বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ০৩:২৫ অপরাহ্ন

নার্সিং থেকে স্বপ্ন যখন বিসিএস ক্যাডার!

Reporter Name
  • Update Time : শনিবার, ৩ অক্টোবর, ২০২০
  • ১৩২৯৫ Time View

📝স্টাফ রিপোর্টারঃ আদনান ফারাবী সুমন।

বিসিএস নিয়ে যা যা জানা প্রয়োজন, যারা প্রথমবার বিসিএস দিবেন, তাদের জন্য এই পোস্ট অনেক গুরুত্বপূর্ণ।

বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (সংক্ষিপ্ত রুপ বিসিএস নামে সর্বাধিক পরিচিতি) হল বাংলাদেশ সরকারের সিভিল সার্ভিস। এটি প্রাক্তন সেন্ট্রাল সুপিরিয়র সার্ভিস অব পাকিস্তান থেকে উদ্ভূত হয়েছে, যা উপনিবেশিক শাসনামলের ব্রিটিশ সম্রাজ্ঞী নিয়ন্ত্রিত ইন্ডিয়ান সিভিল সার্ভিসের উত্তরসূরি ছিল। স্বাধীনতার পর থেকে এটি সিভিল সার্ভিস অধ্যাদেশের দ্বারা বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস হিসাবে পরিচিতি হয়। এর মূলনীতি ও পরিচালনা পরিষদ বাংলাদেশ সরকারী কর্ম কমিশন কর্তৃক নির্ধারিত হয়। (উইকিপিডিয়া)

১. বিসিএস একটা দীর্ঘমেয়াদি পরীক্ষা। সার্কুলার থেকে প্রিলি, রিটেন, ভাইভা, নিয়োগ পর্যন্ত ২.৫-৩ বছর সময় লাগে। এই দীর্ঘ সময়ে অনেক টেনশন, হতাশা আসবে, কিন্তু ধৈর্য ধরতে হবে।

২. বিসিএস এর অনেকগুলা ধাপঃ প্রিলি, রিটেন, ভাইভা, স্বাস্থ্য পরীক্ষা, ভেরিফিকেশন (পুলিশ, এনএসাই, ইউএনও, স্পেশাল ব্রাঞ্চ), গেজেট, পোস্টিং।

বিসিএস এ আবেদন করার শিক্ষাগত যোগ্যতাঃ

এসএসসি থেকে অনার্স (স্নাতক) পর্যন্ত সবগুলো পরীক্ষায় যেকোনো দুটিতে দ্বিতীয় শ্রেণী বা সমমান এবং ১ টি তৃতীয় শ্রেণী বা সমমান। এর নিচে হবে না। তবে ডিগ্রী (পাসকোর্স) ধারীদের স্নাতকোত্তর (মাস্টার্স) লাগবে।

উল্লেখ্য,
‌চার বছর মেয়াদি বেসিক বিএসসি ইন নার্সিং কোর্স করে বিসিএস পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করা যাবে।
‌কিন্তু যারা ডিপ্লোমা ইন নার্সিং এ পড়ছেন, বা ডিপ্লোমা ইন মিডওয়াইফারি নিয়ে পড়ছেন, আপনাদের ক্ষেত্রে একটু জটিলতা রয়েছে, প্রথমে ডিপ্লোমা কোর্স শেষ করে, তারপর পোস্ট বেসিক বিএসসি এবং মাস্টার্স সম্পন্ন করে, তারপর বিসিএস পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন।

আপনারা হয়তো ভাবছেন, জিপিএ বা সিজিপিএ দের পয়েন্ট কিভাবে হিসেব করা হবে?

