👤সিনিয়র রিপোর্টার:বিভাবরী, ঢাকা।
🕠১৯/০৯/২০২০
করোনা মহামারীকে হার মানাতে বিশ্বের ১৭৬টি চিকিৎসা বিজ্ঞান ও ঔষধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান টিকা তৈরিতে গবেষণা চালালেও ক্রমশ নির্ভরত যোগ্যতার প্রতীক হয়ে উঠছে জার্মানির বায়নটেক ও কিউরভ্যাক। সবার আশাবাদী প্রত্যাশা এই প্রতিষ্ঠান দুটির মাধ্যমেই খুব শিগগিরই বিশ্ব পাবে মরণঘাতী করোনাকে প্রতিহত করার কার্যকরী টিকা।
চীন, রাশিয়া, যুক্তরাজ্য নাকি জার্মানি-কোন দেশের টিকা হবে সবচেয়ে নিরাপদ ও নির্ভরতার প্রতীক? এমন প্রশ্নের জবাবে জার্মানির চিকিৎসা বিজ্ঞান প্রতিষ্ঠান বায়নটেকের প্রধান প্রফেসর ড. উগুর সাহিন নিজেদের উদ্ভাবিত ভ্যাকসিন নিয়ে আশা প্রকাশ করেছেন।
বিএনটি ওয়ান সিক্স টু নামের এই টিকা হবে মানবদেহে ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ কার্যকরী। ইতোমধ্যে ভ্যাকসিনটির তৃতীয় ধাপের পরীক্ষা সফলভাবে সম্পন্ন হওয়ায়, অক্টোবরের শেষের দিকে ৭৫০ মিলিয়ন ডোজ উৎপাদনের জন্য আবেদন করা হবে। টিকা আবিষ্কার হলে সবার আগে ঝুঁকিতে থাকা প্রবীণ এবং চিকিৎসা সংশ্লিষ্ট সবাইকে টিকা দেওয়ার আহ্বান সাধারণ মানুষের।
এদিকে গবেষণার গতি বাড়াতে বায়নটেককে ৩৭৫ ও কিউরভ্যাককে ২৩০ মিলিয়ন ইউরো অর্থ সহায়তার ঘোষণা মারকেল সরকারের। তবে এতে প্রতিষ্ঠান দুটির বিনিয়োগকারীরা অনৈতিকভাবে লাভবান হবার আশংকা বিশেষজ্ঞদের।
সমালোচনার সুরেই বলতে হয় করোনার টিকা তৈরির নামে অর্থনৈতিকভাবে বিশাল অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে বিনিয়োগকারীরা। অথচ পর্যাপ্ত গবেষণা ছাড়াই টিকা বাজারে আনতে এরা যেন উঠেপড়ে লেগেছে। কিন্তু এর কারণে যদি কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয়, তার দায় নেবে কে?
তবে খুব শিগগিরই একটি কার্যকারী ভ্যাকসিনের মাধ্যমে বিশ্ব করোনামুক্ত হবে এমনটাই আশা সাধারণ জার্মানদের।
উল্লেখ, ২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাসে চীনের হুপেই প্রদেশের উহান নগরীতে শনাক্ত করা হয়। ২০২০ সালের ১১ই মার্চ তারিখে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা রোগটিকে একটি বৈশ্বিক মহামারী হিসেবে স্বীকৃতি দেয়।
দেশ বিদেশের স্বাস্থ্য বিষয়ক খবরাখবর পেতে বিডিনার্সিং২৪ এর সাথেই থাকুন।