণ অনেক বেশি ভালো তাই নয়। ঘ্রাণের সাথে সাথে এটির কার্যকারিতাও কিন্তু অনেক বেশি। ত্বকের নানাধরনের সমস্যার সমাধান করে থাকে এসেনশিয়াল অয়েল। ব্রনের সমস্যা, লার্জ-পোরস, শুষ্কভাব এমন নানা ধরনের সমাধান কিন্তু পাওয়া যায় এসেনশিয়াল অয়েল ব্যবহার করে। হেয়ার গ্রোথ এবং হেলদি স্ক্যাল্পের জন্যেও এসেনশিয়াল অয়েলের রয়েছে বহু ব্যবহার।