Ssc এবং Hsc এর ক্ষেত্রেঃ

৩ বা তদুর্ধ্ব = প্রথম শেণী
২ থেকে ৩ এর কম = দ্বিতীয় শ্রেণী
১ থেকে ২ এর কম = তৃতীয় শ্রেণী

অনার্সের ক্ষেত্রেঃ

৩ বা তদুর্ধ্ব = প্রথম শ্রেণী
২.২৫ থেকে ৩ এর কম = দ্বিতীয় শ্রেণী
১.৬৫ থেকে ৩ এর কম = তৃতীয় শেণী

তথ্যসূত্রঃ বাংলাদেশ ব্যাংক

ফরম পূরণঃ

১. টেকনিক্যাল ক্যাডার ও বোথ ক্যাডার।
যারা শুধুমাত্র টেকনিক্যাল ক্যাডার দিবেন, তাদের চয়েস একটাইঃ বিসিএস (স্বাস্থ্য), রসায়ন, গণিত ইত্যাদি।
আর যারা বোথ ক্যাডার দিবেন তারা প্রথমে প্রশাসন, ফরেইন, পুলিশ, ট্যাক্স ইত্যাদি দিবেন, এরপর স্বাস্থ্য/নিজের সাবজেক্ট।

২. ফরম পূরনের সময় স্থায়ী ও বর্তমান ঠিকানা একই দিলে ভাল। না হয় দুই জায়গায় ভেরিফিকেশন হবে। তবে স্থায়ী ঠিকানায় বাড়ি বা জমি থাকতে হবে। স্থায়ী ঠিকানা পরে পরিবর্তনের সুযোগ নাই।

৩. নাম, বাবার নাম, জন্মতারিখ ইত্যাদি এস এস সি সার্টিফিকেট অনুযায়ী দিতে হবে।

৪. স্নাতক/অনার্সের লিখিত পরীক্ষা শেষ হলেই Appeared সার্টিফিকেট দিয়ে বিসিএস পরীক্ষায় অংশগ্রহন করা যায়।

বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস ক্যাডারের সংখ্যা ২৬ টি।
ক্যাডার গুলো হলঃ

১৪টি সাধারণ ও ১২ টি পেশাগত/কারিগরি, সর্বমোট ২৬ টি ক্যাডার রয়েছে।

সাধারণ ক্যাডারঃ

১) বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (প্রশাসন)
২) বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (আনসার)
৩) বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (নিরীক্ষা ও হিসাব)
৪) বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (সমবায়)
৫) বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (শুল্ক ও আবগারি)
৬) বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (পরিবার পরিকল্পনা)
৭) বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (খাদ্য)
৮) বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (পররাষ্ট্র)
৯) বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (তথ্য)
১০) বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (পুলিশ)
১১) বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (ডাক)
১২) বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (রেলওয়ে পরিবহন ও বাণিজ্যিক)
১৩) বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (কর)
১৪) বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (বাণিজ্য)
১৫)* বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (ইকোনমিক) (বর্তমানে বিলুপ্ত)

প্রফেশনাল ক্যাডারঃ

১) বিসিএস (সড়ক ও জনপথ)
২) বিসিএস (গণপূর্ত)
৩) বিসিএস (জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল)
৪) বিসিএস (বন)
৫) বিসিএস (স্বাস্থ্য)
৬) বিসিএস (রেলওয়ে প্রকৌশল)
৭) বিসিএস (পশুসম্পদ)
৮) বিসিএস (মৎস্য)
৯) বিসিএস (পরিসংখ্যান)
১০) বিসিএস (কারিগরি শিক্ষা)
১১) বিসিএস (কৃষি)
১২) বিসিএস (সাধারণ শিক্ষা)

প্রিলিমিনারী পরীক্ষাঃ

১. প্রিলিতে সবার জন্য পাস মার্ক/কাট মার্ক একই। অর্থাৎ প্রায় ২,৫০০০০ পরীক্ষার্থীর মধ্যে যে ১০-১২ হাজার প্রিলিতে টিকবে আপনাকে এর মধ্যে একজন হতে হবে। এখানে কোন ধরনের কোটা/আলাদা কাট মার্ক এপ্লাই করা হয় না, তাই সেই লেভেলের প্রস্তুতি নিতে হবে।

২. প্রিলি একটি বাছাই পরীক্ষা। এই নাম্বার পরবর্তীতে যোগ হবে না। তাই ১ম হয়ে প্রিলি পাস করা আর ১০,০০০ তম হয়ে প্রিলি পাস করা একই কথা।

বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষার সিলেবাস 📃 এবং
⚓ মানবন্টন।

