নিজস্ব প্রতিবেদকঃ ঢাকা বিশ্ববিদ্যায়ের অধীনে পোস্ট বেসিক বিএসসি ইন নার্সিং ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের ফাইনাল পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। আজ বিশ্ববিদ্যালয়ের এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এই ফলাফল প্রকাশ করে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে শতভাগ পাশের মাধ্যমে ইতিহাস গড়ল মহাখালী কলেজ অব নার্সিং। এবছরই প্রথম শতভাগ শিক্ষার্থী সফলতা অর্জন করে। উক্ত কলেজে এবছর মোট ১১৩ জন পরীক্ষার্থী ফাইনাল পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। এর মধ্যে পোস্ট বেসিক বিএসসি ইন নার্সিং কোর্সে ৫৮ জন এবং বিএসসি ইন পাবলিক হেলথ কোর্সের ৫৫ জন শিক্ষার্থী।
এদিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে এবছর সর্বচ্চ নাম্বার পেয়ে প্রথম স্থান দখল করেছে মহাখালী কলেজ অব নার্সিংয়ের ২০১৮-১৯ ব্যাচের শিক্ষার্থী খাদিজা খনম।
শতভাগ পাশের খবরে ও বোর্ড সেরা হওয়ায় মহাখালী কলেজ অব নার্সিংয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে চরম আনন্দ ও উৎফুল্লতা দেখা গেছে। করোনায় মোকাবিলার পাশাপাশি এমন সংবাদে কলেজ ক্যাম্পাসে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের পদচারণায় মুখর হয়ে উঠেছে।
মহাখালী কলেজ অব নার্সিংয়ের অধ্যক্ষ ড. মোহাম্মদ মফিজ উল্লাহ বিডিনার্সিং২৪ কে বলেন, করোনাকালীন সময়ে কলেজের শিক্ষকরা সর্বচ্চ পাঠদানের ব্যাবস্থা করেছে। তাছাড়া তাত্বিক ও ব্যাবহারিক বিষয়ে বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। ভবিষ্যতেও ফলাফলের এমন ধারা বজায় রাখার প্রত্যয় ব্যাক্ত করেন তিনি। পাশাপাশি সকল শিক্ষার্থীদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে এবছর প্রথম স্থান অর্জনকারী খাদিজা খানম বলেন, পরীক্ষায় ভালো করতে হলে শুরু থেকেই ক্লাসে নিয়মিত উপস্থিতি নিশ্চিত করতে হবে। পাশাপাশি প্রতিদিনের পড়া প্রতিদিন শেষ করতে হবে। এছাড়াও নিয়োমিত এস্যাইনমেন্ট, প্রেজেন্টেশন ও রিসার্চে গুরুত্ব দেয়ার কথা জানান তিনি। খাদিজা আরও বলেন, করোনাকালীন সময়ে কলেজ অব নার্সিংকে সঠিকভাবে পরিচালনা করা ও শিক্ষার্থীদের পাশে থেকে সর্বচ্চ ভূমিকা পালন করেন অধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মফিজ উল্লাহ। সকল শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে তিনি অধ্যাপক ড. মফিজ উল্লাহকে তিনি ধন্যবাদ জানান।
মহাখালী কলেজ অব নার্সিংয়ের শিক্ষার্থী নিজামউদ্দিন বলেন, শতভাগ পাশের হার সবার জন্য অত্যান্ত আনন্দের এবং গৌরবের। তিনি বলেন অধ্যাপক ড. মফিজ উল্লাহ’র কঠোর পরিশ্রম ও প্রচেষ্টার ফলে দ্রুত সময়ে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। তাদের এই সফলতার জন্য কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মফিজ উল্লাহ ও অন্যান্য শিক্ষকদের তিনি ধন্যবাদ জানান।
উল্লেখ্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ২৭ টি কলেজে পোস্ট-বিএসসি ইন নার্সিং ও বিএসসি ইন পাবলিক হেলথ এর প্রায় দুই হাজারেরও অধিক শিক্ষার্থী ২য় বর্ষের ফাইনাল পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে।