নিজস্ব প্রতিবেদকঃ পুলিশে খারাপ লোকদের প্রশ্রয় দিলে ভবিষ্যতে আরো খারাপ ঘটনার জন্ম হয়, তার উৎকৃষ্ট উদাহরণ রাজশাহী রেল পুলিশের কনস্টেবল নিমাই।
এই নিমাই একসময় আরএমপির গোয়েন্দা বিভাগে চাকরি করেছেন। তখন গোয়েন্দা অফিস ছিল কাজি হাটার গলিতে। সেই এলাকার এক কলেজ ছাত্রীকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে নগ্ন ভিডিও তৈরি করে সে। ভিডিওটি কম্পিউটারের দোকান থেকে মানুষের হাতে হাতে চলে যায়। তখন তাকে সাসপেন্ড করা হয়, চাকরি চলে যায় তার।
পরবর্তীতে নানা কৌশলে চাকুরী ফিরে পেয়ে রেল পুলিশে যোগ দেয়। নিমাইয়ের বিরুদ্ধে অসংখ্য অভিযোগ ছিল, কিন্তু কোন কোনো কর্মকর্তাকে হাত করে পার পেয়ে যায়। শেষ পর্যন্ত মিডওয়াইফ হত্যার দায়ে নিমাইকে (১) গ্রেফতার করেছে পিবিআই। হত্যাকান্ডে জড়িত আরও ২ জন হলেন কবির আহমেদ (২) ও আবদুর রহমান (৩) উল্লেখ্য নিমাইয়ের বর্তমান স্ত্রীও একজন নার্স।
হত্যাকান্ডের শিকার মিডওয়াইফ ননিকা রানী রাজশাহী নার্সিং কলেজের মিডওয়াইফারি ৪র্থ ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি সম্প্রতি সরকারি চাকরি পরীক্ষায় এমসিকিও ও লিখিত পরীক্ষা দিয়েছিলেন। তার গ্রামের বাড়ি ঠাকুরগাঁও জেলায়।
মিডওয়াইফ হত্যার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও কঠিন শাস্তির দাবি জানিয়েছে নার্সিং সংগঠনগুলো। এছাড়াও ঘটনার সাথে জড়িতদের শাস্তি দাবি করেছে স্টুডেন্ট ওয়েলফেয়ার অর্গানাইজেশন, রাজশাহী নার্সিং কলেজ শাখা।