📌 সর্বমোট ২০০ নম্বর

১) বাংলাঃ ৩৫

📎ভাষা – ১৫
📎সাহিত্য – ২০

২) ইংরেজিঃ ৩৫

📍ভাষা – ২০
📍সাহিত্য – ১৫

৩) বাংলাদেশ বিষয়াবলীঃ ৩০

▶বাংলাদেশের জাতীয় বিষয়াবলী – ০৬
▶বাংলাদেশের কৃষিজ সম্পদ – ০৩
▶বাংলাদেশের জনসংখ্যা ও আদমশুমারী – ০৩
▶বাংলাদেশের অর্থনীতি – ০৩
▶বাংলাদেশের শিল্প ও বাণিজ্য – ০৩
▶বাংলাদেশের সংবিধান – ০৩
▶বাংলাদেশের রাজনৈতিক ব্যবস্থা- ০৩
▶বাংলাদেশের সরকার ব্যবস্থা – ০৩
▶বাংলাদেশের জাতীয় অর্জন ও অন্যান্য – ০৩

৪) আন্তর্জাতিক বিষয়াবলীঃ ২০

📋সাম্প্রতিক ও চলমান ঘটনাপ্রবাহ – ০৪
📋বৈশ্বিক ইতিহাস, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক ব্যবস্থা

ভূরাজনীতি – ০৪

➡আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা ও আন্তরাষ্টীয় ক্ষমতা

সম্পর্ক – ০৪

✔ আন্তর্জাতিক পরিবেশগত ইস্যু ও রাষ্টনীতি – ০৪
✔ আন্তর্জাতিক সংগঠন এবং বৈশ্বিক অর্থনীতি – ০৪

৫) ভূগোল পরিবেশ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনাঃ ১০

৬) বিজ্ঞানঃ ১৫

🎯 ভৌত বিজ্ঞান – ০৫
🎯 জীব বিজ্ঞান – ০৫
🎯 আধুনিক বিজ্ঞান – ০৫

৭) কম্পিউটার ও তথ্যপ্রযুক্তিঃ ১৫

💻কম্পিউটার – ১০
💻তথ্যপ্রযুক্তি – ০৫

৮) গাণিতিক যুক্তি ও মানসিক দক্ষতাঃ ৩০
গাণিতিক যুক্তিঃ ১৫

📟পাটিগণিত – ০৩
📟বীজগণিত – ০৬
জ্যামিতি – ০৩
📐পরিসংখ্যান ও অন্যান্য – ০৩

মানসিক দক্ষতাঃ ১৫

৯) নৈতিকতা মূল্যবোধ ও সুশাসনঃ ১০

রিটেন পরীক্ষাঃ

১. যারা বোথ ক্যাডারে দিবেন তাদের জন্য পরীক্ষা হল ১১০০ নাম্বারের। আর যারা শুধুমাত্র ট্যাকনিকাল/শুধুমাত্র জেনারেল ক্যাডার তাদের ৯০০ নাম্বারের পরীক্ষা। ট্যাকনিকালদের বাংলা ২য় পত্র ও বিজ্ঞান পরীক্ষার পরিবর্তে সংশ্লিষ্ট ট্যাকনিক্যাল বিষয়ে ২০০ নম্বরের পরীক্ষা দিতে হবে। বোথ ক্যাডারদের জেনারের ক্যাডারের সব বিষয় সাথে নিজ বিষয়ের ২০০ নম্বরের পরীক্ষা।

২. লিখিত পরীক্ষা পাস নম্বর গড়ে ৫০%। সবাইকে অবশ্যই ৫০% মার্কস পেতে হবে ভাইবা দেওয়ার জন্য। আপনার ক্যাডারে যত সিটই থাকুক আপনি যদি রিটেনে ৫০% মার্কস না পান, তাহলে আপনি রিটেনে ফেল। তবে শুধুমাত্র ৫০% মার্কস ক্যাডার প্রাপ্তি নিশ্চিত করে না। যত বেশি মার্ক পাবেন রিটেনে তত ক্যাডার প্রাপ্তির সম্ভাবনা বাড়বে।

