ভবিষ্যতের বিমান ‘ফ্লাইং ভি’।।
স্টাফ রিপোর্টারঃ মরিয়ম, চাঁদপুর
০৮.০৯.২০২০
‘ভি’ আকৃতির জ্বালানিবান্ধব বিমান ‘ফ্লাইং ভি’।
প্রথমবারের মতো সফলভাবে আকাশে উড়ল ‘ভি’ আকৃতির জ্বালানিবান্ধব বিমান ‘ফ্লাইং ভি’। গবেষকদের দাবি, বর্তমানে আকাশে উড়া বিমানের থেকে ২০ শতাংশ কম জ্বালানিতে চলবে এই ভি আকৃতির বিমান। প্রযুক্তিগত অত্যাধুনিক নানাদিকের কারণে এই বিমানই হয়তো ভবিষ্যত্ প্রজন্মের বিমানের জায়গাটি দখল করবে। এই ইউনিক ভি ডিজাইনের এয়ারক্রাফটের বিশেষত্ব হচ্ছে, বিমানগুলোর ডানাগুলোতে যাত্রী ক্যাবিনেট, কার্গো হোল্ড ও ফুয়েল ট্যাংক রাখা হয়েছে। এ কারণে এই বিমান অনেক বেশি জ্বালানি সাশ্রয়ী হবে।
নেদারল্যান্ডের ডেলফট ইউনিভার্সিটি অ্যান্ড টেকনোলজির একদল গবেষক এই বিমানের ডিজাইন করেছেন। ডাচ এয়ারলাইন্স কোম্পানি কেএলএমের সঙ্গে যৌথভাবে কাজটি করেছে ডেলফট ইউনিভার্সিটি অ্যান্ড টেকনোলজি। সম্প্রতি ২২ কেজি ও তিন মিটার স্কেল আয়তনের একটি মডেল বিমান সফলভাবে আকাশে উড়াতে সক্ষম হয়েছেন গবেষকরা। গবেষণার সঙ্গে যুক্ত ডেলফট ইউনিভার্সিটির একজন গবেষক জানান, প্রাথমিকভাবে এই মডেলটি টেকঅফের সময় কিছুটা জটিলতা দেখা দিয়েছে। পরবর্তীতে অবশ্য বেশ সফলভাবেই ৮০ কিলোমিটার বেগে উড়েছে বিমানটি। এখন পর্যন্ত একটি গবেষণা পর্যায়ে রয়েছে; ভবিষ্যতে এর সমস্যাগুলো দূর করে আরো বেশি আধুনিকভাবে তৈরি করা হবে।
গবেষকরা রিমোর্ট কন্ট্রোলের সাহায্যে বিমানটিকে পরিচালনা করেন। ডেলফট ইউনিভার্সিটি অ্যান্ড টেকনোলজির সহকারী অধ্যাপক রোয়েলফ ভোস বলেন, টেকঅফের সময় এর কিছুটা জটিলতা হতে পারে বলে আগে থেকেই আমাদের মধ্যে একটা শঙ্কা ছিল। আমাদের অন্যতম উদ্বেগ ছিল যে বিমানটি উঠাতে কিছুটা অসুবিধা হতে পারে, যেহেতু পূর্ববর্তী গণনাগুলো দেখিয়েছিল যে ‘ঘূর্ণন’ একটি সমস্যা হতে পারে। কিন্তু ভবিষ্যতে এসব জটিলতা কাটিয়ে উঠেই তৈরি করা হবে জ্বালানি সাশ্রয়ী আধুনিক প্রযুক্তির ‘ফ্লাইং ভি’ বিমান।
‘ফ্লাইং ভি’ প্রকল্পটি ডাচ বিমান সংস্থা কেএলএমের ১০০তম বার্ষিকীতে প্রথম উপস্থাপিত হয়েছিল, যা গত বছরের শুরু থেকেই প্রকল্পের অংশীদার। এয়ারবাসসহ বিভিন্ন ব্যবসায়িক অংশীদাররা এখন এই প্রকল্পের সঙ্গে জড়িত। ডেলফটের মতে, পরবর্তী পদক্ষেপটি হলো বিমানের বায়ুবিদ্যুত্ (সফ্টওয়্যার) মডেলের জন্য বিমানের সময় সংগৃহীত ডেটা ব্যবহার করা। —সিএনএন