📝স্টাফ রিপোর্টার : আদনান ফারাবী সুমন।
শরীরে কোনো ধরনের সংক্রমণ দেখা দিলে চিকিৎসকরা অ্যান্টিবায়োটিক সেবনের পরামর্শ দেন। তবে শুধু ওষুধ খেলেই তো আর হবে না, কিছু নিয়ম মানার প্রয়োজন রয়েছে। অনেক সময় মাথা ব্যথা করলে আমরা পেইনকিলার খেয়ে বসে থাকি। অথচ কাজ করে না, তখন আমরা ওষুধের দোষ দেই।
কিন্তু আসল সমস্যা হচ্ছে ওষুধের সঙ্গে আমরা কিছু ভুল খাবার খেয়ে ফেলি, যার কারণে ওষুধের কার্যকারিতা হিতে বিপরীত হয়ে পরে। সেক্ষেত্রে ওইসব খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
এর পাশাপাশি অ্যান্টিবায়োটিকের কার্যকারিতা নষ্ট হয়-এমন খাবার পরিহার করাও উচিত। সেই খাবারগুলোর একটা তালিকা নিচে দেওয়া হলো :
জাম্বুরা : অ্যাসিডিটির কারণে অ্যান্টিবায়োটিক সেবনের সময় জাম্বুরা বা এর রস খাওয়া ঠিক নয়। কারণ যেকোনো ধরনের অ্যাসিডিক উপাদান অ্যান্টিবায়োটিকের কার্যকারিতা নষ্ট করে দেয়। এছাড়া এ সময় অন্যান্য অ্যাসিডিক ফল যেমন-কমলা, লেবু এবং এ জাতীয় ফল খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
সোডা : সোডা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। এতে থাকা অ্যাসিডিটি অ্যান্টিবায়োটিকের কার্যক্ষমতা নষ্ট করে দেয়।
কফি ও অ্যালকোহল : সোডার মতো কফিতেও প্রচুর পরিমাণে অ্যাসিডিটি থাকে। অ্যান্টিবায়োটিক সেবনের সময় ক্যাফেইন ও অ্যালকোহল গ্রহণ থেকে বিরত থাকুন।
অ্যান্টিবায়োটিক আর দুধ একসাথে নয় : দুধ বা দুগ্ধজাত খাবারে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম থাকে। অ্যান্টিবায়োটিকের বিশেষ কিছু উপাদান ক্যালশিয়ামের সাথে মিশে দানা বা জট হয়ে যায়। ফলে তা পেটের মাধ্যমে রক্তে প্রবেশ করতে পারে না। তাই অ্যান্টিবায়োটিকের সঙ্গে দুধ খাওয়া উচিত নয়। তবে অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়ার দুই ঘণ্টা আগে বা পরে দুধ পানে বাধা নেই। তবে এর মধ্যে দই ব্যতিক্রম। দই অন্ত্রের হজমশক্তি বাড়ায়।
পালং শাক : পালং শাকে প্রচুর পরিমাণে আয়রন থাকে। এটি অ্যান্টিবায়োটিক শোষণে বাঁধা দেয়।
কলিজা : গরু ও মুরগির কলিজায় প্রচুর পরিমাণে আয়রন থাকায় অ্যান্টিবায়োটিক গ্রহণের সময় এ ধরনের খাবার থেকে দূরে থাকা উচিত।