৩. রিটেন পরীক্ষায়ও কোন ধরনের কোটা/আলাদা কাট মার্ক এপ্লাই করা হয় না।

৪. কোন পরীক্ষায় ৩০% এর কম পেলে ওই সাবজেক্টের নাম্বার যোগ হবে না।

৫.বিসিএস পরীক্ষার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ হল লিখিত পরীক্ষা।এখানে যে যত বেশি পাবে, তার ক্যাডার পাওয়ার সম্ভাবনা তত বাড়বে।

📝 লিখিত ও 🔦 মৌখিক পরীক্ষার 📖 বিষয়সমূহ ও নম্বর বণ্টন :

মোট নম্বর ১১০০ (মৌখিক পরীক্ষাসহ)
(১) সাধারণ ক্যাডারের জন্য :
বিষয় নম্বর
(ক) বাংলা ২০০
(খ) ইংরেজী ২০০
(গ) বাংলাদেশ বিষয়াবলি ২০০
(ঘ) আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি ১০০
(ঙ) গাণিতিক যুক্তি ও মানসিক দক্ষতা ১০০
(মানসিক দক্ষতা পরীক্ষার MCQ Type ৫০টি প্রশ্ন থাকবে।
প্রার্থী মানসিক দক্ষতা বিষয়ের প্রতিটি শুদ্ধ উত্তরের জন্য ১ (এক) নম্বর পাবেন। তবে প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্য ০.৫০ নম্বর কাটা যাবে)

(চ) সাধারণ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ১০০
(ছ) মৌখিক পরীক্ষা ২০০
সর্বমোট = ১১০০
(২) প্রফেশনাল/টেকনিক্যাল ক্যাডারের জন্য :
বিষয় নম্বর বণ্টন
(ক) বাংলা ১০০
(খ) ইংরেজী ২০০
(গ) বাংলাদেশ বিষয়াবলি ২০০
(ঘ) আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি ১০০
(ঙ) গাণিতিক যুক্তি ও মানসিক দক্ষতা ১০০
(মানসিক দক্ষতা পরীক্ষার MCQ Type ৫০টি প্রশ্ন থাকবে।
প্রার্থী মানসিক দক্ষতা বিষয়ের প্রতিটি শুদ্ধ উত্তরের
জন্য ১ (এক) নম্বর পাবেন। তবে প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্য
০.৫০ নম্বর কাটা যাবে)
(চ) সংশ্লিষ্ট পদ বা সার্ভিসের জন্য প্রাসঙ্গিক বিষয়
২০০

ভাইভাঃ

১. ভাইভা পরীক্ষা ২০০ নম্বরের, পাস মার্ক ১০০। ভাইভা বোর্ডে ৩ জন পরীক্ষক থাকেন। ১ জন পিএসসির মেম্বার, বাকি দুজন বাইরের এক্সটারনাল।

২. যারা জেনারেল/বোথ ক্যাডারে ভাইভা দিবেন তাদের এক্সটারনাল যে কোন বিষয়ের হতে পারে।

৩. যারা শুধুমাত্র ট্যাকনিক্যাল ক্যাডারে ভাইভা দিবেন, তাদের বোর্ডে সংশ্লিষ্ট সাবজেক্টের দুইজন এক্সটারনাল থাকবেন। যেমনঃ স্বাস্থ্য দুজন ডাক্তার(যে কোন সাবজেক্টের), গণিতে দুই জন গণিতের শিক্ষক ইত্যাদি।

৪. ভাইভার উপর ক্যাডার প্রাপ্তি নির্ভর করে না। কারণ ভাইভাতে বেশিরভাইগই পাস করে এবং এভারেজ একটা নাম্বার পায়। অল্প কিছু পরীক্ষার্থী খুব ভাল ভাইভা মার্কস পান। নিজেকে সাধারণ ভাবুন। ধরে নিন এভারেজ ভাইভা দিবেন, কিন্তু অসাধারন রিটেন দেওয়ার প্রস্তুতি নিন।

৫. কোন ধরনের তদবির থেকে দূরে থাকুন। বিসিএস ই একমাত্র চাকুরি যা তদবির ছাড়া পাওয়া যায়।

৬. রিটেন ও ভাইভার প্রাপ্ত নাম্বার যোগ করে কোটা এপ্লাই করে চূড়ান্ত ফলাফল দেওয়া হয়।

স্বাস্থ্য পরীক্ষাঃ

চূড়ান্ত ফলাফলের কিছুদিন পর অনুষ্টিত হয়। বিভিন্ন মেডিকেল কলেজ /ইন্সস্টিটিউট এ হয়। ওজন, উচ্চতা, প্রশ্রাব, চক্ষু ইত্যাদি পরীক্ষা করা হয়। স্বাস্থ্য পরীক্ষায় সাধারণত কেউ বাদ পড়ে না।

ভেরিফিকেশনঃ

১. পুলিশ, এনএস আই, ইউ এন ও, স্পেশাল ব্রাঞ্চ ইত্যাদি সংস্থা ভেরিফিকেশন করে। এখানে দেখা হয় কোন মামলা আছে কিনা, রাজনৈতিক পরিচয় নিজের এবং আত্মিয়স্বজনের, স্থায়ী ঠিকানা ঠিক আছে কিনা, স্কুল কলেজ ও মেডিকেল কলেজ/বিশ্ববিদ্যালয় এ ও ভেরিফিকেশন করা হয়।

২. মামলা থাকলে ভেরিফিকশনে বাদ যাবে।

৩. বিরোধী রাজনৈতিক দলের কেউ হলে নিজে কিংবা ফ্যামিলি তাহলে বাদ যাওয়ার সম্ভাবনা। এগুলা আগে থেকেই যে কোন ভাবে ম্যানেজ করতে হবে।

৪. কোটাধারীদের কোটা সংক্রান্ত কাগজপত্র খুব ভালভাবে যাচাই, বাচাই করা হয়।

৫. অনেকে মনে করেন ট্যাকনিকাল (স্বাস্থ্য, শিক্ষা, ইঞ্জিনিয়ারিং) ক্যাডারের জন্য ভেরিফিকেশন সহজ। আসলে তা নয়। একই ব্যক্তিই এক এলাকায় সব ক্যাডারের ভেরিফিকেশন করেন, তাই সব ক্যাডারে সমানভাবেই সব যাচাই বাচাই করা হয়।

গেজেটঃ

সব রিপোর্ট ওকে থাকলে তারপর সরকারী গেজেটে নিজের নাম দেখা যাবে।

জয়েনিংঃ

১. গেজেট দেওয়ার ১৫-৩০ দিনের মধ্যে নিজ মন্ত্রণালয়ে জয়েন করা লাগে।

২. মন্ত্রণালয়ে জয়েনিং এর পর কর্মস্থলে জয়েনিং এর জন্য আলাদা গেজেট প্রকাশিত হয়। এটা মন্ত্রণালয়ে জয়েনিং এর ৭ দিনের মধ্যে হয় সাধারণত। এতগুলা প্রসিডিউর সফলভাবে শেষ করতে পারলে তবেই আপনি বিসিএস ক্যাডার। গুরুত্বপূর্ণ হল রিটেন পরীক্ষা, রিটেনে ভাল নাম্বার পেলেন তো আপনি ক্যাডার হওয়ার পথে অনেকদূর এগিয়ে গেলেন। এরপর যেটা গুরুত্বপূর্ণ সেটা হল ভেরিফিকেশন। মামলা যদি থেকে থাকে যে কোন ভাবে মামলা তুলে নেওয়ার/সমাধান করার চেষ্টা করুন। রাজনৈতিক বিরোধ মিটমাট করুন। ভেরিফিকেশন শুরু হওয়ার আগে প্রতিবেশী /এলাকাবাসীকে /চেয়ারম্যান-মেম্বার এদের হাতে রাখুন। তো স্বপ্নের বিসিএস ক্যাডার হওয়ার জন্য আজকে থেকেই শুরু করুন প্রস্তুতি।শুভকামনা সবার জন্য।

Sources:
মেডিভয়েস বিডি, বাংলাদেশ জার্নাল, বিডি চাকরি, উইকিপিডিয়া
Post Courtesy:
Rubel Hossain, BSN
College of Nursing, IUBAT, Dhaka

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2021
Design & Developed by Freelancer Zone
themesba-lates1749691102